পাতরাইল মসজিদ | Patrail Masjid 12/01/2022


PC:


পাতরাইল মসজিদ (Patrail Masjid) ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নে অবস্থিত একটি ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা। দূর্লভ ও নান্দ্যনিক কারুকার্যময় প্রাচীন মসজিদটি মজলিশ আউলিয়া মসজিদ নামেও সুপরিচিত। এ ঐতিহাসিক মসজিদের দক্ষিণ পাশে চির নিন্দ্রায় শায়িত আছেন মহান আউলিয়া মজলিস আউলিয়া খান। মসজিদের আঙ্গিনায় আছে মস্তান দরবেশ নাজিমদ্দিন দেওয়ানের মাজার। আউলিয়া খানের মাজারের দক্ষিণ পাশে আছে ফকির ছলিমদ্দিন দেওয়ানের মাজার।

 

প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী আউলিয়া খান জামে মসজিদ যা ১৩৯৩ হতে ১৪১০ খ্রিঃ মধ্যে গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ নির্মাণ করেন বলে ধারণা করা হয়।  আয়তাকার ও ১০ গম্বুজ বিশিষ্ট পাতরাইল মসজিদের সাথে রাজশাহীর বাঘা মসজিদের স্থাপত্য শৈলীর মিল পাওয়া যায়। মসজিদের পূর্বদিকে রয়েছে ৫ টি খিলানযুক্ত প্রবেশ পথ। দক্ষিণ এবং উত্তর দিকে মসজিদে প্রবেশের জন্য আরো দুটি দরজা রয়েছে। প্রায় দুই মিটার পুরু দেয়ালে গড়া মসজিদের ভেতরের দিকে দৈর্ঘ্য ২১.৭৯ মিটার ও প্রস্থ ৮.৬০ মিটার। জনশ্রুতি আছে যে, অত্র এলাকায় প্রজাদের পানীয় জলের সমস্যা নিরসনকল্পে ও ইবাদতের জন্য মসজিদের পার্শ্বেই ৩২.১৫ একর জমির উপর একটি দীঘি খনন করেন। বর্তমানে পাতরাইল মসজিদ বাংলাদেশ প্রত্মতত্ত্ব অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।

 

কিভাবে যাবেন?

ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা গোলচত্ত্বর থেকে ভাঙ্গা-মাওয়া বিশ্বরোডের ৮ কিলোমিটার পূর্বদিকের পুলিয়া থেকে আরো ৪ কিলোমিটার দূরে গেলেই পাতরাইল মসজিদ দেখতে পাবেন। এছাড়াও ঢাকার গুলিস্তান পোস্তাগোলা কিংবা বাবুবাজার ব্রীজ থেকে মাওয়াগামী বাসে চড়ে মাওয়া এসে লঞ্চ/স্পীড বোটে কাওরাকান্দি হয়ে ভাঙ্গাগামী বাসে পুলিয়া বাজার নেমে অটোতে করে পাতরাইল মসজিদ যাওয়া যায়।

 

বি: দ্র: পাতরাইল মসজিদ দেখতে যাওয়ার ক্ষেত্রে যাওয়া-আসার জন্য একসাথে রিজার্ভ করে নিয়ে নিন। তা না হলে পাতরাইল মসজিদ থেকে ফেরার পথে পরিবহন সংকটে পড়তে পারেন।

 

কোথায় থাকবেন?

পাতরাইল মসজিদের কাছে থাকার কোন ব্যবস্থা নেই। তবে ভাঙ্গা উপজেলায় সীমিত পরিসরে রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা আছে। তবে সবচেয়ে ভাল হয় ফরিদপুর চলে আসা।

 

You might like

Get the mobile app!

Our app has all your booking needs covered: Secure payment channels, easy 4-step booking process, and sleek user designs. What more could you ask for?