রূপসা জমিদার বাড়ি | Rupsha Jomidar Bari 02/05/2021


PC:


চাঁদপুর জেলার প্রাচীন জনপদ ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা গ্রামে অবস্থিত রূপসা জমিদার বাড়িটি কালের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে প্রায় আড়াই শ’ বছর ধরে। ১৮ শতকের মাঝামাঝি সময়ে আহম্মদ রাজা ব্রিটিশদের কাছ থেকে জমিদারি কিনে এখানে জমিদার বাড়ি নির্মাণ করেন। পরবর্তীতে আহম্মদ রাজার পুত্র মোহাম্মদ গাজী উত্তরাধিকার সূত্রে জমিদারি লাভ করে। ঊনিশ শতকে মোহাম্মদ গাজীর সুযোগ্য পুত্র আহমেদ গাজী চৌধুরীর হাত ধরে রূপসা গ্রামে জমিদার পরিবারের প্রসার লাভ করে। জমিদার আহমেদ গাজী ছিলেন প্রজাহিতৈষী একজন সমাজসেবক। দয়া ও দানশীলতা তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যকে নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়।

 

জমিদার বাড়ির সামনে বিশাল মাঠ। জমিদার বাড়িতে ইট দিয়ে তৈরি করা মোট তিনটি ভবন আছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে মূল ভবন,  আর একটি আছে মুল ভবনের বাম পাশে এবং আরেকটি আছে মূল ভবনের পিছনে। এছাড়াও আছে টিন  দিয়ে তৈরি করা তিনটি ঘর । জমিদার বাড়িতে ঢুকার পথে ডানপাশে আছে জমিদার বাড়ির মসজিদ এবং জমিদার বাড়ির কবরস্থান। আর ঘাটবাঁধানো একটি বিশাল পুকুর  ও জমিদার বাড়ির প্রবেশদ্বার।  জমিদারদের সুবাদে এখনও ওখানে থাকে সে সময়কার সৈনিক, রাজ কর্মচারীদের প্রায় ৪০ টি পরিবার। জমিদার আহমেদ গাজী জনকল্যাণমূলক কাজের জন্য তাঁর বেশকিছু জমি ওয়াকফ করে যান এবং রূপসা আহমদিয়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় এবং রূপসা আহমদিয়া মাদ্রাসা ও মসজিদসহ বেশকিছু প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন। শত বছরের জমিদারির ইতিহাস নিয়ে নিভৃত্বে দাড়িতে আছে এই রুপসা জমিদার বাড়ি।

 

কিভাবে যাবেন?

চাঁদপুর সদর থেকে রূপসা জমিদার বাড়ির দূরত্ব প্রায় ২১ কিলোমিটার। চাঁদপুর জেলা সদর থেকে সিএনজি/ইজিবাইকে চড়ে সহজেই রূপসা জমিদার বাড়ি দেখতে যেতে পারবেন। চাঁদপুর থেকে রূপসা জমিদার বাড়ি পর্যন্ত সিএনজি রিজার্ভ নিলে ৫০০ টাকার মত ভাড়া লাগে।

 

কোথায় খাবেন?

খিদে মেটানোর জন্য চাঁদপুরে বিভিন্ন মানের বেশকিছু খাবার হোটেল রয়েছে। আপনার পছন্দমত যেকোন হোটেলে খাবার খেয়ে নিতে পারবেন। রিজেনেবল দামে খাবার খেতে চাইলে চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনালের ডান পাশে অবস্থিত বিআইডব্লিউটিএ ক্যান্টিনে ঢু মারতে পারেন। অবশ্যই ফরিদগঞ্জের আউয়াল ভাইয়ের মিষ্টি এবং ওয়ান মিনিট আইসক্রিম এর স্বাদ নিতে পারেন। তাজা ইলিশ খেতে হলে বড়স্টেশনের ঝুপড়ির হোটেল অথবা লঞ্চ ঘাটের হোটেল গুলোতে খেতে পারেন।

You might like

Get the mobile app!

Our app has all your booking needs covered: Secure payment channels, easy 4-step booking process, and sleek user designs. What more could you ask for?