কীর্তিপাশা জমিদার বাড়ি | Kirtipasha Jamindar Bari 04/05/2021


PC:


PC : Lonely Explorer | CC BY-SA 4.0

 

ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার কীর্তিপাশা ইউনিয়নে অবস্থিত প্রাচীনতম জনপদের নিদর্শন কীর্তিপাশার জমিদার বাড়ি। ঐতিহাসিক এই জমিদার বাড়িটি ঝালকাঠি জেলা সদর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে। রাজা কীর্তি নারায়ণের নাম অনুসারে কীর্তিপাশা। প্রায় একশত বছর আগে রামজীবন সেন কীর্তিপাশা জমিদার বাড়ির প্রতিষ্ঠা করেন। জমিদার কীর্তিপাশা, রামজীবন সেন এবং রাজা কীর্তি নারায়নের নামে প্রাসাদটির নামকরন করেন। এই বংশের সমত্মান রোহিনী রায় চৌধুরী ও তপন রায় চৌধুরী দুটি উজ্জল নক্ষত্র। গাবখান নদীর তীরে স্টিমার ঘাট রোহিনী গঞ্জ রোহিনী রায় চৌধুরীরই অবদান।

 

১৯ শতকের প্রথম দিকে বিক্রমপুর জমিদার বংশের রাজা রাম সেনগুপ্ত এই কীর্ত্তিপাশা গ্রামে আসেন। এখানে তিনি তার দুই ছেলের জন্য দুইটি বাড়ি নির্মাণ করেন। বড় ছেলের জন্য পূর্ব বাড়ি যা ছিল ১০ আনা বড় হিস্যা জমিদার বাড়ি নামে পরিচিত। আর ছোট ছেলের জন্য পূর্ব বাড়ি যা ৬ আনা ছোট হিস্যা জমিদার বাড়ি নামে পরিচিত ছিল। ছোট ছেলের জমিদার বাড়ি অনেক আগেই ধ্বংস হয়ে গেছে। আর বড় ছেলের জমিদার বাড়ির কিছু অংশ টিকে আছে। জানা যায়, এই জমিদার বাড়ির জমিদারপুত্রকে বিষ খাইয়ে হত্যা করা হয় এবং তার স্ত্রীও তার সাথে সহমৃত্যুবরণ করেন। পরে তাদেরকে একসাথে সমাধি করা হয়। সতীদাহ প্রথার একটি সহমরণ সমাধির চিহ্ন এখানে আছে এখনও। রোহিনী রায় চৌধুরীর সমাধিটি নতুনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। পারিবারিক শিব মন্দির এবং একটি শিব মুর্তি আছে এখনো। জমিদারদের ব্যবহ্নত টেবিল আছে বাকলাই বাড়িতে। তবে, মূল জমিদার বাড়ি ও দূর্গামন্দির লতা-পাতা, জঙ্গলে জরাজীর্ণ হয়ে রয়েছে।

 

কিভাবে যাবেন?

ঝালকাঠি থেকে রিক্সা বা অটোরিক্সা দিয়ে ১০/২০ মিনিট লাগবে কীর্তিপাশা বাজার যেতে। বাজার থেকে ৩-৪ মিনিট পায়ে হেঁটেই কীর্তিপাশা জমিদার বাড়ী যাওয়া যায়।

You might like

Get the mobile app!

Our app has all your booking needs covered: Secure payment channels, easy 4-step booking process, and sleek user designs. What more could you ask for?