শাহাবুদ্দিন ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি পায় ‘শাহাবুদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ’। অবস্থিত চাঁদপুর জেলা সদরের লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে। জানা যায়, ২০১৫ সালের অক্টোবরে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. শাহাবুদ্দিন অণু লক্ষ্মীপুর গ্রামে এ স্কুল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। ওই বছরই ১১৬ শতাংশ জমি ক্রয় করে নান্দনিক এই স্কুল নির্মাণের কাজ শুরু করে দেন তিনি।

দ্বীতল এ ভবনের ছাদে দেওয়া হয়েছে কারুকাজে সজ্জিত সিমেন্ট শীটের ছাউনি। ভবনের মাঝখানে এবং পূর্বপাশে রয়েছে দুটি প্রশস্ত সিঁড়ি। পূর্বপাশের সিঁড়ির নিচে স্কুলের অফিস কক্ষ। রয়েছে দুটি আলাদা ওয়াশরুম। আছে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জন্য নানা সরঞ্জাম। খোলা মাঠের এক পাশে সুসজ্জিত মসজিদ। গ্রামের রাস্তা এসে মিশেছে এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান ফটকে। খোলা মাঠের এক পাশে সুসজ্জিত মসজিদ। গ্রামের রাস্তা এসে মিশেছে এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান ফটকে। মসজিদটিও দোতলা। চারপাশের প্রাচীরে লম্বা ও ছোট ছোট ফাঁক রাখা হয়েছে, যাতে দিনে সূর্য এবং রাতে চাঁদের আলোয় আলোকিত থাকে মসজিদটি। স্কুল মাঠের উত্তরে রয়েছে একটি শহীদ মিনার।

দুই বছর ধরে স্কুলের কার্যক্রম পুরোদমে চলছে। এখানে প্লে থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত বর্তমানে প্রায় ১৬৮ জন ছাত্র-ছাত্রী লেখাপড়া করছে। এই স্কুলে বর্তমানে ১২ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাচ্ছেন।

কিভাবে যাবেন?

চাদপুর জেলার কালীবাড়ি থেকে ডিরেক্ট লক্ষীপুর ইউনিয়নে শাহাবুদ্দিন স্কুলে যেতে পারেন সেক্ষেত্রে ভাড়া পড়বে মাত্র ২০ টাকা। ভেঙ্গে ভেঙ্গেও যাওয়া যায় তবে সেটা সময় সাপেক্ষ এবং ভাড়া কিঞ্চিৎ পরিমাণ বেশি দিতে হবে। কালীবাড়ি থেকে বহেরিয়া হয়েও আপনি যেতে পারেন শাহাবুদ্দিন স্কুলে।

কোথায় খাবেন?

খিদে মেটানোর জন্য চাঁদপুরে বিভিন্ন মানের বেশকিছু খাবার হোটেল রয়েছে। আপনার পছন্দমত যেকোন হোটেলে খাবার খেয়ে নিতে পারবেন। রিজেনেবল দামে খাবার খেতে চাইলে চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনালের ডান পাশে অবস্থিত বিআইডব্লিউটিএ ক্যান্টিনে ঢু মারতে পারেন। অবশ্যই ফরিদগঞ্জের আউয়াল ভাইয়ের মিষ্টি এবং ওয়ান মিনিট আইসক্রিম এর স্বাদ নিতে পারেন। তাজা ইলিশ খেতে হলে বড়স্টেশনের ঝুপড়ির হোটেল অথবা লঞ্চ ঘাটের হোটেল গুলোতে খেতে পারেন।