বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্মৃতি জাদুঘর | Bir Sreshtho Mostafa Kamal Memorial Museum 04/05/2021


PC:


আলোকচিত্র : Arif Ahmed 

বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরটি ২০০৮ সালের ৩ মে যাদুঘর ও গ্রন্থাগার নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছিল। এটি মোস্তফা নগরে অবস্থিত ভোলা শহর থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার দূরে আলীনগর ইউনিয়নে। নির্মিত হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং বীরদের গল্প ভবিষ্যতের প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য।

 

মোস্তফা কামালের জন্ম ১৯৪৭ সালে ভোলা জেলার দৌলতখানা উপজেলাধীন পশম হাজীপুর গ্রামে। তাঁর বাবা সেনাবাহিনীতে হাবিলদার ছিলেন। কামালের পড়াশোনা ছিল মাত্র দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত এবং তাঁর শৈশবকাল বেশিরভাগ সময় তাঁর বাবার সাথে কুমিল্লা সেনানিবাসে কাটিয়েছিলেন। ১৯৬৭ সালের ১৬ই ডিসেম্বর, কামাল তাঁর বাসা থেকে পালিয়ে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে যোগদান করেন। মোস্তফা কামাল ছিলেন একজন প্রখ্যাত বক্সার। ১৯৭১ সালের মার্চের মাঝামাঝি সময়ে তিনি কুমিল্লা সেনানিবাস থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চতুর্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সদর দফতরে স্থানান্তরিত হন। যুদ্ধের সময় তাঁকে মৌখিকভাবে ল্যান্স নায়েকের দ্বায়িত্ব দেয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় সমক্ষ যুদ্ধে এই বীর সন্তান পাকিস্তানি হানাদার বাহিনির হাতে শাহাদাৎ বরণ করেন।

 

জাদুঘরে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের বিভিন্ন স্মৃতিচিহ্ন, বীরশ্রেষ্ঠর ব্যবহৃত সামগ্রী, ছবি এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের ধারক বিভিন্ন গ্রন্থ স্থান পেয়েছে। এছাড়া লাইব্রেরীতে আরও আছে বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গের জীবনী, উপন্যাস, ধর্মীয় গ্রন্থ, বিজ্ঞান বিষয়ক রচনাবলী, সাধারণ জ্ঞান, শিশুসাহিত্য, কবিতাসমগ্রসহ নানান ধরনের বৈচিত্র্যময় বইয়ের সমৃদ্ধ সংগ্রহ। জাদুঘরটি সরকারী ছুটির দিন বাদে প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে ৪টা অবদি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকে।

 

কিভাবে যাবেন?

ভোলা জেলা শহর থেকে বাস, সিএনজি এবং অটোরিকশায় চড়ে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্মৃতি জাদুঘর পৌঁছাতে পারবেন।

You might like

Get the mobile app!

Our app has all your booking needs covered: Secure payment channels, easy 4-step booking process, and sleek user designs. What more could you ask for?