আমিয়াখুম | Amiakhum 21/03/2021


PC:


PC:Asikul Islam Himel | CC BY-SA 4.0

 

আমিয়াখুম জলপ্রপাতটি বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলার  নাক্ষিয়ং স্থানে অবস্থিত একটি দুর্দান্ত জলপ্রপাত। বাংলাদেশের সবচেয়ে দুর্গম জায়গাগুলোর মধ্যে এটিকেও ধরা হয়। শীতল জলের স্রোত প্রচন্ড গতিতে সবুজ পাহাড় এবং পাথরের বাধার উপর দুধের সাদা ফেনা ছড়িয়ে দেয় অনবরত। জলপ্রপাত দেখে মুগ্ধ হয়ে কেউ কেউ এটিকে বাংলাদেশের সর্বাধিক সুন্দর জলপ্রপাত বলেও অভিহিত করেন।

এডভেঞ্চার প্রিয় দের জন্যেও বান্দরবান অতি রোমাঞ্চকর জায়গা। এখানে আকাশ ছোঁয়া পাহাড়, সবুজ গহীন বনানী আর এর মধ্যেই লুকিয়ে থাকা জলপ্রপাত, বুনো এক আনন্দ-হাসি-কান্না-উচ্ছ্বাসে মাতিয়ে তুলবে আপনাকে। এই বান্দরবানেরই উল্লেখযোগ্য একটি দর্শনীয় আর রোমাঞ্চকর জলপ্রপাত অমিয়াখুম যা বাংলার ভূ স্বর্গ হিসেবেও পরিচিত।

সাদা ফেনিল জলরাশি আর তার গভীর পতনের শব্দ মন্ত্রমুগ্ধকরে দেয় পর্যটকদের। পাথুরে পাহাড়ের মাঝে এমন দৃশ্য না দেখে বুঝা যাবে না কতোটা মায়া আর সৌন্দর্য ধরে রেখেছে এই অমিয়াখুম।

 

কিভাবে যাবেন?

আমিয়াখুম যেতে চাইলে দেশের যেকোন স্থান হতে প্রথমে বান্দরবান জেলায় চলে আসুন। এরপর থানচি উপজেলা হয়ে আমিয়াখুম যেতে হয়। থানচি থেকে দুইপথে আমিয়াখুম যাওয়া যায়।

রুট ১: থানচি>পদ্মঝিরি>থুইসাপাড়া>দেবতাপাহাড়>আমিয়াখুম।
রুট ২: থানচি>রেমাক্রি>নাফাখুম>জিনাপাড়া>থুইসাপাড়া>দেবতাপাহাড়>আমিয়াখুম।

বান্দরবান থেকে লোকাল বাস কিংবা চান্দের গাড়িতে করে থানচি যেতে হবে। লোকাল বাসে জনপ্রতি ভাড়া ২২০ টাকা আর চান্দের গাড়ির ভাড়া চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা। বাসে যেতে সময় লাগে সাড়ে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা আর চান্দের গাড়িতে প্রায় ৩ ঘণ্টা।

থানচি নেমেই একজন গাইড ঠিক করে নেবেন। তারপর নৌকা নিয়ে সাঙ্গু নদীর বুকে চড়ে পদ্মঝিরি। সেখান থেকে ৭ ঘণ্টার মতো ট্র্যাকিং করে থুইসাপাড়া। এখানে রাত্রি যাপন করে পরদিন সকালে আরো  দু তিন ঘণ্টার মতো ট্র্যাকিং করে অমিয়াখুম।

আরেকটা উপায় আছে অমিয়াখুম যাওয়ার। এক্ষেত্রে রেমাক্রি হয়ে যেতে হবে। থানচি থেকে বোটে করে সরাসরি রেমাক্রি যাবেন। তারপর ট্র্যাকিং করে নাফাখুম জলপ্রপাত দেখে থুইসাপাড়া গিয়েও পৌঁছাতে পারেন অমিয়াখুম। দুইটা জলপ্রপাত ই দেখা হয়ে যাবে এই রুটে।

কোথায় খাবেন?

আপনার ট্রেকিং এর পথে খাওবার জন্যে স্থানীয় আদিবাসীদের ঘরেই খেতে হবে। পর্যটকদের সুবিধার জন্যে বিভিন্ন প্যাকেজে খাওয়ার ব্যবস্থা আছে। কোথায় কি খাবেন তার জন্যে গাইডের সাথে আগেই পরামর্শ করে নিন। জুম চালের ভাত, সবজি, ডাল, পাহাড়ী মুরগী, আলু ভর্তা এইরকম খাবারের প্যাকেজ অনুযায়ী খেতে পারবেন। আর সাথে করে অবশ্যই পরিমান ও পরিকল্পনা মাফিক শুকনো খাবার যেমন বিস্কিট, চকোলেট, চিড়া, মুড়ি, খেজুর এমন সব খাবার নিয়ে যাবেন। পুরো যাত্রাপথে কঠিন পরিশ্রমের ট্রেকিং করতে হবে।

 

You might like

Get the mobile app!

Our app has all your booking needs covered: Secure payment channels, easy 4-step booking process, and sleek user designs. What more could you ask for?