ইনানী বিচ | Inani Beach
02/05/2021
সাজেক ভ্যালি | Sajek…
16/04/2021
চা বাগান | Cha Bagan
03/05/2021
রামু বৌদ্ধ বিহার | Ramu…
02/05/2021
02/05/2021
16/04/2021
03/05/2021
02/05/2021
PC: Ajeet Shahi
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর গ্রামে অবস্থিত যশোরেশ্বরী কালী মন্দির (Jeshoreshwari Kali Temple) হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের একটি অতি প্রাচীন পবিত্র স্থান। যশোরেশ্বরী শব্দের অর্থ যশোরের দেবী।
সত্য যুগে দক্ষ যজ্ঞের পর সতী মাতা দেহ ত্যাগের পর মহাদেব মৃত দেহ কাঁধে নিয়ে প্রলয় নৃত্য শুরু করেন। বিষ্ণু দেব তাঁর সুদর্শন চক্র কতৃক সতীর দেহ ছেদন করেন। এতে সতী মাতার দেহ খণ্ড গুলো ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। হিন্দু পুরাণ অনুসারে, ৫১টি পীঠের মধ্যে ঈশ্বরীপুরের মন্দিরটি হলো সেই স্থানে যেখানে দেবী সতীর হাতের তালু ও পায়ের পাতা এসে পড়েছিল। সতী মাতার দেহ খণ্ড যে সকল স্থানে পড়েছিল সেগুলোর প্রতিটিকে বলা হয় শক্তি পীঠ। যশোরেশ্বরী কালী মন্দির তেমনি একটি শক্তিপীঠ। এমন পীঠের সংখ্যা বাংলাদেশে রয়েছে ছয়টি।
ধারনা করা হয় যে, মন্দিরটি আনারি নামের এক ব্রাহ্মণ কর্তৃক নির্মিত হয়। তিনি এই যশোরেশ্বরী শক্তিপীঠের ১০০টি দরজা নির্মাণ করেন। কিন্তু মন্দিরটি কখন নির্মিত হয় তা জানা যায়নি। মূল মন্দির সংলগ্ন স্থানে নাটমন্দির নামে একটি বৃহৎ মঞ্চমণ্ডপ নির্মাণ করা হয়েছিল যেখান হতে দেবীর মুখমণ্ডল দেখা যায়। পরবর্তীতে এটি লক্ষ্মণ সেন ও প্রতাপাদিত্য কর্তৃক তাদের রাজত্বকালে অর্থাৎ ত্রয়োদশ শতাব্দীতে সংস্কার করা হয়েছিল কিন্ত্তু কারা এটি নির্মাণ করেছিল তা জানা যায়নি। ১৯৭১ সালের পর এটি ভেঙে পড়ে। এখন শুধুমাত্র স্তম্ভগুলি দেখা যায়।
কিভাবে যাবেন?
ঢাকার গাবতলী, নবীনগর, শ্যামলী, কল্যাণপুর এবং সাভার থেকে সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন এসি/নন-এসি বাস ছেড়ে যায়। সাতক্ষীরাগামী বাসে মধ্যে এসপি গোল্ডেন লাইন, এ কে ট্রাভেলস, গ্রীন লাইন, মামুন এন্টারপ্রাইজ, ঈগল পরিবহন, সোহাগ পরিবহন, সৌদিয়া পরিবহন, সাতক্ষীরা এক্সপ্রেস এবং শ্যামলী পরিবহন অন্যতম। সাতক্ষীরা থেকে স্থানীয় পরিবহণে শ্যামনগর উপজেলায় এসে সহজেই যশোরেশ্বরী কালী মন্দির দেখতে যেতে পারবেন।
কোথায় থাকবেন?
সাতক্ষীরায় অবস্থিত বিভিন্ন আবাসিক হোটেলের মধ্যে হোটেল সংগ্রাম, হোটেল সম্রাট, হোটেল সীমান্ত, মোজাফ্ফর গার্ডেন, হোটেল মোহনা এবং হোটেল উত্তরা অন্যতম।
কোথায় খাবেন?
সাতক্ষীরা জেলা আম, কুল, ওল, মাছ এবং সুন্দরবনের খাঁটি মধুর জন্য প্রসিদ্ধ। এছাড়া সাতক্ষীরা ঘোষ ডেইরীর সন্দেশের স্বাদ নিয়ে দেখতে পারেন।