ইনানী বিচ | Inani Beach
02/05/2021
সাজেক ভ্যালি | Sajek…
16/04/2021
চা বাগান | Cha Bagan
03/05/2021
রামু বৌদ্ধ বিহার | Ramu…
02/05/2021
02/05/2021
16/04/2021
03/05/2021
02/05/2021
বাংলার ইতিহাস অনেক পুরানো। এই অতি দীর্ঘ ইতিহাসের অনেক চরিত্রই বিশেষ ভাবে নজর কাটে। রাজা হরিশ চন্দ্র তেমনি একজন। তার কাহিনি সত্য যুগের। তিনি তার স্যততার জন্য লোক মুখে বিখ্যাত। নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার খুটামারা ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত একটি প্রাচীন রাজবাড়ির ধ্বংসাবশেষের নাম হরিশচন্দ্রের পাঠ (Harishchandra Path)। চাড়াল কাটা নদীর দক্ষিণ তীরে প্রায় এক বিঘা জমির উপর ৫টি বড় কালো পাথর খণ্ডে ঘেরা স্থানটিকে দূর থেকে উঁচু মাটির ঢিবি বলে মনে হয়। এক সময় ঢিবির উচ্চতা ৫০-৬০ ফুট থাকলেও সময়ের পালা বদলে উচ্চতা কমে ১০ ফুট হয়ে গেছে।
শিব মন্দির নিয়ে নানা ধরণের লোককথা প্রচলিত রয়েছে। কথিত আছে, এই মন্দির ও আশেপাশের স্থান থেকে এক টুকরা মাটি, ইট বা পাথর যদি কেউ নিয়ে যায় তবে সে ব্যক্তির নাক মুখ দিয়ে রক্তপাত হয়ে মারা যায়। ব্রিটিশ আমলে ১২৫ জন ব্যাক্তি নিয়ে মন্দিরের সংস্কার কাজ শুরু হলে ঐ সময় কর্মরত ৮ ব্যক্তি মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করলে মন্দিরের দরজা হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায়। এই ঘটনায় খনন কাজ বন্ধ করে দেয়া হয় এবং এরপর মন্দিরের আর কোন সংস্কারের কাজ করা হয়নি।
এছাড়া সেসময় রাজা হরিশচন্দ্রের নামে গ্রামেরও নামকরণ হয়। রাজা হরিশচন্দ্র দানবীর হিসেবে পরিচিত ছিলেন। এই জনপদে তাকে নিয়ে যাত্রাপালা, পালাগান রচিত হয়েছে। কথিত আছে রাজা হরিশচন্দ্রের কন্যা অধুনার সাথে রাজা গোপী চন্দ্রের বিয়ে হয়। তত্কালীন প্রথা অনুসারে গোপী চন্দ্র দান হিসেবে তার ছোট শ্যালিকা পদুনাকেও পান। এ নিয়েও অনেক গল্প প্রচলিত আছে। মৃত্যুর আগে রাজা হরিশচন্দ্র এই স্থানে একটি শিব মন্দিরের নির্মাণ কাজ শুরু করলেও তা সমাপ্ত করে যেতে পারেননি। তাঁর মৃত্যুর পর স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের উদ্যোগে মন্দিরের কাজ সম্পন্ন হয়। মন্দির উঁচু থাকা অবস্থায় এখানে বিষ্ণুমূর্তিসহ অসংখ্য মূর্তি ছিল। কিন্তু এ সমস্ত মূর্তি চুরি করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। বর্তমানে বছরে ৩টি উত্সব এখানে বেশ ধুমধাম করে পালিত হয়। স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়গুলো এ উৎসব পালন করে রাজা হরিশচন্দ্র পাঠ ও ভগবানের আশ্বস্থ কামনা করেন।
কিভাবে যাবেন?
নীলফামারী জেলা শহর থেকে বাস/সিএনজি/অটোরিক্সা নিয়ে খুটামারা ইউনিয়নে অবস্থিত হরিশচন্দ্র পাঠে যেতে পারবেন।
কোথায় থাকবেন?
নীলফামারী জেলার আবাসিক হোটেলের মধ্যে হোটেল প্রিমিয়ার, রনি ড্রিম, শিশির হোটেল, অবকাশ হোটেল, আর রহমান ও নাভানা রেস্ট হাউজ অন্যতম।
কোথায় খাবেন?
জলঢাকা উপজেলায় বৈশাখী হোটেল, রিমু হোটেল, ও হোটেল রানা প্রভৃতি খাবার হোটেল আছে।