ইনানী বিচ | Inani Beach
02/05/2021
সাজেক ভ্যালি | Sajek…
16/04/2021
চা বাগান | Cha Bagan
03/05/2021
রামু বৌদ্ধ বিহার | Ramu…
02/05/2021
02/05/2021
16/04/2021
03/05/2021
02/05/2021
বাংলাদেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্পের তিস্তা ব্যারেজ (Teesta Barrage) লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলাধীন গড্ডিমারী ইউনিয়নের দোয়ানী এবং পার্শ্ববর্তী নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলাধীন খালিসা চাপানী ইউনিয়নের ডালিয়া- এর মধ্যবর্তী স্থানে তিস্তা নদীর উপর নির্মিত। ভারতের উত্তর সিকিমের পার্বত্য এলাকায় তিস্তার উৎপত্তি।
বাংলাদেশে তিস্তা প্রবেশ করেছে নীলফামারী জেলার খড়িবাড়ি সীমান্ত এলাকা দিয়ে। অষ্টাদশ শতকের প্রায় শেষ পর্যন্ত এই ধারাটি বিভিন্ন নদীপ্রবাহের মাধ্যমে গঙ্গা নদীতে প্রবাহিত হতো। ১৭৮৭ সালের অতিবৃষ্টি একটি ব্যাপক বন্যার সৃষ্টি করেছিল এবং সেই সময় নদীটি গতিপথ পরিবর্তন করে লালমনিরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রাম এবং গাইবান্ধা জেলার মধ্যদিয়ে প্রবাহিত হয়ে চিলমারী নদীবন্দরের দক্ষিণে ব্রহ্মপুত্র নদে পতিত হয়।
রংপুর, দিনাজপুর, নিলফামারী ও বগুড়া জেলার অনাবাদী জমিতে সেচ সুবিধা প্রদানের জন্য ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দে তৎকালীন সরকার তিস্তা ব্যারেজ তৈরীর পরিকল্পনা গ্রহণ করে। পরবর্তীতে ১৯৭৯ সালে ৬১৫ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪৪ রেডিয়াল গেট বিশিষ্ট ব্যারেজের নির্মাণ কাজ শুরু হয়, যা ১৯৯০ সালে শেষ হয়। ১৫শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্প নির্মিত। ব্যারেজটি তৈরির ফলে নীলফামারি, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার বিশাল এলাকা সেচ সুবিধার আওতায় এসেছে। তিস্তা নদীর সর্বমোট দৈর্ঘ্য ৩১৫ কিমি, তার মধ্যে ১১৫ কিমি বাংলাদেশ ভূখণ্ডে অবস্থিত। আর ২০০ কিমি ভারতের।
তিস্তা ব্যারেজের নদীর দুই পাশে গড়ে তোলা হয়েছে সবুজ বেষ্টনি। এছাড়াও ব্যারেজ এলাকায় রয়েছে কয়েকটি পিকনিক স্পট। ব্যারেজের কালো পিচের রাস্তা ধরে ছুটে চলা কিংবা চারপাশের পরিবেশের মনভোলানো সৌন্দর্য্য এখানে আগত দর্শনার্থীদের এক অলৌকিক মায়ায় কাছে টানে।
কিভাবে যাবেন?
লালমনিরহাট সদর হতে অথবা হাতীবান্ধা উপজেলা সদর হতে সড়কপথে তিস্তা ব্যারেজ এ যাওয়া যায়। হাতীবান্ধা উপজেলা সদর হতে সড়কপথে এর দুরত্ব ২০ কিমি।
কোথায় থাকবেন?
তিস্তা ব্যারেজের পাশে রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত অবসর রেস্ট হাউজ। যদিও এই রেস্ট হাউজ সকলের জন্য উন্মুক্ত নয় তবে কতৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে এখানে রাত্রিযাপন করা যায়। এছাড়া রাত্রিযাপনের সুবিধার্থে আপনাকে নীলফামারি অথবা লালমনিরহাট জেলায় চলে যেতে হবে।
কোথায় খাবেন?
তিস্তা ব্যারেজের কাছে বেশকিছু খাবার হোটেল/রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এদের মধ্যে রাহমানিয়া হোটেল এন্ড ফুড কর্ণার, মুহাম্মাদিয়া হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্ট, বিসমিল্লাহ হোটেল এন্ড রেঁস্তোরা, টাঙ্গাইল মিস্টি ঘর, মাতৃ হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট উল্লেখযোগ্য।