রাজা সীতারামের রাজপ্রাসাদ | The Palace of King Sitaram 18/01/2022


PC:


রাজা সীতারামের রাজপ্রাসাদ (Raja Sitaram Rajprasad) মগুরা শহর হতে ১০ মাইল দূরে মোহম্মদপুর উপজেলায় অবস্থিত। তৎকালীন সময়ে মোহম্মদপুর উপজেলা রাজা সীতারামের রাজধানী ছিল। ১৬৫৮ খ্রীষ্টাব্দে জন্মগ্রহণকারী সীতারামের আদিনিবাস বীরভূম জেলায় এবং তিনি উত্তর রাঢ়ীয় কায়স্থ ছিলেন। রাজা সীতারামের পিতা উদয় নারায়ণ কর্মদক্ষতায় ভূষণা পরগণায় তহশিলদার পদে নিযুক্ত হন। আর ধীরে ধীরে উদয় নারায়ণ তালুক বৃদ্ধি করে রাজায় পরিণত হন, যার কীর্তি মহম্মদপুরে এখনো বিদ্যমান।

 

সীতারামের আদিনিবাস ছিল বীরভূম জেলায়। ১৬৫৮ খ্রীষ্টাব্দে সীতারামের জন্ম হয়। উদয়ন নারায়ন ক্রমে একটি ক্ষুদ্র তালুক ক্রয় করেন এবং মধুমতি নদীর অপর পারে হরিহর নগরে বাস করতে থাকেন। সীতারামের মাতা দয়াময়ী তেজস্বিনী নারী ছিলেন। কথিত আছে অল্প বয়সে একটি খড়েগর সাহায্যে এক দল ডাকাতকে তিনি পরাস্থ করেছিলেন। মোহম্মদপুরে আজও ‘‘দয়াময়ী’’ তলা নামে একটি স্থান দৃষ্ট হয়; এই স্থানে সীতারামের সময়ে বারোয়ারী উৎসব হতো। সীতারামের অভুত্থান সর্ম্পকে নানারূপ কাহিনী প্রচলিত আছে। কেউ কেউ বলেন যে, সপ্তদশ শতকের শেষভাগে বাংলার তদানিন্তন ভৌমিক রাজগণ যথাসময়ে রাজকর না দেওয়ায় দিল্লীর বাদশাহ সীতারামকে তাদের নিকট হইতে বাকী রাজকর আদায়ের জন্য সৈন্য সামন্তসহ প্রেরণ করেন। সীতারাম তাদের যুদ্ধে পরাস্ত ও রাজ্যচ্যুত করে স্বয়ং তাদের রাজ্য অধিকার করেন এবং পরে বাদশাহের সহিত বিবাদের ফলে তার পতন ঘটে। মতান্তরে সীতারাম ভূষণা পরগণার অন্তর্গত মধুমতির পূবর্বপারস্থিত হরিহর নগর নামক একটি তালুকের অধিপতি ছিলেন।

 

রাজা সীতারামের রাজপ্রাসাদে প্রাচীন দুর্গের ধ্বংসাবশেষ, সুখ সাগর, কৃষ্ণ সাগর এবং রাম সাগর নামক দীঘি, দোল মঞ্চ, রাজভবনের ধ্বংসাবশেষ, মালখানা, সিংহদরজা, দশভুজা মন্দির, তোষাখানা, কৃষ্ণজীর মন্দির এবং লক্ষ্মী নারায়ণের অষ্টকোন মন্দির দেখতে পাওয়া যায়। রাজা সীতারামের রাজপ্রাসাদ এর পাশ দিয়ে একদা মধুমতির স্রোতধারা প্রবাহিত হতো। রাজা সীতারামের ২ টি বড় কামানের নাম ছিল কালে খাঁ ও ঝুম ঝুম খাঁ। নির্মল জলের রাম সাগর দীঘির দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ ১৫০০ ও ৬০০ ফুট। আর কৃষ্ণ সাগর দিঘী অবস্থিত দুর্গের দক্ষিণ পূর্ব দিকে কানাই নগর গ্রামে। ১৮৩৬ খ্রীষ্টাব্দে মহামারীর ফলে রাজা সীতারামের রাজপ্রাসাদ ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

 

কিভাবে যাবেন?

দেশের যেকোন প্রান্ত থেকে মাগুরায় এসে বাস যোগে মহম্মদপুর বাস স্ট্যান্ড নেমে রিক্সা, ভ্যান অথবা পায়ে হেটে আধা কিলোমিটার দূরে রাজা সীতারামের রাজপ্রাসাদ দেখতে যেতে পারবেন।

 

কোথায় থাকবেন?

মাগুরার আবাসিক হোটেল ব্যবস্থা তেমন ভালো নয়। এদের মধ্যে হোটেল চলনতিকা এবং ছায়া বিথী উল্লেখযোগ্য। এছাড়া জেলা পরিষদের ডাক বাংলো এবং মাগুরা সার্কিট হাউজে অনুমতি সাপেক্ষে থাকা যায়।

You might like

Get the mobile app!

Our app has all your booking needs covered: Secure payment channels, easy 4-step booking process, and sleek user designs. What more could you ask for?