লক্ষণছড়া | Lokkhonchora 03/05/2021


PC:


সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার এক অনন্য পাহাড়ি এলাকা লক্ষণছড়া। পান্তুমাই ঝর্ণা থেকে পিয়াইন নদী ধরে হাদারপাড়ের পথে দেখা যাবে আরেকটি পাহাড়ি ঝিরি যা ভারতের মেঘালয় পাহাড় থেকে বাংলাদেশে প্রবাহিত হয়েছে। এর নামই মূলত লক্ষণছড়া।

 

গ্রামের ভিতর দিয়ে ভারতীয় সীমান্ত ঘেষে মিনিট বিশেক হাটার পর লক্ষনছড়া পৌঁছে যাবেন। অনেকটা বিছনাকান্দির রুপে রঙিন লক্ষনছড়ায় ভারতের ঝর্ণা থেকে সৃষ্ট পাথুরে ঝিরিপথ রয়েছে। লক্ষণছড়ার পানি বেশ শীতল। ভারত ও আমাদের দেশের বাসিন্দারা নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে এ ছড়ার পানিই ব্যবহার করে থাকেন। ভারতীয় সীমানায় চলাচলের জন্য তৈরি ব্রিজের নিচ দিয়ে যাওয়া ঝিরিপথটি দেখতে অনেক চমৎকার লাগে।  শীতকাল ভ্রমণের জন্য আদর্শ সময় হলেও লক্ষণছড়ার জলজ রূপকথার পরিপূর্ণতা উপভোগ করতে হলে সেখানে যেতে হবে ভরা বর্ষায়।

 

কিভাবে যাবেন?

সিলেট থেকে লক্ষনছড়া দুই পথে যেতে পারবেন। এক পথে সিলেট থেকে গোয়াইনঘাট হয়ে হাদারপার এসে নৌকা ঠিক করতে হয়। সিলেট থেকে গোয়াইনঘাট আসার সময় গোয়াইনঘাট বাজার হতে দুপুরের খাবার খেয়ে পারেন কিংবা প্রয়োজন বোধে সাথে খাবার নিতে পারেন।

গোয়াইন ঘাট থেকে সিএনজি নিয়ে হাদারপাড় এসে বিছনাকান্দি, লক্ষনছড়া এবং পান্থুমাই দেখার জন্য একসাথে নৌকা ঠিক করে নিন। আবার সিলেটের আম্বরখানা থেকে লোকালে বা সিএনজি রিজার্ভ নিয়েও হাদারপার আসতে পারবেন। বিছনাকান্দি, লক্ষনছড়া এবং পান্থুমাই ঘুরে দেখার জন্য নৌকা ভাড়া লাগবে ১১০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত। জায়গাগুলো দেখে হাদারপাড় ফিরে আসতে প্রায় ৫/৬ ঘন্টা সময় লাগে।

 

কোথায় খাবেন?

সিলেটের জিন্দাবাজারে অবস্থিত হোটেল পাঁচ ভাই, পানশি এবং পালকি দেশীয় খাবারের বিভিন আইটেমের জন্য প্রসিদ্ধ। এছাড়া হাদারপারের গনি মিয়ার ভূনা খিচুড়ি খেতে ভুল করবেন না।

You might like

Get the mobile app!

Our app has all your booking needs covered: Secure payment channels, easy 4-step booking process, and sleek user designs. What more could you ask for?