লোহাগড় মঠ | Lohagor Moth 02/05/2021


PC:


চাদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার চান্দ্রা বাজার থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে অবস্থিত লোহাগড় মঠ একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন নিদর্শন। লোহাগড় বাড়ির দুইজন  অত্যাচারী ও প্রতাপশালী জমিদার লৌহ এবং গহড় নামানুসারে এলাকাটির নাম রাখা হয় লোহাগড়। জমিদারদের নামানুসারে গ্রামের সাথে মিল রেখেই তাদের স্থাপত্যশৈলিরও নাম রাখা হয় লোহাগড় মঠ।

 

আজ থেকে প্রায় চার’শ থেকে সাত'শ বছর পূর্বে লোহাগড়ের জমিদাররা এই এলাকাটিতে রাজত্ব করতেন। মঠের মত বিশালাকার এই দুটি প্রাসাদেই জমিদাররা তাদের বিচারকার্য সম্পাদন করতেন। জনৈক এক ব্রিটিশ কর্তাব্যক্তি রাস্তা সম্পর্কে জমিদারের নিন্দা করলে জমিদার সেই কর্তাব্যক্তির জন্য নদীর তীর হতে জমিদার বাড়ি পর্যন্ত সিকি ও আধুলি মুদ্রা দিয়ে রাস্তা তৈরী করেন। যার প্রস্থ ছিল ২ হাত, উচ্চতা ১ হাত ও দৈর্ঘ্য ২০০ হাত। পরবর্তীতে ঐ রাস্তাটিতে স্বর্ণ-মুদ্রা দ্বারা ভরিয়ে দেয়া হয়।

 

মঠটি কে এবং কবে নির্মাণ করেছিলেন এ ব্যাপারে সন্দেহ রয়েছে। তবে, কিছুসূত্র থেকে জানা যায় যে ওই দুই ভাই এই মঠটি নির্মাণ করেছিলেন। শুরুতে এখানে পাশাপাশি পাঁচটি মঠ ছিল তবে বর্তমানে এখানে মাত্র তিনটি মঠ অবশিষ্ট রয়েছে। বর্তমানে টিকে থাকা তিনটি মঠ ভিন্ন ভিন্ন উচ্চতার। সবচেয়ে লম্বা মঠটি সবচেয়ে সুন্দর যেটির উপরিভাগে নিম্নভাগের চেয়ে অনেক বেশি নকশার কাজ রয়েছে। এই মঠটির উপরিভাগ দেখতে অনেকটা প্যাগোডার উপরিভাগের মত। মঠটির উপরে কয়েকটি গর্ত রয়েছে যেখানে টিয়াপাখি বাস করে।

 

কিভাবে যাবেন?

চাঁদপুর শহর থেকে লোহাগড়া মঠের দূরত্ব প্রায় ১২ কিলোমিটার। চাঁদপুর শহর জেলা সদর থেকে বাস, সিএনজি বা মোটর সাইকেলে চান্দ্রা বাজার হয়ে লোহাগড়া মঠ পৌছাতে পারবেন।

 

 

You might like

Get the mobile app!

Our app has all your booking needs covered: Secure payment channels, easy 4-step booking process, and sleek user designs. What more could you ask for?