ইনানী বিচ | Inani Beach
02/05/2021
সাজেক ভ্যালি | Sajek…
16/04/2021
চা বাগান | Cha Bagan
03/05/2021
রামু বৌদ্ধ বিহার | Ramu…
02/05/2021
02/05/2021
16/04/2021
03/05/2021
02/05/2021
ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের তুলশীগঙ্গা নদীর পূর্ব পার্শ্বে অবস্থিত আছরাঙ্গা দীঘি (Achranga Dighi) একটি ঐতিহ্যবাহী দর্শনীয় স্থান। দীঘিটির সঠিক কোন ইতিহাস লিপিবদ্ধ না থাকলেও জনশ্রুতি আছে তৎকালীন রাজশাহী জেলার তাহিরপুর আদি রাজবংশের পুর্বপুরুষ ভট্টনারায়ণের ১৩শ বংশধর মৌন ভট্ট ৯ম শতকে এই দীঘিটি খনন করেন।
প্রায় ২৬ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত আছরাঙ্গা দীঘির দৈর্ঘ্য ১০০০ ফুট এবং প্রস্থ ১০৭০ ফুট। স্থানীয়দের মতে, রাজশাহী জেলার তাহিরপুরের আদি রাজবংশের জমিদার মৌন ভট্টের আমলে বৃষ্টি না হওয়ার দরুন কৃষি জমি সমূহ চাষের অনুপযোগী হয়। মৌন ভট্ট কৃষি জমিগুলোকে চাষের উপযোগী করার লক্ষ্যে নবম শতকের মাঝামাঝি সময়ে (আনুমানিক ৮১৭ খ্রিষ্টাব্দে) এই দীঘিটি খনন করেন। নবম শতকের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই দীঘির কাজ শেষ হয় এবং সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় দীঘিটি পানিতে টইটুম্বর হয়ে ওঠে। আছরাঙ্গা দীঘির পানি দিয়েই অগ্রহায়ন মাসে এই অঞ্চলে আমন ধানের চাষ করা হতো। পৌষের শুরুতে ধান পেকে লাল রং হওয়ার ক্ষেতগুলো দেখতে অদ্ভুত সুন্দর লাগত আর সেই কারণে এই উপজেলার নাম হয়ে যায় ক্ষেতলাল।
দীঘিটির চারপাশে চারটি বাধাই করা ঘাট আছে। সনাতন ধর্মসহ অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদের তীর্থস্থান হিসেবে দীঘিটি খ্যাতি লাভ করে। দীঘিটিকে কেন্দ্র করে মাজার, মন্দিরসহ সনাতন ধর্মীয় পুরাকীর্তি গড়ে ওঠে। কথিত আছে এ দীঘির জল কাকচক্ষু জলের ন্যায় স্বচ্ছ, সুমিষ্ট ও ঔষধি হিসেবে ব্যবহৃত হতো। ১৯৯২ সালে আছরাঙ্গা দীঘিটি পুনঃখনন করে বনায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেই সময় প্রাপ্ত প্রায় ১২টি প্রাচীন মূর্তি বর্তমানে দেশের বিভিন্ন জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। শীতের সময় বিভিন্ন ধরণের অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত এই দীঘির মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক পরিবেশে সময় কাটাতে অনেকে দর্শনার্থী ছুটে আসেন।
কিভাবে যাবেন?
জয়পুরহাট জেলায় এসে বাসে ক্ষেতলাল উপজেলায় পৌঁছে স্থানীয় পরিবহণে ৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আছরাঙ্গা দীঘি যেতে পারবেন।
কোথায় থাকবেন?
জয়পুরহাট জেলায় হোটেল সাদ, হোটেল পৃথিবী, প্রমি হোটেল, হক কনভেনশন সেন্টারের মতো বেশকিছু আবাসিক হোটেল রয়েছে।
কোথায় খাবেন?
জয়পুরহাটে ক্যাফে অরেঞ্জ চাইনিজ রেস্তোরা, বনলতা, হোটেল স্বাদ, রুচিটা রেস্টুরেন্ট ও প্রিন্স রেস্টুরেন্টের মতো বিভিন্ন মানের খাবারের হোটেল ও রেস্টুরেন্ট আছে।