ইনানী বিচ | Inani Beach
02/05/2021
সাজেক ভ্যালি | Sajek…
16/04/2021
চা বাগান | Cha Bagan
03/05/2021
রামু বৌদ্ধ বিহার | Ramu…
02/05/2021
02/05/2021
16/04/2021
03/05/2021
02/05/2021
হাটিকুমরুলের নবরত্ন মন্দির (Navaratna Temple), সিরাজগঞ্জের মধ্যযুগের প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন। পোড়ামাটির ফলক সমৃদ্ধ ৯টি চূড়ায় সুশোভিত এই নবরত্ন মন্দির সিরাজগঞ্জ জেলার একটি উল্লেখযোগ্য পুরাকীর্তি। ইতিহাসের পথ ধরে কিছু সময়ের জন্য আপনিও হারিয়ে যেতে পারেন মধ্যযুগে। সম্ভবত ১৬৬৪ সালে পোতাজিয়ার জমিদার চন্ডিপ্রসাদ রায়’র বংশধর নায়েবে দেওয়ান রামানাথ ভাদুরী দিনাজপুরের কান্তজীর মন্দির এর অনুকরণে এই নবরত্ন মন্দিরটি পারিবারিক মন্দির হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন বলে ধারণা করা হয়। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এ নবরত্ন মন্দির স্থানীয়ভাবে দোলমঞ্চ নামে পরিচিত।
হিন্দু স্থাপত্যের উজ্জ্বল নিদর্শন কারুকার্যমন্ডিত নবরত্ন মন্দিরটি ৩ তলা বিশিষ্ট। এ মন্দিরে ছিল পোড়ামাটির ফলক সমৃদ্ধ ৯টি চূড়া। এজন্য এটিকে নবরত্ন মন্দির বলা হতো। তিনতলা এই মন্দিরের আয়তন ৬৫.২৪ বাই ৬৫.২৪। বর্গাকার মন্দিরটি প্রায় ২ ফুট প্লাটফর্মের উপর তৈরী। মন্দিরের মূল কক্ষটি বেশ বড়। চারদিকের দেওয়ালের বাইরের চারপাশে পোড়ামাটির ফলক দিয়ে সাজানো। নির্মাণশৈলীর দিক থেকে উঁচু একটি বেদীর উপর নবরত্ন পরিকল্পনায় নির্মিত মন্দিরের প্রতিটি বাহুর দৈর্ঘ্যে ১৫.৪ মিটার এবং প্রস্থে ১৩.২৫ মিটার। মন্দিরের নীচতলায় ২টি বারান্দা বেষ্টিত একটি গর্ভগৃহ। এর বারান্দার বাইরের দিকে ৭টি এবং ভিতরের দিকে ৫টি খিলান বা প্রবেশ পথ। গর্ভগৃহের পূর্ব ও দক্ষিন দিকে ২টি প্রবেশ পথ আর মন্দিরের ২য় তলায় কোন বারান্দা নাই।
মন্দিরের প্রবেশ পথ পূর্ব দিকে, কুঠুরির উত্তরে ওপরে ওঠার সিঁড়ি। ভিতর থেকে মূল ভবনের ওপরের ছাদ গোলাকার গম্বুজে আচ্ছাদিত। মন্দিরের কেন্দ্রীয় কক্ষ বা উপাসনা কক্ষের ঠিক উপরে একই আকৃতির আরও একটি কক্ষ রয়েছে এবং এই কক্ষের চারিদিকে বারান্দা রয়েছে। এটা আকারে অপেক্ষাকৃত ছোট এবং ওপরে গম্বুজ আকৃতির আরও একটি ছাদ রয়েছে। মন্দিরের পাশেই একটি পুকুর। এই পুকুরটিকে ঘিরে রয়েছে নানা জনশ্রুতি। কেউ বলেন, ‘এখানে দেব-দেবীর আস্তানা রয়েছে।’ আবার কেউ বলেন, ‘জমিদারের গুপ্তধন লুকানো রয়েছে।’
কিভাবে যাবেন?
বাসে বঙ্গবন্ধু সেতু পাড় হয়ে পশ্চিম সংযোগ সড়কের চৌরাস্তায় নেমে সিরাজগঞ্জ সড়কে এসে রিকশা বা ভ্যানে চড়ে ২ কিলোমিটার গেলেই হাটিকুমরুল। হাটিকুমরুল গ্রামে মাত্র ১ কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে নবরত্ন মন্দির।
কোথায় থাকবেন?
হাটিকুমরুল গ্রামে রাতে থাকার কোন আবাসন ব্যবস্থা গড়ে উঠেনি। তবুও প্রয়োজনে রাত্রিযাপন করতে চাইলে সিরাজগঞ্জ শহরের অবস্থিত মোটামুটি মানের হোটেল আলিশান কিংবা হোটেল অনিক ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে রাতে থাকার রুম পেয়ে যাবেন।
কোথায় খাবেন?
সিরাজগঞ্জ সদরে বিভিন্ন মানের বেশকিছু খাবারের হোটেল ও রেস্টুরেন্ট রয়েছে। আপনার চাহিদা পূরণে সমর্থ্য এমন যেকোন রেস্টুরেন্ট থেকেই প্রয়োজনীয় খাবার খেয়ে নিতে পারবেন। জনপ্রিয় খাবার হোটেলের মধ্যে ফুড ভিলেজ, বসুন্ধরা রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করতে পারেন। এছাড়া বগুড়ার দই প্রায় সবজায়গাতেই পাওয়া যায়। অবশ্যই খেয়ে দেখবেন এই বিখ্যাত দই।