শৈলপ্রপাত | Shoilopropat 12/04/2021


PC:


PC :Tanvir Anjum

 

পাহাড়ের কোল বেয়ে অবিরাম প্রবাহমান স্বচ্ছ পানির ধারা একে বেকে গড়িয়ে চলে যাচ্ছে দূরে বহুদুরে, এমনি একটি মনোমুগ্ধকর স্পট শৈলপ্রপাত। বান্দরবান রুমা সড়কে চিম্বুক যাওয়ার পথেই অবস্থিত এ আকর্ষনীয় স্পটটি জেলা শহর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৮ কিঃ মিঃ । পাহাড়ী ঝর্নার পাশাপাশি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপূর্ব সমাহার এ স্থানটিকে করেছে আরও বিশেষিত। ঝর্নার সাথে সাথে এর চারপাশের সবুজ প্রকৃতি আপনাকে মোহিত করবে। রয়েছে বসার জন্য ছাউনি। এখানে বসে বসেই দেখতে পারেন শৈলপ্রপাতের নান্দনিক সৌন্দর্য। বর্ষাকালে,  জলের প্রবাহটি বিশাল স্বর্গীয় আকার ধারণ করে। পানির সহজলভ্যতার কারণে,  আশেপাশে আশেপাশের অঞ্চলে ২-৩টি গ্রাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

শৈলপ্রপাতে সৌন্দর্য একেক মৌসুমে একেক রকম থাকে। বর্ষায় এই শৈলপ্রপাতের রূপ হয়ে ওঠে অপরূপা, বিশাল জলধারা ছটে চলে প্রচণ্ড গতিতে। এছাড়া শীতের সময়েও শৈলপ্রপাতে পর্যটকদের আনাগোনা বেশ লক্ষ্য করা যায়। এই ঝর্ণাটি মূল সড়ক থেকে অনেক নিচে। এজন্য সিঁড়ি করে দেয়া হয়েছে। প্রায় ৬০ টি সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে আপনাকে দেখতে হবে ঝর্ণাটি।

 

শৈলপ্রপাতে বাসরত বম উপজাতীয়দের জীবিকার তাগিদ হিসেবে তাদের হাতে বোনা চাদর, মাফলার, বেডশিটসহ বেত ও বাঁশের তৈরি বিভিন্ন আসবাবপত্র ও তৈজসপত্র ইত্যাদি বিক্রিত জিনিস কিনতে পারেন। বম নারী-পুরুষেরা শৈলপ্রপাতকে ঘিরে এসব জিনিসের পসরা সাজিয়ে বসে। কম মূল্যে কিনে নিতে পারবেন চমৎকার সুন্দর এই জিনিসগুলো। এছাড়াও বমদের উৎপাদিত মৌসুমি ফলমূল এখানে সবসময় পাওয়া যায়। শৈলপ্রপাতের আশপাশেই দেখতে পাবেন বিভিন্ন রকম পাহাড়ি ফলের দোকান। এ ফলগুলোর স্বাদ অসাধারণ। সবচেয়ে মজা পাবেন উপজাতিদের আনারস কেটে বিক্রি করার ধরন দেখে। এমনভাবে আনারস কেটে দেবে যে আপনাকে খাওয়ার জন্য আলাদা প্লেটের প্রয়োজন হবে না। আনারসের ডাটা হাতে রেখেই গোটা আনারস খেয়ে ফেলতে পারবেন।

 

কীভাবে যাবেন?

চট্টগ্রামের বদ্দারহাট থেকে পূবালী ও পূর্বানী নামের দুটি বাদ বান্দারবানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ দুটি বাসে জনপ্রতি ২২০ টাকা ভাড়া লাগে। চট্রগ্রামের ধামপাড়া বাস স্ট্যান্ড থেকে ২০০-৩০০ টাকা ভাড়ায় বাসে করে বান্দরবান আসতে পারবেন। বান্দরবান থেকে সিএনজি/জীপ/চান্দের গাড়ি তে করে শৈলপ্রপাত যেতে পারবেন। শুধু শৈলপ্রপাত দেখতে গেলে যাওয়া আসা সহ খরচ পরবে ৫০০-৮০০ টাকা। এছাড়া আপনি চিম্বুক বা নীলগিরি   গেলে যাওয়ার পথেই দেখতে পারবেন। সেভাবেই ভ্রমণ পরিকল্পনা করে নিতে পারেন।

 

কোথায় খাবেন?

বান্দরবানের কাছে হওয়ায় বান্দরবান শহরেই খাওয়া দাওয়া করতে পারবেন। পর্যটকদের খাবার জন্য বান্দরবান শহরে মাঝারি মানের বেশ কিছু হোটেল রয়েছে। সেগুলো থেকে নিজের পছন্দ মত হোটেলে তিন বেলার খাবার খেয়ে নিতে পারেন। তার মধ্যে তাজিং ডং ক্যাফে, মেঘদূত ক্যাফে, ফুড প্লেস রেস্টুরেন্ট, রুপসী বাংলা রেস্টুরেন্ট, রী সং সং, কলাপাতা রেস্টুরেন্ট ইত্যাদি। 

You might like

Get the mobile app!

Our app has all your booking needs covered: Secure payment channels, easy 4-step booking process, and sleek user designs. What more could you ask for?