ইনানী বিচ | Inani Beach
02/05/2021
সাজেক ভ্যালি | Sajek…
16/04/2021
চা বাগান | Cha Bagan
03/05/2021
রামু বৌদ্ধ বিহার | Ramu…
02/05/2021
02/05/2021
16/04/2021
03/05/2021
02/05/2021
গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য বিল ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। মুলত বিলগুলোর বেশিরভাগই হচ্ছে এক ফসলি জমি। এই জমিতে শুধুমাত্র বোরো মৌসুমেই ধান চাষ করা হয়। বর্ষাকালে এসব জমি পানির নিচে তলিয়ে যায়। তখন এসব বিলে প্রাকৃতিকভাবে শোভা ছড়ায় অসংখ্য লাল শাপলা। আর এই বিলগুলোকেই লাল শাপলার বিল (Lal Shapla Bill) বলা হয়।
অনেক বছর আগে এসব বিলের জমিতে সাদা-সবুজ শাপলা জন্ম নিলেও বিগত ১৯৮৮ সালের বন্যার পর থেকে শুরু হয় লাল শাপলা। চারিদিক লালে লালে একাকার হয়ে যায়। শুধু মাত্র গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার অন্ততঃ ২৫টি বিল ভরে রয়েছে লাল শাপলায়। এদের মধ্যে ছত্রকান্দার বিল, জোয়ারিয়ার বিল উল্লেখযোগ্য। এছাড়া গোপালগঞ্জ সদরের দুর্গাপুর ইউনিয়নের কাটড়বাড়ী গ্রামের ডোংরাসুর বিলেও লাল শাপলার দেখা মিলে।
বিলে যত দূর চোখ যায়, তত দূর পর্যন্ত শুধু লাল শাপলা ফুল। দূর থেকে দেখলে মনে হবে পুরো বিল লাল গালিচা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। প্রাকৃতিক এ সৌন্দর্য উপভোগ করতে দূর-দূরান্ত থেকে লোক আসেন। উপভোগ করেন প্রাকৃতিক এ অপার সৌন্দর্য। চারিদিকে সবুজ মাঠ আর মাঝখানে লাল শাপলা এ যেন আরেকটি বাংলাদেশ।
কিভাবে যাবেন?
রাজধানী ঢাকা থেকে বাসে করে সরাসরি টুঙ্গিপাড়া যাওয়া যায়। ঢাকা থেকে বাস যোগে টুঙ্গিপাড়া যাওয়ার দুইটি রুট রয়েছে। গাবতলী থেকে পাটুরিয়া হয়ে টুঙ্গিপাড়ার দূরত্ব ২৪০ কিলোমিটার। আর গুলিস্তান থেকে মাওয়া ঘাট হয়ে টুঙ্গিপাড়ার দূরত্ব ১৬০ কিলোমিটার। গাবতলী রুটে চলাচলকারী গোল্ডেন লাইন, কমফোর্ট লাইন, সেবা গ্রিন লাইন বাসের জনপ্রতি সীটের ভাড়া ৩৫০ টাকা। গুলিস্তান রুটে চলাচলকারী সেবা গ্রিস লাইন, টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস ও মধুমতী পরিবহনের বাসে প্রতিজন ৩০০ টাকা ভাড়ায় টুঙ্গিপাড়া যাওয়া যায়।
কোথায় থাকবেন?
গোপালগঞ্জ জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে থাকার জন্য হোটেল পলাশ, হোটেল রানা, হোটেল তাজ, হোটেল সোহাগ, হোটেল রিফাত এবং হোটেল শিমুল নামে বেশ কয়েকটি সাধারণ মানের আবাসিক হোটেল রয়েছে। ধরণ এবং মান অনুযায়ী এসব হোটেলে রুম ভাড়া ৪০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত।
এছাড়া টুঙ্গিপাড়া থানা রোডে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের মধুমতি নামের মোটেলে এসি ও ননএসি রুমে থাকতে ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকা লাগবে এবং মধুমতি মোটেলের ডরমেটরিতে থাকতে হলে ২০০ টাকা গুনতে হবে।
১। জেলা পরিষদ কটেজ, গোপালগঞ্জ। যোগাযোগ: প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা পরিষদ।
২। গোপালগঞ্জ সার্কিট হাউজ: (নেজারত) ডেপুটি কালেক্টর।