শ্রীপুর জমিদার বাড়ি | Sreepur Zamindar Bari 18/01/2022


PC:


কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বউ ঠাকুরানীর হাট’ উপন্যাস অনেকেই পড়েছেন। উপন্যাসের অন্যতম চরিত্র সুরমা। আর সেই সুরমার স্মৃতিবিজড়িত জমিদার বাড়িটি আসলে মাগুরার শ্রীপুরে। শ্রীপুর উপজেলা সদর থেকে মাত্র ১ কিলোমিটার দূরে রয়েছে পাল রাজার রাজপ্রাসাদের ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিদর্শন তথা শ্রীপুর জমিদার বাড়ি (Sreepur Zamindar Bari)।

 

শ্রীপুর ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সারদারঞ্জন পাল চৌধুরী জমিদারী প্রতিষ্ঠা করেন। ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৫০০ শতাব্দীতে সারদারঞ্জন পাল চৌধুরী নবাব আলীবর্দী খাঁর কাছ থেকে এই জমিদারী কিনে নেন। বৈবাহিক সূত্রে বাংলার বারো ভূইয়ার অন্যতম যশোরের মহারাজা প্রতাপাদিত্যের সংগে সারদারঞ্জন পাল চৌধুরীর সম্পর্ক ছিল। মহারাজা প্রতাপাদিত্যের ছেলে উদয়াদিত্যের সংগে জমিদার সারদারঞ্জন পাল চৌধুরীর মেয়ে বিভাপাল চৌধুরীর বিবাহ হয়েছিল। এ সূত্র ধরে মহারাজ প্রতাপাদিত্য শ্রীপুরে এসেছিলেন।

 

শ্রীপুর জমিদার বাড়ির দৃষ্টিনন্দন বিশাল প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ এবং বাড়ির সিংহদ্বার শ্রীপুর জমিদার বাড়ি দেখতে আশা দর্শনার্থীদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখে।

 

কিভাবে যাবেন?

মাগুরা জেলা সদর থেকে শ্রীপুর উপজেলার দূরত্ব ১৫ কিলোমিটার। মাগুরা হতে শ্রীপুর যাওয়ার বাস পাওয়া যায়। শ্রীপুর বাস স্ট্যান্ড নেমে রিকশা বা ইজিবাইকের মত স্থানীয় পরিবহণে চরে শ্রীপুর-সাচিলাপুর রাস্তার বামপার্শ্বে অবস্থিত শ্রীপুর জমিদার বাড়ি পৌঁছে যাবেন।

 

কোথায় থাকবেন?

মাগুরাতে আবাসিক হোটেল ব্যবস্থা তেমন ভালো নয়। রাত্রিযাপনের প্রয়োজনে হোটেল চলনতিকা কিংবা ছায়া বিথীকে বেছে নিতে পারেন। এছাড়া জেলা পরিষদের ডাক বাংলো এবং মাগুরা সার্কিট হাউজে অনুমতি সাপেক্ষ্যে থাকতে পারবেন।

You might like

Get the mobile app!

Our app has all your booking needs covered: Secure payment channels, easy 4-step booking process, and sleek user designs. What more could you ask for?