ইনানী বিচ | Inani Beach
02/05/2021
সাজেক ভ্যালি | Sajek…
16/04/2021
চা বাগান | Cha Bagan
03/05/2021
রামু বৌদ্ধ বিহার | Ramu…
02/05/2021
02/05/2021
16/04/2021
03/05/2021
02/05/2021
ভাবুন তো, সবুজ ঘাসের উপর বসে আছেন আপনি, আর দুইপাশে নদী। এমন অসাধারণ জায়গায় একটা বিকেল পার করতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন সিরাজগঞ্জের চায়না বাঁধ (China Badh) থেকে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড জেলা শহর থেকে ২ কিলোমিটার দূরে যমুনা নদীর কূল ঘিরে তৈরি করা হয়েছে এই বাঁধ। বাঁধের মূল ফটক থেকে নদীর ২ কিলোমিটার গভীরে চলে গেছে বাঁধের শেষ প্রান্ত। মূল গেট থেকে পিচ ঢালা রাস্তা সহজেই যেতে পারবেন বাঁধের শেষ প্রান্তে।
প্রতিদিন অনেক দর্শনার্থী চায়না বাঁধে ঘুরতে আসেন। অসীম আকাশের সাথে নদীর জলের গভীর মিতালীতে তৈরি চারপাশের অপূর্ব প্রাকৃতিক পরিবেশ, নৌকা ভ্রমণ এবং অল্প দূরত্বে থাকা ছোট্ট সিরাজগঞ্জ শহর যেন এক অদ্ভুত মায়ায় দর্শনার্থীদের কাছে টেনে নেয়। আর সবচেয়ে ভালো লাগবে বর্ষাকালে গেলে।
কিভাবে যাবেন?
সিরাজগঞ্জ যাওয়ার জন্য মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত প্রতি ৩০ মিনিট পরপর অভি এবং এসআই এই কোম্পানির বাস ছাড়ে। ভাড়া ২৫০ টাকা জনপ্রতি। তবে যারা এসি বাসে যেতে চান তারা মিরপুর ২ এ চলে যাবেন। ওখান থেকে ঢাকা লাইন / এস আই কোম্পানির এসি বাস ছাড়ে। ভাড়া ৩৫০ টাকা। এছাড়া আপনি উওরবঙের যেকোন বাসেই যেতে পারেন, তবে আপনাকে নামতে হবে কড্ডার মোড়ে অথবা সিরাজগঞ্জ রোডে। ট্রেনে আসতে চাইলে ক্যাপ্টেন মনসুর আলী স্টেশনে নামবেন। তারপর সিএনজি নিয়ে সিরাজগঞ্জ শহরের বাজার স্টেশন আসবেন। ওখান থেকে চায়না বাঁধের রিক্সা ভাড়া ২৫/৩০ টাকা। সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের কথা লিখলাম না, কারণ ওটা বিকেল ৫ টায় ঢাকা থেকে ছেড়ে রাত ১০.৩০ এ সিরাজগঞ্জ আসে।
তবে মনে রাখবেন সিরাজগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে শেষ বাস ছাড়ে সন্ধ্যা ৭ টায়। অবশ্য আপনি চাইলে কড্ডার মোড়ে গিয়ে ঢাকাগামী যেকোন বাসে করেই ঢাকায় ফিরতে পারবেন।
কোথায় থাকবেন?
রাজধানী ঢাকা থেকে চাইলে একদিনে চায়না বাঁধ ঘুরে আসার সুযোগ রয়েছে। তবুও প্রয়োজনে রাত্রিযাপন করতে চাইলে সিরাজগঞ্জ শহরের অবস্থিত মোটামুটি মানের হোটেল আলিশান কিংবা হোটেল অনিক ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে রাতে থাকার রুম পেয়ে যাবেন।
কোথায় খাবেন?
সিরাজগঞ্জ সদরে বিভিন্ন মানের বেশকিছু খাবারের হোটেল ও রেস্টুরেন্ট রয়েছে। আপনার চাহিদা পূরণে সমর্থ্য এমন যেকোন রেস্টুরেন্ট থেকেই প্রয়োজনীয় খাবার খেয়ে নিতে পারবেন। জনপ্রিয় খাবার হোটেলের মধ্যে ফুড ভিলেজ, বসুন্ধরা রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করতে পারেন। এছাড়া বগুড়ার দই প্রায় সবজায়গাতেই পাওয়া যায়। অবশ্যই খেয়ে দেখবেন এই বিখ্যাত দই।