ইনানী বিচ | Inani Beach
02/05/2021
সাজেক ভ্যালি | Sajek…
16/04/2021
চা বাগান | Cha Bagan
03/05/2021
রামু বৌদ্ধ বিহার | Ramu…
02/05/2021
02/05/2021
16/04/2021
03/05/2021
02/05/2021
নীলফামারী জেলার গোড়গ্রাম ইউনিয়নে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক দিঘীর নাম নীলসাগর (Nilsagor)। নীলফামারী জেলা সদর থেকে নীলসাগরের দূরত্ব প্রায় ১৪ কিলোমিটার। অষ্টম শতাব্দীতে বৈদিক রাজা ‘বিরাট’ এই ঐতিহাসিক দিঘিটি খনন করেন বলে ধারণা করা হয়। বিরাট রাজার নামানুসারে একসময় দিঘীটি বিরাট দিঘী নামে পরিচিতি লাভ করে৷ পরবর্তীতে অনেকে একে বিরনা বা বিন্না দিঘি নামে ডাকতে শুরু করে এবং ১৯৭৯ সালে এই দিঘীটির নামকরণ করা হয় নীলসাগর।
হিন্দুশাস্ত্রমতে, খ্রিস্টপূর্ব নবম হতে অষ্টম শতাব্দীতে পান্ডবরা কৌরবদের চক্রান্তের শিকার হয়ে ১২ বছরের বনবাস ও ১ বছরের অজ্ঞাতবাসে যেতে বাধ্য হন এবং মৎস্য দেশের রাজা বিরাটের রাজধানীর এ স্থানটিতে ছদ্মবেশে বসবাস শুরু করেন। মনে করা হয়, সেসময় নির্বাসিত পাণ্ডবদের তৃষ্ণা মেটাতে বৈদিক রাজা বিরাট এ দিঘিটি খনন করেছিলেন। বিরাট দিঘির অপভ্রংশ হিসেবে কালক্রমে এ দিঘিটি বিরাট দিঘি, বিল্টা দিঘি এবং অবশেষে বিন্না দিঘি হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। কারো কারো মতে, রাজা বিরাট তার বিশাল গরুর পালের জন্য পানির সংস্থান করতেই এ দিঘি খনন করেন এবং তার কন্যা বিন্নাবতীর নামে এর নামকরণ করেন।
নীলসাগরের মোট জমির পরিমাণ ৫৩.৯০ একর। এর মধ্যে জল ভাগের মোট আয়তন ৩২.৭০ একর এবং দিঘির পাড়ের জমির পরিমাণ ২১ একর। নীলসাগর দিঘীর পাড়ে আছে বনবাবুল, নারকেল, মেহগনি, শিশু এবং আকাশমণি সহ বিভিন্ন জানা-অজানা ফুল ও ফল গাছের সারি। আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত এই নীলসাগরে শীতকালে অসংখ্য অতিথি পাখির দেখা মিলে। ১৯৯৮ সালে নীলসাগরকে পাখিদের অভয়ারণ্য হিসাবে ঘোষণা করা হয়। এছাড়া প্রতি বছর চৈত্রসংক্রান্তিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন নীলসাগরে বারুণী স্নান উৎসবের আয়োজন করে থাকে।
বর্তমানে নীলসাগরের আশেপাশের পরিবেশকে ভ্রমণপিপাসু মানুষের চিত্তবিনোদনের উপযোগী করার জন্য বিভিন্ন ধরণের সংস্কার কাজ করা হয়েছে। সাথে নির্মাণ করা হয়েছে একটি রেস্ট হাউস, প্রবেশ তোরণ এবং মসজিদ। আর দিঘীর পাড়ের ভবিষ্যৎ সৌন্দর্য অক্ষত রাখতে পাড়ে লাগানো হয়েছে বেশকিছু বিভিন্ন ধরণের বৃক্ষ।
কিভাবে যাবেন?
নীলফামারী হতে নীলসাগর যাওয়ার জন্য অটোরিক্সা এবং সিএনজি ভাড়া করতে পারবেন।
কোথায় থাকবেন?
নীলফামারী জেলার আবাসিক হোটেলের মধ্যে হোটেল প্রিমিয়ার, রনি ড্রিম, শিশির হোটেল, অবকাশ হোটেল, আর রহমান ও নাভানা রেস্ট হাউজ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
কোথায় খাবেন?
নীলফামারীতে তাজিন উদ্দিন গ্র্যান্ড হোটেল, দারুচিনি ক্যাফে, হোটেল টিপ টপ, হোটেল স্টার, হোটেল আকবরিয়া ও হোটেল রহমতিয়াসহ ভালমানের কিছু খাবার হোটেল ও রেস্টুরেন্ট আছে।