রণবিজয়পুর মসজিদ | Ronobijoypur Masjid 04/05/2021


PC:


রণবিজয়পুর মসজিদ খানজাহান-ই রীতির আর একটি গুরুত্বপূর্ণ ইমারত । হযরত খান জাহান আলীর মাজার থেকে উত্তর দিকের রাস্তা বরাবর প্রায় অর্ধ কি.মি. ভেতরে অবস্থিত এ মসজিদটি। বাগেরহাট জেলা সদর থেকে প্রায় ৩.৫ কিলোমিটার পশ্চিমে এবং  ষাট গম্বুজ মসজিদ থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে পূর্ব দিকে রণবিজয়পুর মসজিদের অবস্থান। ফকির বাড়ি মসজিদ নামেও একে অনেকেই জানেন। বাংলাদেশের এক গুম্বজ বিশিষ্ট মসজিদের মধ্যে সর্ববৃহৎ মসজিদ এটি। জানা যায় মসজিদটির আদি নাম দরিয়া খাঁ’র মসজিদ।

 

ধারণা করা হয়, ১৪৫৯ সালে হযরত খান জাহান আলীর আমলে হযরত খান জাহান আলীর সহচর দরিয়া খাঁ রণবিজয়পুর মসজিদ নির্মাণ করেন। ইটের তৈরি মসজিদটি বর্গকারে তৈরি। এক কক্ষ বিশিষ্ট এই মসজিদের উপরের দিকে একটি অর্ধবৃত্তাকার গম্বুজ দিয়ে ঢাকা। পুরু ইটের দেয়াল বিশিষ্ট রণবিজয়পুর মসজিদের বাইরের দিকে আয়তন ৫৬ বর্গফুট ও ভেতরের দিকে আয়তন ৩৬ বর্গফুট এবং মসজিদের প্রাচীর প্রায় ১০ ফুট চওড়া। কিবলা দেয়াল ছাড়া প্রতি দেয়ালেই তিনটি করে প্রবেশপথ আছে। ফুলের নকশাকৃত ৩টি মেহরাবের মধ্যে মাঝখানের প্রধান মেহরাবটি অপেক্ষাকৃত বড়। বক্রাকার কার্নিশযুক্ত মসজিদের চারকোণায় খান জাহানী স্থাপত্যে নির্মিত গোলাকার ৪টি মিনার রয়েছে।

 

১৯৬১ সালে রনবিজয়পুর মসজিদকে সংরক্ষিত স্থাপনা হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং সংস্কার করা হয়। রণবিজয়পুর গ্রামের নামেই এই মসজিদের নামকরণ হয়েছে। ধারণা করা হয় এখানে কোনো এককালে যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। সেই যুদ্ধে বিজয়ের স্মরণে এই জায়গার নাম হয় রণবিজয়পুর।

 

কিভাবে যাবেন?

বাগেরহাট জেলায় পৌঁছে অটোরিকশা ভাড়া করে রণবিজয়পুর মসজিদ দর্শন করতে যেতে পারবেন। আবার, বাগেরহাটের খুলনা মহাসড়ক হয়ে খান জাহান আলীর মাজারের প্রধান গেটের বিপরীতে রণবিজয় সড়ক ধরে মিনিট দশেক হেটে মসজিদে যাওয়া যায়।

 

কোথায় খাবেন?

বাগেরহাট শহরে রাধুনি হোটেল ও ধানসিঁড়ি হোটেলের মত বেশকিছু ভালমানের হোটেল ও রেস্তোরাঁ আছে। বাগেরহাটের জনপ্রিয় খাবারের মধ্যে নারিকেল চিংড়ি অন্যতম।

You might like

Get the mobile app!

Our app has all your booking needs covered: Secure payment channels, easy 4-step booking process, and sleek user designs. What more could you ask for?