ইনানী বিচ | Inani Beach
02/05/2021
সাজেক ভ্যালি | Sajek…
16/04/2021
চা বাগান | Cha Bagan
03/05/2021
রামু বৌদ্ধ বিহার | Ramu…
02/05/2021
02/05/2021
16/04/2021
03/05/2021
02/05/2021
মোঘল সম্রাজ্যের প্রায় সোয়া দুইশ বছরের পুরনো শেরপুরের ঘাঘরা লস্কর ‘খান বাড়ী’ জামে মসজিদটি (Ghagra Laskar Khan Bari Jame Mosjid) আজও দাঁড়িয়ে আছে কালের সাক্ষী হয়ে। স্থাপত্যকলার অনুপম নিদর্শন ঐতিহাসিক এ ‘খান বাড়ী’র মসজিদটি শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলার ঘাগড়া লস্কর গ্রামে অবস্থিত। তাই কালের আবর্তে এ মসজিদের নাম ঘাগড়া লস্কর খান মসজিদ হিসেবেই পরিচিতি লাভ করেছে।
মসজিদের গায়ে বর্তমানে যেসব নির্দশন পাওয়া গেছে সে অনুসারে ধারনা করা হয়, বক্সার বিদ্রোহীদের নেতা হিরোঙ্গি খাঁর বিদ্রোহের সময় মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল। আজিমোল্লাহ খান মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন বলে অনুমান করা হয়। মসজিদটির দরজার উপর মূল্যবান কষ্টি পাথরের উপর খোদাই করে আরবি ভাষায় এর প্রতিষ্ঠাকাল উল্লেখ করা হয়েছে হিজরি ১২২৮ বা ইংরেজী ১৮০৮ সাল।
মসজিদটির গঠনপদ্ধতি ও স্থাপত্য কৌশল শিল্পসমৃদ্ধ ও সুদৃশ্য। এর ভিতরে রয়েছে দুটো সুদৃঢ় খিলান। এক গম্বুজবিশিষ্ট এ মসজিদের দৈর্ঘ্য-প্রস্থ উভয়দিকেই সমান। এর ভেতরের অংশ ৩০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩০ ফুট প্রস্থবিশিষ্ট। মসজিদের মধ্যখানে বড় গম্বুজের চারপাশে ঘিরে ছোট-বড় দশটি মিনার। এরমধ্যে চারকোনায় রয়েছে চারটি। মসজিদে দরজা রয়েছে মাত্র একটি। ভেতরে মেহরাব ও দেয়াল অঙ্কিত রয়েছে বিভিন্ন কারুকাজের ফুলদানী ও ফুল। মসিজিদের ভিতর ইমাম বাদে তিনটি কাতারে ১২ জন করে মোট ৩৬ জন মুসল্লি এক সঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন। তবে মসজিদের বাইরের অংশে অর্থাৎ বারান্দায় আরো প্রায় অর্ধশত মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন।
মসজিদের ভিতরে মেহরাব ও দেয়াল অঙ্কিত রয়েছে বিভিন্ন কারুকাজের ফুলদানী ও ফুল। দেয়ালের গাথুনী ৪ ফুট পাশ, যা চুন ও সুরকি দিয়ে গাথা। তৎকালীন খান বাড়ির লোকজন এবং গ্রামের আরও অনেকেই ৫৮ শতক জায়গার উপর মসজিদটি ওয়াক্ফ করে দেয়। এরমধ্যে মসজিদটির মূল ভবন ও বারান্দা বা বর্ধিত জায়গা রয়েছে ১৭ শতকের ওপর এবং ৪১ শতকের ওপর জমিতে রয়েছে কবরস্থান। প্রায় ১৮ বছর আগে জাতীয় যাদুঘর এর প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ মসজিদটির দায়িত্ব গ্রহন করেন। কিন্তু একজন কেয়ারটেকার নিয়োগ, একটি সতর্কবাণী লাগানো ও দায় সারাভাবে বছরে একবার রং করা ছাড়া আর কোন ভূমিকা পালন করেনি। মসজিদটির করূণ অবস্থায় দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা না নিলে কালের সাক্ষী হয়ে থাকা এ নিদর্শন হয়তো নীরবেই হারিয়ে যাবে।
কিভাবে যাবেন?
শেরপুর শহর থেকে শেরপুর-ঝিনাইগাতি। ঝিনাইগতি রোড় থেকে প্রায় ১৪ কি.মি. দূরে শেরপুর-ঝিনাইগাতি-নালিতাবাড়ি মোড়। এই মোড় থেকে সরাসরি মসজিদটি দেখ যায়। সেখান থেকে থেকে বাম দিকে হাফ কিলো দূরেই ঐতিহাসিক মসজিদটির অবস্থান।
কোথায় থাকবেন?
শেরপুরে সাধারণ এবং মধ্যম মানের কিছু গেষ্ট হাউজ ও আবাসিক হোটেল রয়েছে। এসব হোটেলে ৩০০ থেকে ৮০০ টাকায় রাত্রিযাপন করতে পারবেন। আবাসিক হোটেলের মধ্যে সম্পদ, কাকলী, বর্ণালী গেষ্ট হাউজ, ভবানী প্লাজা অন্যতম। এছাড়া শেরপুরে সড়ক ও জনপথ, সার্কিট হাউজ, এলজিইডি, এটিআই এবং পল্লী বিদ্যুৎতের পৃথক পৃথক রেষ্ট হাউজ রয়েছে।
কোথায় খাবেন?
শেরপুর শহরের নিউ মার্কেট এলাকায় হোটেল শাহজাহান, হোটেল আহার এবং হোটেল প্রিন্সে খাবার খেতে পারেন।