ইনানী বিচ | Inani Beach
02/05/2021
সাজেক ভ্যালি | Sajek…
16/04/2021
চা বাগান | Cha Bagan
03/05/2021
রামু বৌদ্ধ বিহার | Ramu…
02/05/2021
02/05/2021
16/04/2021
03/05/2021
02/05/2021
দুর্গাসাগর দিঘী বরিশাল (Durga Sagor Dighi) শহর থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে স্বরূপকাঠি– বরিশাল সড়কে মাধবপাশায় অবস্থিত।এই জেলাটি প্রাচীন যুগে ‘চন্দ্রদ্বীপ’ নামে পরিচিত ছিল এবং দুর্গা সাগর দিঘি এমন একটি ঐতিহাসিক স্থান যা এই সময়ে নির্মিত হয়েছিল। এই অঞ্চলটি প্রায় দুইশত বছর ধরে চন্দ্রদ্বীপ রাজবংশ দ্বারা শাসিত ছিল।
ইতিহাস নিয়ে প্রচুর দ্বিমত আছে অনেকেরই। প্রথমত, এটি বিশ্বাস করা হয় যে চন্দ্রদ্বীপ বংশের তৎকালীন রাজা শিব নায়রণ এই দুর্গাসাগর দিঘিটি খনন করেছিলেন ১৭৮০ খ্রিস্টাব্দে। তিনি ছিলেন বাংলার বারো-ভূঁইয়াদের অন্যতম। রাজা তাঁর স্ত্রী দুর্গাবতীর প্রতি গভীর ভালবাসার জের ধরে এই দিঘিটি খনন করেছিলেন এবং তাঁর নাম অনুসারে এই দিঘির নাম রাখা হয় দুর্গা সাগর দিঘি। স্থানীয়দের কাছ থেকে এটিও জানা যায় যে রাণী এক রাতে ৬১ একর(কানি) হেঁটেছিলেন তাই এই দিঘিটি পুরো জায়গা জুড়েই খনন করা হয়েছিল। খনন কাজের জন্য ট্রেজারি থেকে তিন লাখ টাকা ব্যয় হয়েছিল।
দ্বিতীয়ত, স্থানীয় উৎস এবং ইতিহাস অনুসারে, রাজা শিব নায়রণ মারা গিয়েছিলেন যখন রানী দুর্গাবতী গর্ভবতী ছিলেন। পরে রাজা জয় নারায়ণের জন্মের পরে তাঁর মা সিংহাসনে আরোহণ করেন। রানী বুদ্ধিমান এবং তার ভাড়াটেদের দেখাশোনা করছিল। তাই তিনি ১৮৭০ সালে রাজদরবারের সমস্ত সদস্যদের তাদের জন্য পানি নিরসনের অনুমতি নিয়ে এই দিঘিটি খনন করেছিলেন।
ঐতিহাসিক এই দিঘীটির জলাভূমির আয়তন ২৭ একর এবং পাড় ও জমি সহ মোট আয়তন ৪৫.৪২ একর। স্থানীয়দের কাছে এই দুর্গাসাগর মাধবপাশা দিঘী নামেও ব্যাপক পরিচিত। চারপাশে নারিকেল, সুপারি, শিশু, মেহগনি বৃক্ষ দিয়ে ঘেরা দিঘির উত্তর পাশে একটি বড় বাঁধানো ঘাট আছে। বছরের যেকোন সময় দুর্গাসাগর দিঘী দেখতে যাওয়া যায় তবে শীতকালে দুর্গাসাগরে বুকে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখির আগমন ঘটে। সরাইল ও বালিহাঁস সহ প্রায় ৬ প্রজাতির হাজার হাজার পাখির কলরবে চারপাশ মুখরিত থাকে। প্রায় আড়াইশ বছর পুরনো ঐতিহ্যবাহী দুর্গাসাগর দিঘীর সৌন্দর্য্য দেখতে অসংখ্য লোকের আগমন ঘটে।
বরিশাল থেকে চাখার যাওয়ার বাসে চড়লে দূর্গাসাগর দীঘির একদম সামনে নামতে পারবেন। এছাড়া লঞ্চঘাট থেকে ব্যাটারী চালিত লেগুনা দুর্গাসাগর দিঘীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। চাইলে সিএনজি কিংবা অটোরিক্সা রিজার্ভ করে ঘুরে আসতে পারবেন দুর্গাসাগর থেকে।