ইনানী বিচ | Inani Beach
02/05/2021
সাজেক ভ্যালি | Sajek…
16/04/2021
ঝরঝরি ট্রেইল | Jorjori…
02/05/2021
ধুপপানি ঝর্ণা | Dhuppani…
16/04/2021
02/05/2021
16/04/2021
02/05/2021
16/04/2021
বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম পাহাড় হিসেবে সুপরিচিত এই চিম্বুক পাহাড় (Chimbuk Pahar) জেলা শহর থেকে প্রায় ২৩ কিলোমিটার দূরে। চিম্বুক পাহাড় চূড়াতেই রয়েছে চিম্বুক পর্যটন কেন্দ্র। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ২৫০০ ফুট উঁচু চিম্বুক পাহাড়ে যাওয়ার আঁকাবাঁকা রাস্তার দুই পাশের চমৎকার প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং সর্পিল সাঙ্গু নদীর সৌন্দর্য মনকে প্রশান্ত করে। পাহাড়ের সর্বোচ্চ উচ্চতায় দাঁড়িয়ে নৈস্বর্গিক প্রকৃতিক রূপের সুধা পান করতে করতে মেঘের ভেলা চেপে হারিয়ে যাওয়া যায় অপার্থিব জগতের গভীরে।
সিঁড়ির পূর্বে রয়েছে দুই স্তরের দুটি ভিউ পয়েন্ট। কেউ যদি নিচে নামতে না চায় তাহলে সেখানে দাঁড়িয়ে উপভোগ করতে পারবে সৌন্দর্য। সিঁড়ির শেষ প্রান্তে পশ্চিমে রয়েছে তিনটি কংক্রিটের সুদৃশ্য চেয়ার-টেবিল। শেষ বিকেলে এখানে বসে আড্ডা কিংবা একান্ত নির্জন সময় উপভোগ করতে পারবেন। চিম্বুকের নিচে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস মারমাদের। এই পাহাড় ঘিরেই তাদের অনেকের জীবন-জীবিকা চলে। চাইলে তাদের জীবন ও সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হতে পারেন। কিছু বার্মিজ ও আদিবাসী পণ্য তাদের কাছ থেকে কিনতে পারবেন।
চিম্বুক যাওয়ার জন্য বান্দরবান শহরের রুমা বাস স্টেশন থেকে চাঁদের গাড়ি হিসেবে পরিচিত জীপ, ল্যান্ড ক্রজার, ল্যান্ড রোভার, পাজেরো অথবা বান্দরবান-থানচি পথে যাতায়াত করা স্পেশাল বাস ভাড়া নিতে হবে। চিম্বুক-থানচি পথে বিকাল ৪ টার পরে কোনো গাড়ি চলাচল করেনা। তাই আপনাকে ৪ টার মধ্যে ফিরে আসতে হবে।
পাহাড়ী এলাকা ও দূর্গম হওয়ার কারণে চিম্বুকে কোন থাকার হোটেল নেই। তবে জেলা প্রশাসকের তত্ত্ববধানে একটি রেস্টহাউস পরিচালিত হয়ে আসছে। তবে চিম্বুক পর্যটন থেকে আরও দূরে নীলগিরি অথবা আগে বিলাসবহুল সাইরু রিসোর্ট আছে। কম খরচে থাকতে চাইলে বান্দরবান জেলা শহরে বিভিন্ন মানের বেশকিছু আবাসিক হোটেল আছে।
চিম্বুক পাহাড়ের পাশে সেনাবাহিনী কতৃক পরিচালিত একটি ক্যান্টিন চালু আছে। এই ক্যান্টিনে সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবার খাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া চিম্বুক পর্যটন কেন্দ্রের সামনে আদিবাসীদের খাবার হোটেল আছে। আগে থেকে বলে রাখলে দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করে দিবে।