ইনানী বিচ | Inani Beach
02/05/2021
সাজেক ভ্যালি | Sajek…
16/04/2021
ঝরঝরি ট্রেইল | Jorjori…
02/05/2021
ধুপপানি ঝর্ণা | Dhuppani…
16/04/2021
02/05/2021
16/04/2021
02/05/2021
16/04/2021
বাঙালি নারী জাগরণের অগ্রদূত রোকেয়া খাতুন (বেগম রোকেয়া)-এর পৈত্রিক বাড়ি পায়রাবন্দ (Pairaband)। এই মহীয়সী নারী জন্মগ্রহণ করেন ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর পায়রাবন্দ গ্রামে। পায়রাবন্দের জমিদারীর সর্বশেষ জমিদার উত্তরাধিকারী সম্ভ্রান্ত ভূস্বামী জহীরুদ্দিন মোহাম্মদ আবু আলী হায়দার সাবের ছিলেন বেগম রোকেয়ার পিতা এবং মাতা ছিলেন বলিয়াদী জমিদার কন্যা রাহাতুন্নেসা সাবেরা চৌধুরানী।
তৎকালীন সমাজব্যবস্থার সাথে মিল রেখে বেগম রোকেয়াকে নিজ গৃহে আরবী ও উর্দু শেখানো হত। বেগম রোকেয়া তাঁর বড় ভাই ইব্রাহীম সাবেরের কাছে গোপনে বাংলা ও ইংরেজি শিখতে শুরু করেন। ১৮৯৬ সালে বেগম রোকেয়ার ভাগলপুরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন মুক্তমনা ছিলেন এবং তিনি বেগম রোকেয়াকে লেখালেখি করতে উৎসাহ দিতেন। ১৯০২ সালে পিপাসা নামের একটি গল্পের মাধ্যমে সাহিত্যজগতে পদার্পণ করেন এই মহীয়সী নারী।
বর্তমানে পৈত্রিক বাড়িটির আর কিছুই প্রায় অবশিষ্ট নেই, শুধুমাত্র বিলুপ্তপ্রায় কিছু ইটের দেয়ালের গাথুনি ছাড়া। বেগম রোকেয়ার বাড়ির পাশে সরকারী ব্যবস্থাপনায় ৩.১৫ একর ভূমির উপর বেগম রোকেয়া স্মৃতিকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এখানে আছে নান্দ্যনিক বাগান, অফিস ভবন, ৪ তলা ডরমেটরি ভবন, গবেষণা কক্ষ, লাইব্রেরি, আধুনিক গেস্ট হাউজ এবং পিতলের তৈরী বেগম রোকেয়ার ভাষ্কর্য। এছাড়া এখানে বিকেএমই নামের ট্রেনিং সেন্টারে তরুণদের কর্মসংস্থানে সহায়ক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
কিভাবে যাবেন?
রংপুর শহর থেকে রিকসা, ইজিবাইক কিংবা বাসে চড়ে ১৩ কিলোমিটার দূরে পায়রাবন্দ গ্রাম হতে সহজেই ঘুরে আসা যায়।
কোথায় থাকবেন?
রংপুরে অবস্থিত আবাসিক হোটেলের মধ্যে হোটেল নর্থভিউ, পর্যটন মোটেল, দি পার্ক হোটেল, হোটেল গোল্ডেন টাওয়ার, হোটেল তিলোত্তমা, হোটেল কাশপিয়া প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
কোথায় খাবেন?
রংপুর শহরে বিভিন্ন মানের খাবার হোটেল ও রেস্টুরেন্ট আছে। তবে আমের সিজনে রংপুর গেলে বিখ্যাত হাড়িভাঙ্গা আম অবশ্যই খেয়ে দেখবেন।