মহামুনি বৌদ্ধ বিহার | Mahamuni Buddha Bihar 02/05/2021


PC:


চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানাধীন পাহাড়তলী ইউনিয়নের পাহাড়তলী গ্রামের ঠিক মধ্যস্থলে একটি অনুচ্চ টিলার উপর মহামুনি বিহার অবস্থিত। এ বিহারটি প্রতিষ্ঠাকাল নিয়ে মতবিরোধ আছে অনেকের। কারও ধারণা, ১৮১৩ সালে পুণ্যাত্মা ভিক্ষু চাইংগা ঠাকুর স্বগ্রামবাসীর সামগ্রিক সহায়তায় এ বিহারটি প্রতিষ্ঠা করেন। এ কারণে গৌতম বুদ্ধের নামের সাথে মিলিয়ে নাম রাখা হয় মহামুনি মন্দির। কিন্তু ডক্টর রামচন্দ্র বড়ুয়ার মতে, মহামুনি মূর্তি ও মন্দির ১৮০৫ সালে নির্মাণ করা হয়েছে। তিনি তাঁর গ্রন্থে উল্লেখ করেছে “১২৬৭ মগাব্দের ১০০ বছর পূর্বে (১৮০৫ খ্রিঃ) মহামুনি মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে”(চট্টগ্রামের মগের ইতিহাস প্রাগুক্ত, পৃ, ১৬)। এমনতাবস্থায় নিঃসন্দেহে বলা যায় উনবিংশ শতকের প্রথম দুদশকের মধ্যেই এ বিহার ও মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল।

 

১৮৪৩ খ্রিষ্টাব্দে মং সার্কেল রাজা মহামুনি বৌদ্ধ বিহার চত্বরে চৈত্র মাসের শেষ দিন থেকে এক মেলার প্রবর্তন করেন। যা দেশজুড়ে মহামুনি মেলা নামে পরিচিতি লাভ করে। তৎকালীন সময়ে অবিভক্ত বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর দর্শনার্থী মেলায় আগমন করতেন। ঐতিহাসিক মহামুনি বৌদ্ধ বিহারের জন্য বর্তমানে এই গ্রামটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে এক পবিত্র তীর্থস্থানে পরিণত হয়েছে।

 

কিভাবে যাবেন?

মহামুনি বৌদ্ধ বিহার দেখতে যেতে চাইলে প্রথমে চট্টগ্রাম আসতে হবে। এরপর চট্টগ্রাম থেকে বাসে কাপ্তাই সড়ক ধরে রাউজান পাহাড়তলী নেমে সিএনজি কিংবা রিকশায় চড়ে মহামুনি বৌদ্ধ বিহার যেতে পারবেন।

 

কোথায় খাবেন?

চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্বাদ নিতে চাইলে হোটেল জামান থেকে ঘুরে আসতে পারেন। আর মেজবানি খাবারের জন চকবাজারে অবস্থিত “মেজবান হাইলে আইয়্যুন” রেস্তোরার বেশ সুনাম রয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম শহরে জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বেশকিছু ভালমানের রেস্টুরেন্ট আছে। এদের মধ্যে বারকোড ক্যাফে, মিলেঞ্জ রেস্টুরেন্ট, গ্রিডি গাটস, ক্যাফে ৮৮, সেভেন ডেইজ, ধাবা, হান্ডির নাম, গলফ গার্ডেন রেস্টুরেন্ট, কোষ্টাল মারমেইড রেস্টুরেন্ট এন্ড লাউঞ্জ, বোনানজা পোর্ট রেস্টুরেন্ট ইত্যাদি উল্লেখযোগ্

You might like

Get the mobile app!

Our app has all your booking needs covered: Secure payment channels, easy 4-step booking process, and sleek user designs. What more could you ask for?