ইনানী বিচ | Inani Beach
02/05/2021
সাজেক ভ্যালি | Sajek…
16/04/2021
চা বাগান | Cha Bagan
03/05/2021
রামু বৌদ্ধ বিহার | Ramu…
02/05/2021
02/05/2021
16/04/2021
03/05/2021
02/05/2021
কবির স্মৃতিবিজড়িত শিলাইদহ ‘কুঠিবাড়ি’ সবার কাছে পরিচিত হলেও তাঁর স্মৃতিধন্য ‘টেগর লজ’ (Tagore Lodge) এখনও রয়েছে অনেকের কাছেই অজানা। কুষ্টিয়া শহরের মিলপাড়ায় কবি আজিজুর রহমান সড়কে অবস্থিত ‘টেগর লজ’ ভবনটির এখন বেহাল দশা। ভবনটি পূনরুদ্ধারের ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও এটিকে ‘রবীন্দ্র মিউজিয়াম’ রূপান্তরের উদ্যোগ রয়েছে ফাইলবন্দী হয়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জমিদারীর দায়িত্বভার গ্রহণের পর শিলাইদহে আসেন ১৮৯২ সালে। সম্ভবত সে সময়েই ঠাকুর এস্টেটের জমিদারী দেখাশোনার জন্য কুষ্টিয়া শহরে কবি আজিজুর রহমান সড়ক সংলগ্ন মিলপাড়ায় প্রতিষ্ঠিত হয় ‘টেগর এ্যান্ড কোম্পানি’। আর টেগর এ্যান্ড কোম্পানির ব্যবসায়িক অফিস ছিল ‘টেগর লজ’। ১৮৯৫ সালে টেগর এ্যান্ড কোম্পানির অফিস হিসেবে টেগর লজ ব্যবসায়িক কাজ শুরু করে। তখন এর সদর দফতর ছিল কলকাতায়। এই ব্যবসার মূল ভূমিকায় ছিলেন কবির ভ্রাতুষ্পুত্র বলেন্দ্রনাথ ও সুরেন্দ্রনাথ। রবীন্দ্রনাথ পরে এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হন এবং এক পর্যায়ে তিনি ব্যবসার মূল দায়িত্ব বুঝে নেন। সে সময় ব্যবসার ব্যাপক প্রসার ঘটে। পাট, মসুরী, কালাই ইত্যাদি ছিল মূল ব্যবসা। রবীন্দ্রনাথ ভুষি মালের ব্যবসার পাশাপাশি পরে আখ মাড়াইয়ের কারখানাও চালু করেন।
নয় কাঠা জমির উপর প্রতিষ্ঠিত টেগর লজের প্রবেশ পথে কবিগুরুর একটি আবক্ষ মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। ভেতরে আছে সবুজ ঘাসে ঢাকা আঙিনা ও একটি ছোট মুক্তমঞ্চ। এই মুক্তমঞ্চে রবীন্দ্রজয়ন্তী সহ বিভিন্ন উপলক্ষ্যে নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নিচের তলায় একটি বড় হল ঘর এবং উপরের তলার তিনটি ঘরের একটিতে কবিগুরুর রচিত গ্রন্থমালা এবং কবিগুরুর আঁকা ১২ টি ছবির অনুকৃতি রাখা আছে। একতলা থেকে দোতলায় উঠার জন্য পশ্চিম পাশের কুঠুরির কোণে আছে একটি সুদৃশ্য প্যাঁচানো লোহার সিঁড়ি। টেগর লজের টেগর লজে কবি অসংখ্য কবিতা রচনা করেন, যা পরবর্তিতে ‘ক্ষণিকা’ এবং ‘কথা ও কাহিনী’তে প্রকাশিত হয়।
কিভাবে যাবেন?
কুষ্টিয়া সদরের মিলপাড়া এলাকার মোহিনী মিল ও বড় বাজারের পাশে কবি আজিজুর রহমান সড়কে টেগর লজ ভবনটি অবস্থিত। কুষ্টিয়া সদর থেকে টেগর লজের দূরত্ব মাত্র ২ কিলোমিটার। ঢাকা থেকে বাস বা ট্রেনে কুষ্টিয়া এসে রিক্সা বা অটোরিক্সায় চেপে টেগর লজে আসতে পারবেন।
ট্রেনে যেতে চাইলে সুন্দরবন এক্সপ্রেস অথবা চিত্রা এক্সপ্রেসে যেতে পারবেন। সুন্দরবন এক্সপ্রেস সকালে ঢাকা হতে ছেড়ে যায় আর চিত্রা এক্সপ্রেস সন্ধ্যায় কমলাপুর রেল স্টেশন ছেড়ে যায়। ট্রেনে গেলে আপনাকে পোড়াদহ বা ভেড়ামারা স্টেশনে নামতে হবে। ভেড়ামারা বা পোড়াদহ থেকে বাস বা সিএনজিতে কুষ্টিয়া শহরে এসে অটোরিক্সা বা সিএনজিতে চড়ে টেগর লজ যেতে পারবেন।
কোথায় থাকবেন?
কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর গেট, শাপলা চত্বর, এন এস রোড এবং বড় বাজারে মধ্যম মানের বেশকিছু আবাসিক হোটেল আছে। হোটেল আজমীরি, প্রীতম হোটেল কিংবা জুবলি হোটেল থেকে আপনার পছন্দমত যেকোন একটি ঠিক করে নিন। আর একটু ভাল মানের মধ্যে রয়েছে হোটেল রিভার ভিউ, হোটেল নূর ইন্টারন্যাশনাল এবং হোটেল লিবার্টি।
কোথায় খাবেন?
কুষ্টিয়া শহরের খাওয়া দাওয়ার জন্যে বেশকিছু ভালো মানের হোটেল রেস্টুরেন্ট আছে। কোর্ট স্টেশন এলাকার হোটেল শফি-তে খেয়ে দেখতে পারেন। এছাড়া জাহাঙ্গীর হোটেল, শিল্পী হোটেল এবং খাওয়া-দাওয়া হোটেলে খেতে পারেন। আর কুষ্টিয়ার বিখ্যাত তিলের খাজা ও কুলফি মালাই অবশ্যই খাবেন।