হাজীগঞ্জ দূর্গ | Hajiganj Fort 15/01/2022


PC:


PC:Shiplu Sinha

রাজ রাজড়াদের আমলে যুদ্ধ কিংবা বহিঃশত্রুর আক্রমণ হতে রাজ্যকে সুরক্ষা দিতে এইসব দূর্গের বহুল ব্যবহারের কথা শুনা যায়। তন্মধ্যে একটি হচ্ছে নারায়নগঞ্জ জেলার হাজীগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে অবস্থিত হাজীগঞ্জ দুর্গ (Hajiganj Fort)। মূলত মগ ও পর্তুগীজ জলদস্যুদের আক্রমণ প্রতিহত করতে গুরুত্বপূর্ণ জল পথের ধারে এই সব দূর্গ নির্মাণ করা হয়।  তৎকালীন সময়ে হাজীগঞ্জ খিজিরপুর নামে পরিচিত ছিল, ফলে অনেকেই একে খিজিরপুর দুর্গ নামে আখ্যায়িত করেছেন।  মোঘল আমলে নির্মিত ঢাকার অদূরেই দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি দূর্গ যা ট্রায়াঙ্গল অব ওয়াটার ফোর্ট বা ত্রিভুজ জলদূর্গ হিসেবেই পরিচিত। এই ট্রায়াঙ্গল অব ওয়াটার ফোর্ট গুলো হলো নারায়ণগঞ্জের হাজীগঞ্জ দূর্গ, সোনাকান্দা জলদূর্গ, মুন্সীগঞ্জের ইদ্রাকপুর জলদূর্গ।

 

শীতলক্ষ্যা ও বুড়িগঙ্গা নদীর সঙ্গম স্থলে নির্মিত এই দূর্গটি কে নির্মাণ করেন তার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য নেই। ধারণা করা হয় মুঘল সুবেদার ইসলাম খান এই দূর্গটি নির্মাণ করেন। অন্য আরেকটি সূত্র মতে মীর জুমলা দূর্গটি নির্মাণ করেন বলে জানা যায়। তবে ঢাকায় মুঘল রাজধানী স্থাপনের অব্যহতির পরে এই দূর্গটি নির্মাণ করা হয় আনুমানিক ১৬৫০ সালে। রাজধানী ঢাকা থেকে এটি ১৪ দশমিক ৬৮ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত।

 

চতুর্ভুজাকৃতির হাজীগঞ্জ দুর্গের দৈর্ঘ্য ২৫০ মিটার এবং প্রস্থ ২০০ মিটার। পঞ্চভুজ আকৃতির সীমানা প্রাচীরের দেয়ালে বন্দুক রেখে গুলি করার ছিদ্র রয়েছে। দুর্গের চারকোণে আছে ৪টি বুরুজ। এছাড়া প্রাচীরের উপরে উঠার জন্য সিঁড়ি এবং এক কোণে একটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ারে কামান রাখার বেদি রয়েছে। দূর্গের মাঝখানটা পুরোপুরি খালি জায়গা। প্রাচীরের চারদিকে অভ্যন্তরভাগে দেয়ালের ভিত থেকে ১ দশমিক ২২ মিটার উঁচুতে রয়েছে চলাচলের পথ। ১৯৫০ সালে এই হাজীগঞ্জ কেল্লাটিকে বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত করে বিভিন্ন ধাপে সংস্কার করে বর্তমান রূপ দেয়া হয়।

 

কিভাবে যাবেন?

ঢাকার গুলিস্তান থেকে নারায়ণগঞ্জ যাওয়ার বিভিন্ন এসি/নন-এসি আস সার্ভিস রয়েছে। এছাড়া বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে সংলগ্ন হানিফ ফ্লাইওভারের কাছে বন্ধু, আনন্দ এবং উৎসব বাসের কাউন্টার আছে। এসব বাসের কোন একটিতে নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া এসে রিকশা বা ইজিবাইকে হাজীগঞ্জ দুর্গ দেখতে যেতে পারবেন।

 

কোথায় থাকবেন?

ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী এবং আশে পাশের জেলা হতে দিনে গিয়ে দিনেই ফিরে আসা যায় তাই রাত্রিযাপন নিয়ে মোটেও ভাবতে হবে না। তবুও প্রয়োজনে রাতে থাকতে চাইলে নারায়নগঞ্জ সদরে বিভিন্ন মানের আবাসিক হোটেলে রাত কাটাতে পারবেন।

 

কোথায় খাবেন?

নারায়ণগঞ্জের বিশেষ খাবারের মধ্যে কাইকারটেক হাটের পুতা মিষ্টি খেয়ে দেখতে পারেন।

You might like

Get the mobile app!

Our app has all your booking needs covered: Secure payment channels, easy 4-step booking process, and sleek user designs. What more could you ask for?