ইনানী বিচ | Inani Beach
02/05/2021
সাজেক ভ্যালি | Sajek…
16/04/2021
ঝরঝরি ট্রেইল | Jorjori…
02/05/2021
ধুপপানি ঝর্ণা | Dhuppani…
16/04/2021
02/05/2021
16/04/2021
02/05/2021
16/04/2021
সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলা সদর থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে তেঁতুলিয়া গ্রামে ১৮শ শতকের মুসলিম স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন তেঁতুলিয়া জামে মসজিদ (Tetulia Shahi Jame Mosque) অবস্থিত। প্রায় দেড়শ বছরের পুরনো ঐতিহাসিক মসজিদটি স্থানীয়ভাবে মিয়ার মসজিদ হিসেবে পরিচিত। মূল নাম খান বাহাদুর কাজী সালামতউল্লাহ জামে মসজিদ হলেও বর্তমানে এটি তেঁতুলিয়া শাহী জামে মসজিদ নামেই পরিচিত।
মৌলভী কাজী সালামতউল্লাহ খান বাহাদুর তেঁতলিয়ার একজন জমিদার ছিলেন। তিনি ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় ব্রিটিশ শাসনামলের ডেপুটি কালেকটর এবং ডেপুটি ম্যাজিষ্ট্রেট ছিলেন। মসজিদের গায়ে প্রাপ্ত শিলালিপি হতে জানা যায়, ১২৭০ বঙ্গাব্দে জমিদার সালামতুল্লাহ খান কলকাতার ‘সিন্দুরে পট্টি’ মসজিদ, ১৮৪০-৪১ সালে প্রতিষ্ঠিত কোলকাতার শাহজানী বেগম মসজিদ এবং ১৮৪২ সালে প্রতিষ্ঠিত কোলকাতার ধর্মতলার টিপু সুলতান মসজিদের নকশার অনুকরণে এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। মসজিদের খুব কাছে “সালাম মঞ্জিল” টিও সমসাময়িক কালে কাজী সাহেব প্রতিষ্ঠা করেন।
মসজিদে প্রবেশের জন্য আছে ৯ ফুট উঁচু এবং ৪ ফুট প্রস্থের ৭টি দরজা। ১২টি পিলারের উপর চুন সুরকি ও চিটাগুড়ের গাথুনিতে নির্মিত মসজিদের ছাদে ৬টি গম্বুজ এবং ২০টি সুউচ্চ মিনার রয়েছে। মসজিদটির পাশে রয়েছে একটি সুগভীর পুকুর। পুকুরের তলদেশে থেকে সিড়িঁ উঠে গেছে মসজিদ চত্বরে। তেঁতুলিয়া জামে মসজিদের ভেতর ও বাইরে মিলিয়ে পাঁচ শতাধিক মুসল্লী একত্রে নামাজ আদায় করতে পারেন। প্রায় দেড়শত বছরের পুরাতন ঐতিহাসিক তেঁতুলিয়া জামে মসজিদ হতে মাত্র ১০০ গজ দূরত্বে রয়েছে তেঁতুলিয়া শাহী মসজিদ নামক আরো একটি ঐতিহাসিক মসজিদ। ১৯৮৭ সাল থেকে বাংলাদেশ প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তর তেঁতুলিয়া জামে মসজিদটি রক্ষণাবেক্ষণ করে চলেছে।
কিভাবে যাবেন?
সাতক্ষীরা জেলা শহর থেকে তেঁতুলিয়া জামে মসজিদের দূরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার। বাস, রিকশা, ভ্যানের মত স্থানীয় পরিবহণে চড়ে তালা-পাইকগাছা সড়ক ধরে সহজেই তেঁতুলিয়া শাহী মসজিদ পৌঁছানো যায়।
কোথায় থাকবেন?
সাতক্ষীরায় হোটেল সংগ্রাম, হোটেল সম্রাট, হোটেল সীমান্ত, মোজাফফর গার্ডেন, হোটেল মোহনা এবং হোটেল উত্তরা সহ বেশকিছু ভালোমানের আবাসিক হোটেল রয়েছে।
কোথায় খাবেন?
সাতক্ষীরা কুল, আম, ওল, মাছ এবং সুন্দরবনের খাঁটি মধুর জন্য বিখ্যাত। এছাড়া সাতক্ষীরা ঘোষ ডেইরীর সন্দেশের স্বাদ নিয়ে দেখতে পারেন।