রবীন্দ্র কমপ্লেক্স | Rabindra Complex 17/01/2022


PC:


বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর প্রতিটি ঘরে ঘরে রবীন্দ্রনাথ পরিচিত এবং জনপ্রিয়। বিশ্ব কবি রবিন্দ্রনাথের নীলকুঠি যেমনি সকলের নিকট আগ্রহের বিষয় বস্তু তেমনি তার শ্বশুরালয়ও সাধারন মানুষের আগ্রহের অন্যতম একটি স্থান। প্রতি বছর শত শত মানুষ এই স্থানটিতে ঘুরতে যায়। খুলনা শহর থেকে ১৯ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ফুলতলা উপজেলা। উপজেলা সদর থেকে তিন কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে গেলে দক্ষিণডিহি গ্রাম। গ্রামের ঠিক মধ্য খানে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে রবীন্দ্র-মৃণালিনীর স্মৃতিধন্য একটি দোতলা ভবন। এটাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্বশুর বাড়ি যা বর্তমানে  ‘রবীন্দ্র কমপ্লেক্স’ (Rabindra Complex) নামে পরিচিত।

 

জানা যায়, কলকাতার জোড়া সাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারের সঙ্গে দক্ষিণ ডিহির সম্পর্ক নিবিড়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মাসারদা সুন্দরী দেবী জন্ম গ্রহণ করে ছিলেন এই দক্ষিণডিহি গ্রামে। রবীন্দ্রনাথের কাকি ত্রিপুরা সুন্দরী দেবী এই গ্রামেরই মেয়ে। রবীন্দ্রনাথের স্ত্রী মৃণালিনী দেবী দক্ষিণ ডিহিরই মেয়ে। ২২ বছর বয়সে কবির বিবাহ হয় দক্ষিনডিহি গ্রামের বেনীমাধব রায় চৌধুরীর মেয়ে ভবতারিনী ওরফে মৃণালিনী দেবীর সাথে। যৌবনে কবি কয়েক বার তাঁর মায়ের সঙ্গে দক্ষিণডিহি গ্রামের মামা বাড়িতে এসেছিলেন। তাইতো কবির জন্ম এবং মৃত্যুবার্ষিকীতে নানা আয়োজনে মুখর হয়ে উঠে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্বশুরালয়। শুরুতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্বশুরালয় তথা বিশ্বকবির স্মৃতি বিজড়িত এ স্থানটি অবহেলিত থাকে। যার কারণে কবির অনেক স্মৃতি চিহ্ন সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়নি।

 

১৯৯৫ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্বশুরালয় প্রথম সংস্কার করে সেখানে স্থাপন করা হয়েছে দক্ষিণডিহি রবীন্দ্র স্মৃতি জাদুঘর। প্রশাসনের আওতায় বাড়ির অপর অংশে রয়েছে মৃণালিনী মঞ্চ। মঞ্চের পেছনে তৈরি করা হচ্ছে পিকনিক কর্ণার। বিভিন্ন সময়ে বিশ্বকবির শ্বশুরবাড়ি পরিদর্শনে দেশী-বিদেশী পর্যটক ও দর্শনার্থীরা আসেন। ২৫ বৈশাখ ও ২২ শ্রাবণ জাতীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে এখানে নানা আয়োজনে রবীন্দ্রজয়ন্তী ও কবিপ্রয়াণ দিবস পালন করা হয়।

 

রোববার বাদে সপ্তাহের ছয় দিন দর্শনার্থীদের জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্বশুরালয় খোলা থাকে। গ্রীষ্মকালে সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা এবং শীতকালে সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত দর্শনার্থীরা নির্দৃষ্ট ফির বিনিময়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্বশুরালয় ঘুরে দেখতে পারেন।

 

কিভাবে যাবেন?

খুলনা এসে বাসে করে ফুলতলা উপজেলায় নেমে সেখান থেকে রিক্সা বা অটোরিক্সা দিয়ে সহজেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্বশুরবাড়ি ঘুরে আসতে পারবেন।

 

কোথায় থাকবেন?

খুলনা শহরে থাকার জন্য বিভিন্ন মানের আবাসিক হোটেল রয়েছে। এগুলোর মধ্যে টাইগার গার্ডেন, হোটেল রয়েল, ক্যাসল সালাম, ওয়েস্টার্ন ইন, হোটেল হলিডে ইন্টারন্যাশনাল এবং হোটেল মিলেনিয়াম অন্যতম।

 

কোথায় খাবেন?

খুলনা শহরে সাধারণ মানের খাবার হোটেল থেকে শুরু করে উচ্চবিত্তদের জন্যও আধুনিক মানের রেস্টুরেন্ট রয়েছে। একটু খোঁজখবর করে আপনার পছন্দের যেকোন হোটেলে খাবার খেতে পারবেন।

You might like

Get the mobile app!

Our app has all your booking needs covered: Secure payment channels, easy 4-step booking process, and sleek user designs. What more could you ask for?