ইনানী বিচ | Inani Beach
02/05/2021
সাজেক ভ্যালি | Sajek…
16/04/2021
চা বাগান | Cha Bagan
03/05/2021
রামু বৌদ্ধ বিহার | Ramu…
02/05/2021
02/05/2021
16/04/2021
03/05/2021
02/05/2021
PC : আব্বাস তরফদার
বানিয়াচং নামটা অনেকেই শুনেছেন হয়তো। ৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত হওয়ায় বানিয়াচং গ্রামকে এশিয়ার বৃহত্তম গ্রাম হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়। অনেকে ত আবার এক ধাপ এগিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম গ্রামও বলে থাকেন। ড. শেখ ফজলে এলাহি বাচ্চুর ‘বানিয়াচং এর ইতিবৃত্ত’ বইটিতেও উল্লেখ আছে পৃথিবীর বৃহত্তম গ্রাম হিসবে বানিয়াচং এর কথা। আর এই বানিয়াচং উপজেলার শত বছরের ঐতিহ্যবাহী আর পুরাকীর্তির অন্যতম আকর্ষণ বিথাঙ্গল।
হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলায় অবস্থিত বিথঙ্গল একটি বৈষ্ণব ধর্মালম্বীদের জন্য একটি অন্যতম তীর্থস্থান। সদর থেকে ১২ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিম হাওড় পাড়ে বিতঙ্গল গ্রাম অবস্থিত এর প্রতিষ্ঠাতা শ্রী শ্রী জগন্মোহন গোস্বামী, ছিলেন হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার বাঘাসুরা গ্রামের অধিবাসী। তিনি উপমহাদেশের বিভিন্ন তীর্থস্থান সফর শেষে ষোড়শ শতাব্দীতে এ স্থানে আখড়াটি প্রতিষ্ঠা করেন। জগন্মোহনী সম্প্রদায়য়ের প্রবর্তক শ্রী শ্রী জগন্মোহন গোস্বামী মাত্র ৩১ বছর বয়সে বাংলা ১,০৫৯ সালে ভবলীলা সাঙ্গ করেন। এখানে তার সমাধিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে মন্দির। এই বিথঙ্গল আখড়াটি জগন্মোহনী সম্প্রদায়ের তৃতীয় মঠ হলেও প্রাচুর্যতা আর ভক্তদের পাদচারণার দরুন এটি প্রধান তীর্থস্থানে পরিণত হয়।
এতে রয়েছে ১২০ জন বৈষ্ণবের জন্য ১২০ টি কক্ষ। প্রায় ৫০০ বছর পূর্বে ত্রিপুরার রাজা উচ্চবানন্দ মাণিক্য বাহাদুর প্রাচীন চমৎকার নির্মাণ কৌশল অনুসরণ করে এখানে দুইটি ভবন নির্মাণ করেন। তাছাড়া এ আখড়ায় বিভিন্ন ধরণের ধর্মীয় উৎসব হয়। এর মধ্যে কার্তিকের শেষ দিনে ভোলা সংক্রান্তি উপলক্ষে কীর্তন, ফাল্গুনের পূর্ণিমা তিথিতে দোল পূর্ণিমার ৫ দিন পর পঞ্চম দোল উৎসব, চৈত্রের অষ্টমী তিথিতে আখড়া সংলগ্ন ভেড়ামোহনা নদীর ঘাটে ভক্তগণের পূণ্যস্নান ও বারুনী মেলা, আষাড় মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে রথযাত্রা উল্লেখযোগ্য। দর্শনীয় স্থানস্মূহের মধ্যে ২৫ মণ ওজনের শ্বেত পাথরের চৌকি, পিতলের তৈরি সিঙ্ঘাসন, সুসজ্জিত রথ, রৌপ্য পাত্র ও সোনার মুকুট উল্লেখযোগ্য।
কিভাবে যাবেন?
হবিগঞ্জ কিংবা শায়েস্তাগঞ্জ পৌঁছে অটোরিকশা, সিএনজি অথবা বাসে বানিয়াচং যাওয়া যায়। বর্ষাকালে হবিগঞ্জের পাশের জেলা কিশোরগঞ্জের হাওর এলাকা (যেমন ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম, নিকলী, বাজিতপুর) হতে ইঞ্জিন চালিত নৌকা দিয়ে দেড় থেকে দুই ঘন্টায় বিথাঙ্গল যাওয়া যায়। তবে শুকনো মৌসুমে হবিগঞ্জ কামড়াপুর ব্রীজ হতে জিপ দিয়ে সুজাতপুর এসে নৌকো বা পায়ে হেটে আখড়ায় যেতে হয়।
কোথায় খাবেন?
স্থানীয় পর্যায়ে এখানে কিছু খাবারের হোটেল রয়েছে। পছন্দমত খাবার খেতে চাইলে আপনাকে বানিয়াচং কিংবা হবিগঞ্জ যেতে হবে।