ধুপপানি ঝর্ণা | Dhuppani Waterfall 16/04/2021


PC: Nishan Ahmed


রাঙামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার ফারুয়া ইউনিয়নের ওরাছড়িতে প্রকৃতির এক অসামান্য চিত্র দেখা যায়। দুধ-সাদা বসন্তের জল পাথরের দেয়াল দিয়ে প্রায় দেড়শ ফুট উপরে এক অসাধারণ গতিতে প্রবাহিত হচ্ছে। তীব্রতা এবং উচ্চতার কারণে জলের ফোঁটা চারপাশে পড়ে এক ধরণের ধোয়াশা অনুভূতি সৃষ্টি করে। জানা যায়, ২০০০ সালের দিকে এক বৌদ্ধ সন্ন্যাসী গভীর অরণ্যে ধুপপানি ঝর্ণার নিচে ধ্যান শুরু করেন।

 

কখনও ঝিরি পথ, কখনও ধানক্ষেত, কখনও বা একের পর এক জুম পাহাড়ের পথ ধরে ছুটে চলা। প্রকৃতির বুনো রূপ, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সহজ ও সংগ্রামী জীবনযাত্রা দেখতে দেখতে কেটে যাবে প্রায় দুই ঘণ্টার হাঁটা পথ। ঠিক ওই মুহূর্তে সবুজের ভেতর থেকে কানে বাজবে ঝিরঝির শব্দ। সর্বশেষ পাহাড়ের ওপর থেকে দেখা যাবে সবুজের ভেতর থেকে দুধসাদা পানির ঝরে পড়া। সেখানেই সৌন্দর্যের সেই ধুপ যাত্রা। 

 

স্থানীয় চাটগাইয়্যা ভাষা অনুসারে, ‘ধুপ’ এর অর্থ ‘সাদা’। এই ঝর্ণার জল যখন আছড়ে পড়ে তখন সাদা দেখা যায় তাই এর নাম "ধুপপানি ঝর্ণা" (Dhuppani Jhorna)। ধূপপানীর জলের ফোঁটাগুলি সাদা ধোঁয়াটে পরিস্থিতি তৈরি করার কারণে রূপকভাবে এটিকে ধুপপানী বলা হয়। ঝর্ণার প্রাকৃতিক পরিবেশটা দেখে আপনার মনে হবে যেনো, আপনি কোনো গ্যালারিতে বসে বুঝি ঝর্ণার সৌন্দর্য উপভোগ করছেন! নিরেট পাথর ভেঙ্গে ভেঙ্গে এখানে গড়ে উঠছে প্রাকৃতিক গ্যালারি। সামনে তাকালেই দেখতে পাবেন ২০০ মিটার উঁচু থেকে শ্বেত শুভ্রের পানিয়া আছড়ে পড়ছে নিচের পানির ফোয়ারায়।

 

ধুপপানি ঝর্ণা​ কিভাবে যাবেন?

ঢাকা থেকে রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই আসার অনেক বাস সার্ভিস রয়েছে। সুবিধাজনক সময়ে পছন্দের বাসে কাপ্তাই এসে লঞ্চঘাট থেকে ট্রলার দিয়ে বিলাইছড়ি যেতে ২ ঘন্টা ৩০ মিনিট সময় লাগে। ট্রলার রিজার্ভ নিলে ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা লাগবে। আর লোকাল ট্রলারে করে যেতে চাইলে কাপ্তাইঘাট থেকে সকাল ৮ টা ৩০ মিনিট, দুপুর ১ টা এবং ১ টা ৩০ মিনিটে ছেড়ে যাওয়া ট্রলারে জনপ্রতি ৫৫ টাকা ভাড়ায় যেতে পারবেন। বিলাইছড়ি বাজারে চাইলে খাবার খেয়ে নিতে পারেন। বিলাইছড়ি থেকে এবার ২ ঘন্টা দূরত্বের উলুছড়ি যেতে হবে। উলুছড়ি থেকে বাধ্যতামূলক একজন গাইড নিয়ে নিন, আলোচনা সাপেক্ষ্যে গাইড ফি ৫০০ টাকা লাগতে পারে।

উলুছড়ি থেকে কোষা নৌকা করে পাহাড়ি ঢলের পানি পাড় হয়ে পায়ে হেটে ধুপপানি পাড়ায় পৌঁছাতে প্রায় ২ ঘন্টা ৩০ মিনিট ট্রেকিং করতে হবে। ট্রেকিং করতে খালি পায়ে যাবেন কিংবা ভাল মানের ট্রেকিং সু পড়ে নিবেন। ধুপপানি পাড়া থেকে ধুপপানি ঝর্নায় পৌঁছাতে ৩০ মিনিটের মত লাগে। ধুপপানি পাড়া থেকে পাহাড়ি ঢালের প্রায় ২০০ মিটার নিচে ধূপপানি ঝর্ণা অবস্থিত।

 

ধুপপানি ঝর্ণায়​ কোথায় থাকবেন?


রাঙামাটি শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে আপনি বেশকিছু হোটেল পাবেন, যেমনঃ  রিজার্ভ বাজার , দোয়েল চত্বর, রাঙামাটি মেইন বাজার (বনরূপা)।  নিচে কিছু হোটেলের নাম দেওয়া হলো। হোটেল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে বা অনলাইনে বুক করতে হোটেলের নামটিতে ক্লিক করুন।

.     Hotel Square Park.
.     Hotel Rajmahal International.
    Hotel Green Castle.
    Needs Hill View.

Book Now

 

ধুপপানি ঝর্ণায় কোথায় খাবেন?

বিলাইছড়ি বাজারে বেশকিছু খাবার হোটেল আছে। তবে বকুলের দোকান এবং ভাতঘর নামে দুইটি খাবারের হোটেলে কম দামে মোটামুটি ভালো খাবার পাওয়া যায়।

You might like

Get the mobile app!

Our app has all your booking needs covered: Secure payment channels, easy 4-step booking process, and sleek user designs. What more could you ask for?