ইনানী বিচ | Inani Beach
02/05/2021
সাজেক ভ্যালি | Sajek…
16/04/2021
ঝরঝরি ট্রেইল | Jorjori…
02/05/2021
ধুপপানি ঝর্ণা | Dhuppani…
16/04/2021
02/05/2021
16/04/2021
02/05/2021
16/04/2021
সিলেট থেকে ৪২ কিলোমিটার দূরে জৈন্তাপুর উপজেলায় ডিবির হাওর অবস্থিত। এটি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের খুব কাছাকাছি। চারিদিক থেকে ডিবির হাওরের চারদিকে ডিবি বিল, আইয়াম বিল, হার্ফোকাতা বিল এবং কেন্দ্রী বিল নামে চারটি হ্রদ রয়েছে। এখানে লাল জলের শাপলা প্রাকৃতিকভাবে জন্মগ্রহণ করে এবং পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ হ'ল পুলের তীরে পাহাড়ের সারি। লাল শাপলার বিল নামেও পরিচিত এই ডিবির হাওর প্রায় ৭০০ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত।
বিশাল জলাশয়ে ফুটে থাকা অজস্র লাল শাপলা, উপরে সুনীল আকাশ, দূরে মেঘালয়ের পাহাড়ের চূড়ায় ভাসতে থাকা মেঘ। সবুজ পাতার আচ্ছাদনে ঢাকা পড়েছে বিস্তীর্ণ জলরাশি। লাল শাপলার হাসি যেন হার মানায় সূর্যের আভাকেও। প্রকৃতি যেন আপন ইচ্ছের মাধুরীতে লাল শাপলার হাসিতে বিলগুলোকে সাজিয়ে দেয় পরম মমতায়। যেকোনো ভ্রমণপিপাসুদের সারাজীবন মনে রাখার জন্য শাপলা বিলে একটি সকালই যথেষ্ট।
একটি ধ্বংস-প্রায় মন্দির আছে ডিবির হাওরের মাঝে। যে কেউ চাইলে মন্দিরটি ঘুরে দেখতে পারেন। কথিত আছে, জৈন্তা রাজ্যের এক রাজাকে এ হাওরে ডুবিয়ে মারা হয়েছিল। সেই স্মৃতিতেই নির্মিত দুইশত বছরের পুরাতন এ মন্দিরটি এখন জীর্ণ-শীর্ণ। এছাড়া হরফকাটা ও ডিবি বিলের মধ্যস্থলে রাজা রাম সিংহের সমাধিস্থল রয়েছে। প্রাচীন রাজার ম্বৃতিবিজড়িত এ হাওরে শীতকালে থাকে পাখিদের রাজত্ব। তখন সাদাবক, জলময়ূরী, বালিহাঁস,পানকৌড়ি ইত্যাদি বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখির কলরবে মুখর হয়ে থাকে ডিবির হাওরের চারপাশ।
কিভাবে যাবেন?
সিলেট থেকে বাস, সিএনজি অটোরিকশা কিংবা প্রাইভেট কার ভাড়া নিয়ে জৈন্তাপুরে আসতে হবে। সারা দিনের জন্য সিএনজিচালিত অটোরিকশা রিজার্ভ করতে ১৫০০ থেকে ১৮০০ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে। জৈন্তাপুর বাজার থেকে কিছুটা সামনে এগিয়ে গেলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ডিবির হাওর ক্যাম্প চোখে পড়বে। এই ক্যাম্পের পাশ দিয়ে ১ কিলোমিটার দূরত্বে শাপলা বিলের অবস্থান। বাসে করে সিলেটের কদমতলী থেকে ডিবির হাওরে আসতে চাইলে জৈন্তাপুর বাজারে বাস থেকে না নেমে ২ কিলোমিটার সামনে ডিবির হাওর ক্যাম্পের সামনে নামলে গ্রামের রাস্তা ধরে মাত্র ১ কিলোমিটার হাটলেই ডিবির বিলে পৌঁছে যাবেন। শাপলা বিলে নৌকায় ঘুরতে চাইলে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ভাড়া লাগতে পারে।
কোথায় খাবেন?
শাপলা বিলের কাছাকাছি কোনো রেস্টুরেন্ট নেই তাই প্রয়োজন অনুযায়ী সাথে খাবার পরিবহন করতে পারেন।