ইনানী বিচ | Inani Beach
02/05/2021
সাজেক ভ্যালি | Sajek…
16/04/2021
চা বাগান | Cha Bagan
03/05/2021
রামু বৌদ্ধ বিহার | Ramu…
02/05/2021
02/05/2021
16/04/2021
03/05/2021
02/05/2021
ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলায় গোবিন্দপুর গ্রামে পল্লী কবি জসীমউদ্দিনের বাড়ি (Polli Kabi Jasimuddin's House)। নিস্তব্ধ গ্রাম। স্রোত হীন কুমার নদ। খোলা বাতাস। প্রকৃতির দৃশ্য মন কেড়ে নেয়। কুমার নদের পশ্চিমেই কবির বাড়ি। প্রবেশ করলেই মনে হবে পল্লী প্রকৃতি যেন আপনার অনুভূতি স্পর্শ করে স্বাগত জানাচ্ছে। চারিদিকের গাছপালা, বাগান, কবির সমাধি ক্ষেত্র, পাখির কিঁচির মিচির শব্দ। কবির বাড়ী-আঙ্গিনায় চারটি দোচালা টিনের ঘর। বসত বাড়ির বিভিন্ন রুমে রয়েছে তার ব্যবহৃত নানান জিনিসপত্র। কবির বিভিন্ন লেখা বাড়ির চত্বরে প্রদর্শন করা আছে। নদীর সামনে বিশাল জায়গায় রয়েছে আগত দর্শনার্থীদের জন্যে বসার স্থা্ন।
কবির জন্ম ১৯০৩ সালে সদর উপজেলার নানার বাড়ি তাম্বুলখানা গ্রামে। ঔপনিবেশিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও তিনি বাংলার পল্লী প্রকৃতির রূপমাধুর্য, সহজ সরল মানুষের জীবন তাঁর কাব্য সাহিত্যের উপজীব্য হিসেবে নেন। বাংলার পল্লী অঞ্চলে ছড়িয়ে রয়েছে বিশাল জনগোষ্ঠী, কৃষি যাদের প্রধান উপজীবিকা, তাদের মধ্যেই পল্লীকবির আবির্ভাব। জসীমউদ্দীনের বাল্যকাল, কৈশোর ও যৌবনের অনেকটাই কেটেছে এ পল্লীতে, সেখানকার মাঠে-ঘাটে, নদীতীরে, চরে সাধারণ মানুষের মধ্যে। জন্মসূত্রে পল্লীর সাথে তাঁর এই নিবিড় সম্পর্কের কারণে তার কাব্যে প্রতিফলিত হয়েছে পল্লী প্রকৃতি ও জীবন।
ঘরগুলো জুড়ে কবির এতো স্মৃতিচিহ্ন, কবির অস্তিত্ত্বটাকে স্পষ্ট করে তুলেছে। ঢেকি-ঘরের পাশে একটি ছবির মাঝে কবি পত্নী মমতাজ জসিমউদ্দীনের ছবিটি দেখতে পাওয়া যাবে। ৯ম শ্রেণীতে পড়াকালীন ১৪ বছর বয়সী এই কিশোরীকে কবি তার স্ত্রী হিসেবে ঘরে তোলেন। বিয়ের আরো অনেক আগেই জসিমউদ্দীন তাঁর অমর “কবর” কবিতাটি রচনা করেন, যেটি ছিল তার স্ত্রীকে নিয়েই লিখা। কতটা পল্লী প্রকৃতির প্রেমিক ছিলেন পল্লী জসিমউদ্দীন সেটি পুরো বাড়ির স্মৃতি রক্ষণেই বুঝা যায়।
বাড়ির উত্তরে রাস্তার পাশে কবির কবরস্থান। পল্লীকবি জসীমউদ্দীন ১৯৭৬ সালের ১৪ মার্চ থেকে ডালিম গাছের তলে চিরশায়িত রয়েছেন। কবির চারপাশে শায়িত রয়েছেন তার বাবা, মা, কবির পত্নী, বড় ছেলে, বড় ছেলের স্ত্রীসহ তার ভাই, বোন, ভাগিনা ও নাতনিরা।
কিভাবে যাবেন?
ফরিদপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে কবির বাড়ি ২ কিলোমিটার দূরে। সেখান থেকে চাইলে রিক্সা, অটোরিক্সা বা মাইক্রোবাস দিয়ে যেতে পারবেন।
কোথায় থাকবেন?
ফরিদপুর শহরে থাকার জন্যে মোটামুটি মানের বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেল আছে। তার মধ্যে একটু বেশি বাজেটের জনতার মোড়ে হোটেল র্যাফেলস। কম বাজেটের মধ্যে ভাল হলো মুজিব সড়কের জেকে ইন্টারন্যাশনাল, পদ্মা হোটেল, হোটেল ঝিলভিউ ইত্যাদি।