ইনানী বিচ | Inani Beach
02/05/2021
সাজেক ভ্যালি | Sajek…
16/04/2021
চা বাগান | Cha Bagan
03/05/2021
রামু বৌদ্ধ বিহার | Ramu…
02/05/2021
02/05/2021
16/04/2021
03/05/2021
02/05/2021
তিন কাতারের মসজিদটি (Mithapukur Three Dome Mosque) রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার সবচেয়ে প্রাচীন স্থাপনাগুলোর মধ্যে অন্যতম। রংপুর শহর থেকে ২৪ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং মিঠাপুকুর উপজেলা সদর থেকে আধা মাইল উত্তর-পশ্চিমে রংপুর ও বগুড়া মহাসড়কের একটু দূরে মসজিদটি অবস্থিত। সড়কের পশ্চিমে প্রায় ২৫ একর আয়তনে একটি জলাশয় রয়েছে। দীঘির নাম মিঠাপুকুর, সে অনুসারে স্থানের নামও হয়েছে মিঠাপুকুর।
দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদ নির্মিত হয়েছে মোগল আমলের শেষ সময় ১৮১১ সালে। প্রায় ২০০ বছর আগে নির্মিত মসজিদটি বাংলাদেশের প্রাচীন স্থাপনাগুলোর মধ্যে অন্যতম এক নির্দশন। ধারণা করা হয় এটি প্রাক-মুসলিম আমলে তৈরি করা হয়েছে। মসজিদের প্রবেশদ্বারে উৎকীর্ণ শিলালিপি থেকে জানা যায়, জনৈক শেখ মোহাম্মদ সাবেরের পুত্র শেখ মোহাম্মদ আছের কর্তৃক ১২২৬ হিজরীতে (১৮১০ খ্রিঃ) মসজিদটি নির্মিত।
আয়তাকার তিন গম্বুজ বিশিষ্ট এ মসজিদের পরিমাপ ১০.৬৬ মিটার। এ মসজিদের সম্মুখে প্রাচীরবেষ্টিত অঙ্গনের পূর্ব পাশের মধ্যবর্তী স্থানে বাংলাদেশের নিজস্ব স্থাপত্য বৈশিষ্ট্যের দোচালা পদ্ধতিতে নির্মিত অপূর্ব প্রবেশ তোরণ ও মসজিদের চার কোণে চারটি কর্ণার টাওয়ার যা ছাদের কিনারা থেকে বেশ ওপরে উঠে ছোট গম্বুজের মতো কিউপোলা আকারে শেষ হয়েছ। আয়তাকার মসজিদটি দুইটি ল্যাটারাল খিলানের সাহায্যে তিন ভাগে ভাগ করে ওপরে তিনটি অর্ধ গোলাকার গম্বুজ নির্মাণ করা হয়েছে।
মসজিদের পূর্ব দেয়ালে তিনটি প্রবেশপথ এবং উত্তর ও দক্ষিণে একটি করে মোট পাঁচটি প্রবেশপথ রয়েছে। তিনটি মিহরাব, মসজিদের সম্মুখের দেয়াল, প্যারাপেট দেয়াল ও গম্বুজের ড্রামসমূহ সুন্দর প্যানেল, লতাপাতা, ফুল জ্যামিতিক নক্সা ও সাপের ফনাসদৃশ নক্সা দ্বারা অলংকৃত। এ মসজিদের চার কোনায় চারটি মিনার আছে। সেগুলি আট কোনাকার তৈরি। মিনারগুলি ছাদের কিছু উপর উঠে ছোট গম্বুজ শেষ। সামনের দেয়ালে তিনটি প্রবেশ পথ রয়েছে। উত্তর দক্ষিণে একটি করে। সামনের দেয়ালে কেন্দ্রীয় প্রবেশ পথ। ভিতরে পশ্চিম দেয়ালে আছে তিনটি মেহরাব। মসজিদের ছাদের উপরে আছে তিনটি কন্দকারে নির্মিত তিনটি সুন্দর গম্বুজ।
কিভাবে যাবেন?
রংপুর থেকে এখানে আসতে হলে আপনাকে প্রথমে বাস বা অটো রিক্সা করে গড়ের মাথা নামক জায়গায় আসতে হবে। এখানে আসার পর পশ্চিম দিকে যে রাস্তাটি চলে গেছে বিরামপুর ও দিনাজপুর সেই রাস্তা ধরে হেটে গেলে ৫ মিনিট আর যানবাহন যেমন রিক্সায় গেলে ২ মিনিটেই যেতে পারবেন মিঠা পুকুর বড় মসজিদে। রাস্তা থেকেই বাম দিকে বা দক্ষিণ দিকে তাকালেই দেখতে পারবেন এই সুন্দর মসজিদটি।
কোথায় থাকবেন?
রংপুরে বিভিন্ন মানের আবাসিক হোটেলের মধ্যে হোটেল নর্থভিউ, পর্যটন মোটেল, দি পার্ক হোটেল, হোটেল গোল্ডেন টাওয়ার, হোটেল তিলোত্তমা, হোটেল কাশপিয়া প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
কোথায় খাবেন?
রংপুর শহরে বিভিন্ন মানের খাবার হোটেল ও রেস্টুরেন্ট আছে। তবে আমের সিজনে রংপুর গেলে বিখ্যাত হাড়িভাঙ্গা আম অবশ্যই খেয়ে দেখবেন।