ইনানী বিচ | Inani Beach
02/05/2021
সাজেক ভ্যালি | Sajek…
16/04/2021
চা বাগান | Cha Bagan
03/05/2021
রামু বৌদ্ধ বিহার | Ramu…
02/05/2021
02/05/2021
16/04/2021
03/05/2021
02/05/2021
কালের সাক্ষীর নিদর্শন অসংখ্য রাজবাড়ী আমাদের দেশের ঐতিহ্য ও সৌন্দর্যের এক অনন্য প্রতীক। আর তাই প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনে অন্য রূপ দিতেই যোগ হচ্ছে লক্ষ্মীপুরের অন্যতম প্রাচীন স্থাপনা দালালবাজার জমিদার বাড়ি। জেলা সদর থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরত্বে ঢাকা-রায়পুর সড়কের সঙ্গে অবস্থিত দালাল বাজার সংলগ্ন জমিদার বাড়িটি দর্শনার্থীদের দারুণ আকর্ষণের জায়গা।
জানা যায় আজ থেকে প্রায় চারশত বছর পূর্বে জমিদার লক্ষ্মী নারায়ন বৈষ্ণব কলকাতা থেকে লক্ষ্মীপুর আসেন। জমিদার লক্ষ্মী নারায়ণ এর নাম অনুসারে তখন এ গ্রামের নামকরণ করা হয় লক্ষীপুর। জমিদার লক্ষ্মী নারায়ন বৈষ্ণববের পরবর্তী উত্তরসরীরা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর বাণিজ্যিক এজেন্সী এবং জমিদারী লাভ করেন। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর বাণিজ্যিক এজেন্ট হওয়ায় পর থেকে স্থানীয় মানুষদের কাছে লক্ষ্মী নারায়ন বৈষ্ণবের উত্তরসরীগণ ‘দালাল’ বলে আখ্যায়িত হতে থাকেন। ১৯৪৬ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় জমিদারগণ দেশ ত্যাগ করে অন্যত্র চলে গেলে জমিদার বাড়ীটি পরিত্যাক্ত থেকে যায়।
দর্শনার্থীরা ঘরের দেয়াল, অভ্যন্তরীণ আঙ্গিনা, নির্মাণ সামগ্রী এবং বিশেষত কয়েক টন ওজনের লোহা ভীম, থিজিগ্যান্টিক লোহার বুক এবং নৃত্য হল দেখতে আসেন। জমিদার বাড়ির একটি পরিত্যক্ত রাজকীয় গেট, অভ্যন্তরীণ প্রাসাদ, রয়েলপ্লেস, পাকা ঘাট, থিয়েটার, পূজামণ্ডপ, বিশাল বাগান এবং তিনটি ছোট-বড় পুকুর রয়েছে। আদালতের আসন এবং নৃত্যের আসনটি দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা হয়নি বলে চুরি হয়ে গেছে। ২০১৫ সালে, তৎকালীন জেলা প্রশাসক দালাল বাজার জমিদার বাড়িটিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছিলেন। বাংলাদেশের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ ২০১৬ সালের ৪ জানুয়ারী দালাল বাজার জমিদার বাড়িটিকে খাসজমি হিসাবে উল্লেখ করেন।
কিভাবে যাবেন?
রাজধানী ঢাকার সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে লক্ষ্মীপুর যেতে ৪/৫ ঘন্টা সময় লাগে। ঢাকা থেকে লক্ষ্মীপুর যেতে বাসভেদে জনপ্রতি ভাড়া লাগে ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা। লক্ষ্মীপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে সিএনজি ভাড়া করে দালাল বাজার জমিদার বাড়িতে যেতে ১০ টাকা ভাড়া লাগে।
কোথায় খাবেন?
লক্ষ্মীপুরে বিভিন্ন মানের হোটেল, ফাস্টফুড শপ এবং চাইনিজ রেস্টুরেন্ট রয়েছে। খাবার খেতে যেতে পারেন হোটেল রাজমহল, কুটুম বাড়ি, আব্বাস আলী রেস্টুরেন্ট, মোহাম্মদীয়া হোটেল অথবা ফুড গার্ডেন রেস্টুরেন্টে।