বঙ্গবন্ধু যমুনা ইকোপার্ক | Bangabandhu Jamuna Eco Park 20/01/2022


PC:


বঙ্গবন্ধু যমুনা ইকোপার্ক (Bangabandhu Jamuna Eco Park) সিরাজগঞ্জ জেলার একমাত্র বিনোদনর কেন্দ্র। ২০০৭ ইং সালে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ে বনবিভাগ কর্তৃক ১২০ একর জায়গার উপর বঙ্গবন্ধু যমুনা ইকোপার্ক স্থাপিত হয়। সুনিবির প্রাকৃতিক সবুজ গাছ গাছালী দ্বারা আবৃত্ত এই পার্ক থেকে যমুনা নদী ও বঙ্গবন্ধু সেতুর নৈসর্গিক দৃশ্য দেখার সুযোগ, উন্মুক্ত পশুপাখি এবং গাছ-গাছালিময় প্রাকৃতিক পরিবেশের কারণে এখানে প্রতিদিনই বাড়ছে দর্শনার্থী।

 

বঙ্গবন্ধু সেতুর কোল ঘেষে বিশাল এলাকা জুড়ে এই প্রাকৃতিক-নৈসর্গিক সৌন্দর্যমণ্ডিত বঙ্গবন্ধু যমুনা ইকোপার্কে রয়েছে বিভিন্ন প্রকার ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের সমারোহ। রয়েছে চঞ্চলা হরিণের উন্মুক্ত বিচরণ, পাথির কলকাকলী, ঝাউ বন, থুজার সারি, নানাবিধ মোভাবর্ধনকারী ফরজ, বনজ ও ঔষধি বৃক্ষের সমারোহ, ময়ুর, সাজারু, খরগোশ ও বানরের হতচকিত চাহনি আর এলোমেলো হাঁটা পথ। ইকো-পার্কে পেয়ারা, আম, আমলকি, রড়ই, ডুমুর, ডেওয়া, জলপাই, জাম, কাঠাল, তেঁতুল, ইপির-ইপিল, আকাশমনি, আরোকেরিয়া, বকুল, শিমুল, জৈয়তন, জারুল, মহুয়া, নাগেশ্বর, করবী, ক্ঞ্চন, কাঞ্জলভাদি, টেবুবিয়া, অর্জুন ইত্যাদি বৃক্ষ।

 

বর্ষাকালে যমুনা নদীর পানি পার্কের সীমানা প্রায় কাছাকাছি চলে আসে। যা খুবই উপভোগ্য হয় পর্যটকদের জন্য। বৃষ্টিভেজা সবুজ গাছপালা আর পার্কের বিভিন্ন পাখির ডাক দারুণ উপভোগ্য। নির্দিষ্ট অংকের টিকেট কেটে পার্কে প্রবেশ করতে হয়। প্রাইভেট কার ও মোটরবাইক নিয়েও পার্কে প্রবেশের সুবিধা রয়েছে, তবে তার জন্য আলাদা টিকেট করতে হয়। সাধারণ দিনসহ বিভিন্ন ছুটিতে পরিবার পরিজন নিয়ে বেড়ানোর জন্য এই ইকোপার্কটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

 

কিভাবে যাবেন?

ঢাকার মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে নিয়মিত বিরতিতে অভি ক্লাসিক এবং এসআই কোম্পানির নন-এসি বাস চলাচল করে। আর মিরপুর ২ নাম্বার থেকে ঢাকা লাইন এবং এস আই কোম্পানির এসি বাস সিরাজগঞ্জের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এসি, নন-এসি বাসের জনপ্রতি টিকেটের মূল্য ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা। মহাখালী কিংবা মিরপুর ২ এর বাস ছাড়াও উত্তরবঙ্গগামী যেকোন বাস বা ট্রেনে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্তে নেমে সহজেই বঙ্গবন্ধু যমুনা ইকোপার্কে যাওয়া যায়। আর সিরাজগঞ্জ জেলা সদর থেকে বঙ্গবন্ধু যমুনা ইকোপার্ক আসতে চাইলে বাসে প্রায় ০৮ কিলোমিটার আসতে হবে।

 

কোথায় থাকবেন?

রাজধানী ঢাকা থেকে চাইলে একদিনে যমুনা ইকোপার্ক ঘুরে আসার সুযোগ রয়েছে। তবুও প্রয়োজনে রাত্রিযাপন করতে চাইলে সিরাজগঞ্জ শহরের অবস্থিত মোটামুটি মানের হোটেল আলিশান কিংবা হোটেল অনিক ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে রাতে থাকার রুম পেয়ে যাবেন।

 

কোথায় খাবেন?

সিরাজগঞ্জ সদরে বিভিন্ন মানের বেশকিছু খাবারের হোটেল ও রেস্টুরেন্ট রয়েছে। আপনার চাহিদা পূরণে সমর্থ্য এমন যেকোন রেস্টুরেন্ট থেকেই প্রয়োজনীয় খাবার খেয়ে নিতে পারবেন। জনপ্রিয় খাবার হোটেলের মধ্যে ফুড ভিলেজ, বসুন্ধরা রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করতে পারেন। এছাড়া বগুড়ার দই প্রায় সবজায়গাতেই পাওয়া যায়। অবশ্যই খেয়ে দেখবেন এই বিখ্যাত দই।

You might like

Get the mobile app!

Our app has all your booking needs covered: Secure payment channels, easy 4-step booking process, and sleek user designs. What more could you ask for?