ইনানী বিচ | Inani Beach
02/05/2021
সাজেক ভ্যালি | Sajek…
16/04/2021
চা বাগান | Cha Bagan
03/05/2021
রামু বৌদ্ধ বিহার | Ramu…
02/05/2021
02/05/2021
16/04/2021
03/05/2021
02/05/2021
হযরত খান জাহান আলীর (র:) মাজার খুলনা বিভাগের বাগেরহাট জেলায় অবস্থিত। বাগেরহাট জেলা যে কয়জন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মাধ্যমে বাংলাদেশে সুপরিচিতি লাভ করেছে হযরত খান জাহান আলী (র:) তাদের মধ্যে অন্যতম। ভারতে জন্মগ্রহন করলেও তিনি বাংলাদেশের যশোর, বাগেরহাট অঞ্চলে আসেন ধর্ম প্রচার করতে। বাগেরহাটে নির্মাণ করেন স্বরণকালের বিখ্যাত মসজিদ ষাট গম্বুজ মসজিদ।
হযরত খানজাহান আলি (র.) ছিলেন একজন মুসলিম ধর্ম প্রচারক এবং বাংলাদেশের বাগেরহাটের স্থানীয় শাসক। তাঁর অন্যান্য নামের মধ্যে রয়েছে উলুঘ খান, খান-ই-আজম ইত্যাদি। ১৩৬৯ খ্রিষ্টাব্দে দিল্লিতে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তাঁর পিতার নাম আকবর খাঁ এবং মাতার নাম আম্বিয়া বিবি। ধারণা করা হয় যে তার পূর্বপুরুষগণ তুরস্কের অধিবাসী ছিলেন। খানজাহান আলির প্রাথমিক শিক্ষা তার পিতার কাছে শুরু হলেও তিনি তার মাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন দিল্লিস্থ বিখ্যাত ওয়ালি এ কামিল পির শাহ নেয়ামত উল্লাহর কাছে।
খানজাহান আলি, সুলতান খানজাহানের নেতৃত্বে ৬০,০০০ সুশিক্ষিত অগ্রবর্তী সেনাদল সহ আরও দুই লক্ষ সৈন্য নিয়ে বাংলা আক্রমণ করলে রাজা গণেশ দিনাজপুরের ভাতুরিয়াতে আশ্রয় নেন। ১৪১৮ খ্রিষ্টাব্দে খানজাহান যশোরের বারবাজারে অবস্থান নেন এবং বাংলার দক্ষিণ পশ্চিম অংশে ইসলাম ধর্ম প্রচার ও প্রসার আরম্ভ করেন। সুলতানের প্রতিনিধি হিসাবেই খান জাহান আলী বাগেরহাট অঞ্চলে জনপদ সৃষ্টি করে “খলিফাত-ই-আবাদ” নামকরণ করেন এবং ৩৬০ জন আউলিয়ার আগমনের সংখ্যার সাথে মিল রেখে তিনি ভাটি অঞ্চলে ৩৬০ টি মসজিদ নির্মাণ ও ৩৬০ টি দীঘি খনন করে ছিলেন।
খানজাহানের প্রথম স্ত্রীর নাম সোনা বিবি। কথিত আছে, সোনা বিবি ছিলেন খানজাহানের পির নুর-কুতুবুল আলমের একমাত্র কন্যা। দ্বিতীয় স্ত্রী রূপা বিবি ওরফে বিবি বেগনি ধর্মান্তরিত মুসলমান ছিলেন। খানজাহান আলি তাঁর দুই স্ত্রীর নাম অনুসারে সোনা মসজিদ এবং বিবি বেগনি মসজিদ নামে মসজিদ নির্মাণ করেন। হযরত খানজাহান আলি (র.) অক্টোবর ২৫, ১৪৫৯ তারিখে (মাজারশরিফের শিলালিপি অনুযায়ী ৮৬৩ হিজরি ২৬শে জিলহাজ) ষাট গম্বুজ মসজিদের দরবার গৃহে এশার নামাজ রত অবস্থায় ৯০ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
খাঞ্জেলী দীঘির উত্তর পাড়ে তাঁর সমাধি সৌধ নির্মিণ করা হয়েছে। খান জাহান আলীর সমাধি সৌধটি বর্গাকৃতি। সৌধের প্রাচীর ২৫ ফুট উঁচু এবং এর ছাদে রয়েছে একটি গম্বুজ। এই সমাধি সৌধের ভিতরে একটি পাথরের বেদিতে হযরত খানজাহান আলীর মাজার অবস্থিত। দরগাহ বা মাজারের স্থাপত্যশৈলীর সাথে ষাটগুম্বুজ মসজিদের বেশ মিল রয়েছে। প্রতি বছর বাংলা বর্ষপুঞ্জির ২৫ অগ্রহায়ণ খান জাহান আলী মাজার প্রাঙ্গনে বার্ষিক ওরশ মোবারক অনুষ্ঠিত হয়। আর চৈত্র মাসের প্রথম পূর্ণিমায় এখানে মেলা অনুষ্ঠিত হয়। খান জাহান আলীর মাজার দেখতে, ওরশ এবং মেলায় সারাদেশ থেকে হাজার হাজার ভক্ত মাজারে এসে সমবেত হন।
কিভাবে যাবেন?
খান জাহান আলীর মাজার শরীফ বাগেরহাট শহর থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে এবং খুলনা থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থিত। খুলনা বাগেরহাট মহাসড়ক থেকে মাত্র ৩০০ গজ দূরত্বে খান জাহান আলীর মাজার শরীফের অবস্থান। খুলনা বাগেরহাট মহাসড়কে বাস থেকে নেমে ৫ মিনিট পায়ে হেটে মাজারে যেতে পারবেন।
কোথায় খাবেন?
এখানে কিছু সাধারণ মানের খাবার হোটেল রয়েছে তাই খাওয়ার জন্য বাসস্ট্যান্ড কিংবা দরগার কাছে হোটেলগুলোতে যেতে পারেন। তবে অবশ্যই খাবারের মান ও দাম সম্পর্কে জেনে নিন।