ইনানী বিচ | Inani Beach
02/05/2021
সাজেক ভ্যালি | Sajek…
16/04/2021
চা বাগান | Cha Bagan
03/05/2021
রামু বৌদ্ধ বিহার | Ramu…
02/05/2021
02/05/2021
16/04/2021
03/05/2021
02/05/2021
PC: Sayed Sazzad
রাজধানী ঢাকার শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত জাতীয় সংসদ ভবন (Bangladesh National Parliament) বাংলাদেশের স্থাপত্য শিল্পের একটি অনন্য নিদের্শন।১৯৫৯ সালে প্রথম ঢাকায় জাতীয় সংসদ ভবন কমপ্লেক্সটি তৈরির পরিকল্পনা গৃহীত হয়। তৎকালীন সামরিক সরকার পাকিস্তানের প্রস্তাবিত দ্বিতীয় রাজধানী শেরে বাংলা নগরে পাকিস্তানের দ্বিতীয় সংসদ ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা থেকে বর্তমান সংসদ ভবনটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। তখনকার খ্যাতনামা স্থপতি লুইস আই কান ভবন কমপ্লেক্সটির নকশা প্রণয়নের জন্য প্রাথমিক ভাবে নির্বাচিত হলে ১৯৬২ সালের মার্চ মাসে তিনি আনুষ্ঠানিক ভাবে এটি তৈরির দায়িত্ব পান।
জাতীয় সংসদ ভবনের প্রধান বৈশিষ্ট্য এর বিশালত্বের মাঝে নিহিত। মার্বেল পাথর সংযুক্ত বিপুল কংক্রিটের বহির্দেয়ালের মাঝে মাঝে রয়েছে নিখুঁত জ্যামিতিক আকৃতির প্রবশদ্বার। বৃত্তাকার ও আয়তাকার কংক্রিটের সমাহার ভবনটিকে দিয়েছে এক বিশেষ স্থাপত্যিক সৌন্দর্য। ভবনের একেবারে কেন্দ্রবিন্দুতে হলো সংসদের প্রধান হল, যেখানে সংসদ সদস্যগণ পার্লামেন্টে বসেন। সমকেন্দ্রিক নকশার মূল হলরুমকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন অংশগুলি গড়ে উঠেছে। ছাদ দিয়ে প্রবেশ করা আলোর মালা সাত তলা উঁচু গোলাকার মূল হলরুমটি এমনভাবে বেষ্টিত ঠিক যেন দেবীর মঞ্চকে ঘিরে উম্মুক্ত গোলাকার পথ। মূল ভবনের চারবাহু বরাবর চার কোণে অন্যান্য কাজের জন্য রয়েছে চারটি একই ধরনের অফিস ব্লক। যোগাযোগের জন্য রয়েছে বিভিন্ন প্রকার সিড়ির ব্যবস্থা। বর্গাকার নকশার হলেও এটি নিপুণ ভাবে অষ্টভুজের মধ্য স্থাপিত হয়েছে।
মূল ভবনটি নয়টি পৃথক ব্লকের সমন্বয়ে গঠিত। মাঝের অষ্টভুজ ব্লকের উচ্চতা ১১৫ ফুট এবং বাকি আটটি ব্লকের উচ্চতা ১১০ ফুট। প্রতিটি ব্লকের স্পেসটি বিভিন্ন ফাংশনের উপর ভিত্তি করে বিভক্ত করা হয়, করিডোর, লিফট, সিঁড়ি এবং বৃত্তাকার পথগুলির মাধ্যমে অনুভূমিকভাবে এবং উলম্বভাবে ব্লকের মধ্যে সংযুক্ত। পুরো বিল্ডিংয়ের নকশাটি এমনভাবে প্রণয়ন করা হয়েছে যাতে সমস্ত ব্লকের সংমিশ্রণটি একটি ব্লকের একক স্থান হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রধান কমিটির কক্ষগুলি দ্বিতীয় তলায় একটি সংলগ্ন ব্লকে রয়েছে। এই বিল্ডিংয়ে সব ধরণের সংসদীয় কার্যালয়ের অফিস, মন্ত্রী, চেয়ারপারসন এবং স্থায়ী কমিটি রয়েছে। একই ভবনে সংসদীয় সচিবের জন্য কিছু অফিস বরাদ্দও রয়েছে।
সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত। এর ২০ তলা উচ্চ ভবনের কাঠামো সংসদ ভবনের প্রধান প্রবেশদ্বারের পাশাপাশি সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। লেক রোডটি উত্তর দিকে প্রেসিডেন্সিয়াল প্লাজার সামনে অবস্থিত। এই প্লাজাটি এমপি এবং অন্যান্য উচ্চ পদস্থ ব্যক্তিদের জন্য ব্যবহৃত হয়। মার্বেল মেঝে, গ্যালারী এবং খোলা পথগুলি এই প্লাজার বৈশিষ্ট্য। বিল্ডিংটি ১৯৮২ সালের প্রথম দিকে সম্পন্ন হয়েছিল এবং একই বছরের ২৬ শে জানুয়ারী রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তার উদ্বোধন করেছিলেন এবং ১৯৮২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি এই ভবনে জাতীয় পরিষদের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
কিভাবে যাবেন?
ঢাকার যেকোন স্থান থেকে সিএনজি, বাস, প্রাইভেটকার কিংবা মোটর রাইড সার্ভিসে করে জাতীয় সংসদ ভবন দেখতে আসতে পারবেন।