ইনানী বিচ | Inani Beach
02/05/2021
সাজেক ভ্যালি | Sajek…
16/04/2021
চা বাগান | Cha Bagan
03/05/2021
রামু বৌদ্ধ বিহার | Ramu…
02/05/2021
02/05/2021
16/04/2021
03/05/2021
02/05/2021
কোদলা মঠ বাগেরহাট শহর থেকে আনুমানিক ১০ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে পুরাতন রূপসা-বাগেরহাট সড়কের যাত্রাপুর বাজার হতে প্রায় ৩ কিলোমিটার ভেতরে বাগেরহাট সদর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের অযোধ্যা গ্রামে প্রাচীন ভৈরব নদীর পূর্ব তীরে অবস্থিত। স্থানীয় অনেকের কাছে মঠটি অযোধ্যার মঠ হিসেবেও পরিচিত। বাগেরহাটের বিশ্ব ঐতিহ্য ষাট গম্বুজ মসজিদ থেকে এই মঠের দূরত্ব প্রায় ১০ কিলোমিটার।
কোদলা মঠ থেকে প্রাপ্ত খণ্ডলিপি অনুসারে, তারক ব্রহ্মের অনুগ্রহ লাভের আশায় জনৈক ব্রাহ্মণ এই মঠটি নির্মাণ করেছিলেন। অন্য সূত্র মতে, যশোরের বারো ভুঁইয়াদের অন্যতম রাজা প্রতাপাদিত্যের উদ্যোগে তাঁর গুরু অবিলম্বা সরস্বতীর স্মৃতিস্তম্ভ হিসেবে কোদলা মঠটি নির্মাণ করা হয়। মূলত বাগেরহাটের রাজা প্রতাপাদিত্যের স্মৃতি এবং বাংলার সমৃদ্ধ হিন্দু ঐতিহ্য ও স্থাপত্যশিল্পের এক উজ্জ্বল নিদর্শন। বর্গাকার ভূমি পরিকল্পনায় চতুষ্কোণ বিশিষ্ট ভিতের উপর নির্মিত হয়েছে অনিন্দ্যসুন্দর এ মঠটি।
নান্দ্যনিক কারুকার্যমণ্ডিত এই মঠে উড়িষ্যা অঞ্চলে খ্রিষ্টীয় ষোড়শ শতাব্দীর দিকে “রেখা” নমুনার পদ্ধতিতে নির্মিত মন্দিরগুলোর প্রভাব রয়েছে। চারকোণা ভিতের উপর শিখর বা রেখা ধাঁচে নির্মিত পিরামিডাকৃতির স্থাপত্য ভারতীয় অঞ্চলে নাগারা স্টাইল হিসেবে পরিচিত। চিকন ইটের প্রাচীরের এই মঠের ভূমি থেকে উচ্চতা ১৮.২৯ মিটার, ও ভেতরের প্রত্যেকটি বর্গাকার দেয়ালের দৈর্ঘ্য ২.৬১ মিটার। মঠের উত্তরের দিকের দেয়াল ব্যতীত অন্য তিনদিকে তিনটি প্রবেশ দ্বার রয়েছে। তবে দক্ষিণ দিকের প্রধান প্রবেশ দ্বারে রয়েছে পোড়া মাটির আকর্ষণীয় নকশা লক্ষ করা যায়। আর মঠের বাইরের দিকে পাঁচ কুলুঙ্গি বিশিষ্ট বহুভূজাকৃতি দেয়াল এবং পোড়ামাটির নয়ানভিরাম কারুকার্যময় অলংকরণ কোদলা মঠের মূল আকর্ষণ। বর্তমানে প্রাচীন এই মঠটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অধীনে রয়েছে।
কিভাবে যাবেন?
বাগেরহাট বাস স্ট্যান্ড থেকে রিকশা নিয়ে যাত্রাপুর বাজারে নেমে প্রাচীন ভৈরব নদীর পূর্ব দিকে আরও ৩ কিলোমিটার এগিয়ে গেলেই অপূর্ব সুন্দর এই মঠ দেখতে পাবেন।
কোথায় খাবেন?
বাগেরহাটের স্থানীয় খাবারের মধ্যে নারিকেল চিংড়ি সবচেয়ে জনপ্রিয়। এছাড়া শহরে রাধুনি হোটেল ও ধানসিঁড়ি হোটেলের মত বেশকিছু ভালমানের হোটেল ও রেস্তোরাঁ রয়েছে।