চর আলেকজান্ডার | Char Alexander 18/04/2021


PC:


PC : Asikul Islam Himel | CC BY-SA 4.0

 

এক বাক্যে সমুদ্র, হ্রদ বা নদী দ্বারা বেষ্টিত অঞ্চল নদীর গলিতে বা মোহনায় অবসন্ন হওয়ার ফলস্বরূপ গঠিত ভূখণ্ডকে সাধারণত "চর" বলা হয়। মেঘনার মোহনায় গড়ে ওঠা একটি জনপদ লক্ষ্মীপুরের চর আলেকজান্ডার। নোয়াখালীর সোনাপুর হতে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই চর আলেকজান্ডার চারদিকে সবুজ মাঠ, নিরিবিলি এলাকায় পরিপূর্ণ।

 

ইতিহাস অনুযায়ী, ব্রিটিশ শাসনামলে রামগতি এসিল্যান্ড অফিসে আলেকজান্ডার নামে এক ইংরেজ ভদ্রলোক রেভিনিউ কালেকটর পদে কর্মরত ছিলেন। তার নাম অনুসারে এই ইউনিয়নের নামকরণ করা হয় আলেকজান্ডার৷ নদীর ক্রমাগত ভাঙ্গনে এখানে পৌর শহরের পাশ দিয়েই বয়ে গেছে মেঘনা নদী। এই নদী ভাঙ্গন রোদে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে এখানে তৈরি করা হয়েছে কংক্রিটের তৈরি বাঁধ। বাঁধ তৈরির ফলে পলি জমে জমে তৈরি হয়েছে দীর্ঘ বেলাভূমি। আর মেঘনার চমৎকার এক রূপ তাতে এসে ধরা দেয়।

 

চারদিকে সবুজ মাঠ, বাঁধের গায়ে আঁচড়ে পড়া মেঘনার ঢেউ সাথে প্রাকৃতির অপার সৌন্দর্য্য দেখে প্রশান্তির ছোঁয়া খুঁজে পাওয়া যায়। হাতে আরো কিছুটা সময় থাকলে চর আলেকজান্ডারের চেয়ারম্যান ঘাট ছাড়াও সূবর্ণ চর এবং নুরু পাটোয়ারীর চরও ঘুরে দেখে আসতে পারেন। দেখতে পারবেন নদীর বুকে জেলেদের রূপালি ইলিশ ধরার কর্মব্যস্ত জীবন। নদীর তাজা ইলিশ কিনতে এখানে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরের ঘাটে দূর দূরান্ত থেকেও মানুষ আসে।

 

কিভাবে যাবেন?

রাজধানী ঢাকার সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে গ্রীনল্যান্ড এক্সপ্রেস, আলবারাকা, আলম, রয়েল, ইকোনো এবং ঢাকা এক্সপ্রেস সহ বেশ কিছু পরিবহণের বাস লক্ষ্মীপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এদের মধ্যে শুধুমাত্র রয়েলের এসি কোচ রয়েছে। সায়েদাবাদ থেকে লক্ষ্মীপুর যেতে ৪/৫ ঘন্টা সময় লাগে। ঢাকা থেকে লক্ষ্মীপুর যেতে বাসভেদে জনপ্রতি ভাড়া লাগে ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা (পরিবর্তনশীল)। বাস থেকে লক্ষ্মীপুর ঝুমুর সিনেমা হলের সামনে নেমে সেখান থেকে লোকাল বাসে চড়ে আলেকজেন্ডার ঘাট পর্যন্ত আসতে জনপ্রতি ৫০ টাকা (পরিবর্তনশীল) ভাড়া লাগে।

এছাড়া চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি রামগতির বাসে চড়ে আলেকজান্ডার লঞ্চ ঘাটে আসা যায়। অথবা ঢাকা থেকে নোয়াখালীগামী হিমাচল কিংবা একুশে এক্সপ্রেস বাসে চড়ে সোনাপুর নেমে সেখান থেকে সূবর্ণচর এক্সপ্রেস বাস কিংবা সিএনজিতে চর আলেকজেন্ডারের চেয়ারম্যান ঘাট আসা যায়।

 

কোথায় খাবেন?

লক্ষ্মীপুরে বিভিন্ন মানের হোটেল, ফাস্টফুড শপ এবং চাইনিজ রেস্টুরেন্ট রয়েছে। খাবার খেতে যেতে পারেন হোটেল রাজমহল, কুটুম বাড়ি, আব্বাস আলী রেস্টুরেন্ট, মোহাম্মদীয়া হোটেল অথবা ফুড গার্ডেন রেস্টুরেন্টে।

You might like

Get the mobile app!

Our app has all your booking needs covered: Secure payment channels, easy 4-step booking process, and sleek user designs. What more could you ask for?