হরিণঘাটা ইকো পার্ক | Haringhata Eco Park 04/05/2021


PC:


বরিশাল শহর থেকে প্রায় ১১৫ কি.মি. দক্ষিনে ২০,০০০ একর জুড়ে এই হরিণঘাটা পর্যটন কেন্দ্র। ম্যানগ্রোভ বন আর সাগরের বিশাল জলরাশি মাঝে মানুষের সমাগম বাড়িয়ে দিয়েছে এর ফুট ট্রেইল। ফুট ট্রেইল নির্মাণ শুরুর ফলে হরিণঘাটা বনে আকর্ষণীয় পর্যটনের সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। প্রতিদিন হরিণঘাটা বনে দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়ছে। বিভিন্ন প্রজাতির গাছ আর বন্যপ্রাণীর বিচরণস্থল এই সুন্দরবনেরই অংশ। হরিণঘাটার পাশ দিয়ে বয়ে চলা বলেশ্বর, বিষখালি এবং পায়রা নদী বঙ্গোপোসাগরে গিয়েই মিলেছে। নয়ানাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যকে আরেকটু বৃদ্ধি করতেই এতে ওয়াচ টাওয়ার সংযোজন করা হয়ছে।

 

সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে তৈরী রাস্তা নদীর কাছে যায়। বনের ভেতর দিয়ে আঁকাবাঁকায় নির্মাণকৃত এ ফুটট্রেইল প্রায় ২,৯৫০ মিটার দীর্ঘ। এ ফুট ট্রেইল বনের ভেতর দিয়ে সাগর মোহনায় সৃজিত ঝাউবন পর্যন্ত বিস্তৃত। দর্শনার্থীদের একটু জিরিয়ে নেওয়ার জন্য বনের ভেতর থেমে থেমে চারটি বিশ্রামাগার সদৃশ গোলঘর নির্মাণ করা আছে। দৃষ্টিনন্দন এ বনে প্রাকৃতিক কেওড়া, পশুর, গেওয়াসহ সৃজিত সুন্দরী ও ঝাউবন রয়েছে। এখানে হিংস্র প্রাণী না থাকলেও আছে হরিণ, বন মোরগ, বানর, শুকর, গুইসাপ, নানা প্রজাতির সরীসৃপসহ ২০ প্রজাতির বন্য প্রাণী। বনে আছে অন্তত ৫০ প্রজাতির পাখি আর অগণিত ফরিং ও প্রজাপতিসহ নানা প্রাণীকূল । শীত মৌসুমে সৃষ্টি হয় বিদেশী পরিযায়ী পাখীর পদচারণা।

 

কিভাবে যাবেন?

বরিশাল থেকে প্রতিঘন্টায় পাথরঘাটার উদ্দেশ্যে বাস ছেড়ে যায়। ভাড়া জনপ্রতি ১৮০ টাকা। আবার বরগুনার লঞ্চে যাত্রা করলে, কাকচিড়া ঘাটে লঞ্চ থেকে নেমে মটরসাইকেল ভাড়া করে খুব সহজেই পাথরঘাটায় যাওয়া যায়। আর পাথরঘাটা থেকে হরিণঘাটা মাত্র ৩০ মিনিটের পথ।

 

কোথায় খাবেন?

হরিণঘাটায় খাবারের তেমন ভাল ব্যবস্থা নেই। তাই সবচেয়ে ভাল হবে পাথারঘাটা থেকে প্রয়োজনীয় খাবার কিনে সাথে পরিবহন করা। বঙ্গোপসাগরের নিকটে হওয়ায় পাথারঘাটার খাবার হোটেল গুলোতে প্রায় সব ধরনের সামুদ্রিক মাছ পাওয়া যায়।

You might like

Get the mobile app!

Our app has all your booking needs covered: Secure payment channels, easy 4-step booking process, and sleek user designs. What more could you ask for?