জামালপুর শাহী মসজিদ | Jamalpur Shahi Mosque 23/01/2022


PC:


গাইবান্ধা জেলা সদর থেকে ১৬ কিলোমিটার পশ্চিমে সাদুল্লাপুর উপজেলার অন্তর্গত বড় জামালপুর গ্রামে জামালপুর শাহী মসজিদের (Jamalpur Shahi Mosque) অবস্থান। জনশ্রুতি রয়েছে, প্রায় ৬০০ বছর পূর্বে ইসলাম ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে ইরাক থেকে ৩৬০ জন আউলিয়া বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েন। এদের মধ্যে গাইবান্ধা শহরে আগমনকারী সুফি হযরত শাহ জামাল (রঃ) এর তত্ত্বাবধানে এই ঐতিহাসিক শাহী মসজিদটি নির্মিত হয় এবং তাঁর নামানুসারে ইউনিয়ন পরিষদ ও মসজিদের নামকরণ করা হয়। মসজিদের উত্তর পাশে হযরত শাহ জামালের মাজারের অবস্থান।

 

আবার মসজিদের ইতিহাস প্রসঙ্গে লোকমুখে প্রচলিত আছে, তৎকালীন সময়ে সৈয়দ ভোম আলী ভারতের শিলিকুড়ি থেকে সুলতান মাহমুদের আমলে হজরত খাঁজা মঈন উদ্দিন চিশতির নির্দেশে ইসলাম প্রচারের জন্য এই এলাকায় এসে হজরত শাহ জামালের সঙ্গে মিলিত হন। সম্ভবতঃ তারাই এই মসজিদ নির্মাণ করেন এবং মসজিদের পাশে একটি পুকুর খনন করেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ হিসেবে মসজিদটি প্রায় ৭০০ বছর আগে নির্মিত।

 

তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, ইংরেজ শাসন আমলে মসজিদটি প্রাকৃতিক দুর্যোগে মাটির নিচে চাপা পড়ে যায়। মসজিদ এলাকায় লোকবসতি না থাকায় বনজঙ্গল আচ্ছন্ন হয়ে মসজিদটি ঢাকা পড়ে যায়। বিগত ৬০ দশকের প্রথম দিকে গাইবান্ধা মহকুমা প্রশাসক হক্কানি কুতুবউদ্দিন নামে এক ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি এসডিও হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর স্থানীয় লোকদের কাছে মসজিদটির ইতিকথা শোনেন। লোকজনের কথা শুনে তিনি স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় মসজিদটি অনুসন্ধান করতে থাকেন। কিন্তু মসজিদটির জায়গায় বিশাল বট গাজ গজিয়ে ওঠায় মসজিদটি বটবৃক্ষের আড়ালে ঢাকা পড়ে গিয়েছিল। হঠাৎ একদিন প্রচণ্ড এক ঝড়ে বট গাছটি ভেঙে পড়লে স্থানীয় লোকজন মসজিদটি দেখতে পায়। সেই থেকে মানুষ মসজিদটিকে গায়েবি মসজিদ হিসেবে অবহিত করতে থাকে।

 

জামালপুর শাহী মসজিদের নিচের দেয়াল ৭২ ইঞ্চি ও উপরের দেয়াল ৫৬ ইঞ্চি পুরুত্ব বিশিষ্ট। মসজিদের ভিতরে মাত্র ২ কাতারে নামায আদায় করার সুযোগ ছিল তাই মূল অবকাঠামো ঠিক রেখে মসজিদ সম্প্রসারণ ও সংস্কার করা হয়। বর্তমানে দ্বিতল এই শাহী মসজিদে একত্রে প্রায় ৫০০-৭০০ মুসল্লি নামায আদায় করতে পারেন।

 

কিভাবে যাবেন?

গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের সিনিয়র আলীম মাদরাসার কাছে জামালপুর শাহী মসজিদের অবস্থান। গাইবান্ধা থেকে বাসে সাদুল্লাপুর পৌঁছে অটোরিক্সা বা সিএনজিতে জামালপুর শাহী মসজিদে পৌঁছাতে পারবেন।

 

কোথায় থাকবেন?

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় সাধারণ মানের কয়েকটি আবাসিক হোটেল রয়েছে। আর গাইবান্ধা শহরে হোটেল আর-রহমান, হোটেল আল- সাইফুল, গণউন্নয়ন কেন্দ্র, হোটেল স্কাই ভিউ এবং বিলাসবহুল এসকেএসইন রিসোর্টের মত আবাসনের ব্যবস্থা রয়েছে।

 

কোথায় খাবেন?

সাদুল্লাপুর উপজেলায় সাধারণ মানের কিছু দেশীয় খাবারের হোটেল আছে।

You might like

Get the mobile app!

Our app has all your booking needs covered: Secure payment channels, easy 4-step booking process, and sleek user designs. What more could you ask for?