সুজাবাদ কেল্লা | Sujabad Kella 04/05/2021


PC:


সুজাবাদ কেল্লা ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার দুই নং মগর ইউনিয়ন সুজাবাদ গ্রামে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা। বাংলার সুবেদার মোঘল সম্রাট শাজাহানের পুত্র শাহজাদা সুজা এই কেল্লা নির্মাণ করেন। মোগল সাম্রাজ্যের শেষদিকে বাংলার এই অঞ্চল মগ ও পর্তুগিজ জলদস্যুদের অবাধ লুণ্ঠন ক্ষেত্রে পরিণত হয়। শুধু তাই নয় এই জলদস্যুরা এক পর্যায়ে এই অঞ্চলের বসবাস করা নিরীহ মানুষ বিক্রি করার ভয়াবহ বাণিজ্যে লিপ্ত হয়ে পড়ে।

 

বিখ্যাত পর্যটক সেবাষ্টিয়ান ম্যান্ডরিক তৎকালীন তার ডায়েরিতে সেই ভয়াবহ অবস্থার বর্ণনায় উল্লেখ করেন যে, পর্তুগিজ এবং আরাকানি জলদস্যুদের অসহনীয় উৎপাতের কারণে এই অঞ্চল জনশূন্য ভূমিতে পরিণত হয়েছিলো। দক্ষিণাঞ্চলের ত্রাস দুর্দমনীয় এই বাহিনীকে শায়েস্তা করার উদ্দেশ্যে শাহজাদা সুজা ১৬৫৪ সালে সুজাবাদ গ্রামের পত্তন করেন এবং জলদস্যুদের দমন এবং তাদের আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য সুজাবাদ গ্রামে দু’টি কেল্লা তৈরি করেন।

 

প্রচলিত আছে, একরাতের মধ্যে কেল্লা দু’টি নির্মাণ করা হয় যার কারণে এক সময় স্থানীয় বাসিন্দারা সুজাবাদ কেল্লাকে ‘ভূতের গড়’ নামে ডাকতেন। তবে বর্তমানে সুজাবাদ কেল্লাটি ‘পুরাতন কলেজ’ নামে অধিক পরিচিত। আরও জানা যায়, সম্রাট শাজাহান তার পুত্র আওরঙ্গজেব কতৃক গৃহবন্দী হলে আওরঙ্গজেবের সাথে তার ভাইয়েরা যুদ্ধে লিপ্ত হন। যুদ্ধে পরাজিত শাহজাদা সুজা আওরঙ্গজেবের রোষানল থেকে বাঁচতে এই কেল্লায় আশ্রয় নেন।

 

কিভাবে যাবেন?

ঝালকাঠি  জেলায় এসে স্থানীয় পরিবহন ব্যবস্থায় নলছিটি থানা দুই নং মগর ইউনিয়ন সুজাবাদ গ্রামে অবস্থিত সুজাবাদ কেল্লা দেখতে যেতে পারবেন।

 

কোথায় খাবেন?

কালিবাড়ী রোডে অবস্থিত সকাল-সন্ধ্যা সুইটসের লুচি-ভাজি খেয়ে দেখতে পারেন। আর অবশ্যই ঘোষ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের মিষ্টি এবং রসমালাই খেতে ভুল করবেন না।

You might like

Get the mobile app!

Our app has all your booking needs covered: Secure payment channels, easy 4-step booking process, and sleek user designs. What more could you ask for?