ইনানী বিচ | Inani Beach
02/05/2021
সাজেক ভ্যালি | Sajek…
16/04/2021
ঝরঝরি ট্রেইল | Jorjori…
02/05/2021
ধুপপানি ঝর্ণা | Dhuppani…
16/04/2021
02/05/2021
16/04/2021
02/05/2021
16/04/2021
নিঃসন্দেহে সারাদেশে বিখ্যাত একটি নাম ছিলো ‘হাছন রাজা’। দেশের লোকসঙ্গীতের প্রতি তাঁর অনেক অবদান ছিলো। তিনি ১৮৫৪ সালে তেঘরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর লালন ও সংগীতের প্রতি সংযোগ তাঁর বাড়িতে রাজপরিবারে হয়েছিল। তার স্মৃতিকে অম্লান রাখার উদ্দেশ্যে তার পরিবারের পক্ষ একটি মিউজিয়াম গড়ে তোলা হয়েছে।
হাছন রাজা(জন্ম ১৮৫৪ মৃত্যু ১৯২১ খ্রিঃ) ছিলেন একজন সম্ভ্রান্ত জমিদার। কিন্তু সংগীতের প্রতি তার ছিল গভীর অনুরাগ। মরমী সাধক হাছন রাজা অসংখ্য গান রচনা করে আজ অবধি লোকপ্রিয়তার শীর্ষ অবস্থান করেছেন। হাছন রাজার জাদুঘরের প্রবেশ পথে প্রথমেই চোখে পরে লালন শাহের ছবি। এরপর ১৯৬২ সালে কলকাতার একটি স্টুডিও থেকে সংগ্রহ করা হাছন রাজার একমাত্র আলোকচিত্র দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়াও ঠাই পাওয়া কালোর্ত্তীণ এ সাধকের ব্যবহৃত কুর্তা, খড়ম, তরবারি, পাগড়ি, ঢাল, থালা, বই ও নিজের হাতের লেখা কবিতার ও গানের পান্ডুলিপি আজও দর্শনার্থীদের আবেগাপ্লুত করে। মরমী কবির রচিত গানে মুগ্ধ হয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হাছন রাজাকে পত্র মাধ্যমে অভিনন্দন ও প্রশংসা জানিয়েছিলেন। সুনামগঞ্জ এলাকাধীণ গাজীর দরগা নামক পারিবারিক কবরস্থানে প্রিয়তম মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শুয়ে আছেন মরমী কবি হাছন রাজা।
১৯৬২ সালে হাসন ফকিরের মেলা আয়োজনের পর থেকেই হাছন রাজার ব্যবহৃত বিভিন্ন সামগ্রী ও এই বাড়ি দেখতে সারা দেশ থেকে মানুষ আসতে শুরু করে। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ‘হাছন একাডেমি’কে ২৫ হাজার টাকা অনুদান দেন, যার ধারাবাহিকতায় বর্তমানে হাছন রাজার জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত।
কিভাবে যাবেন?
সুনামগঞ্জ বাস স্ট্যান্ড থেকে সহজেই রিকশায় চড়ে সাহেব বাজার ঘাটের পাশে অবস্থিত হাসন রাজার জাদুঘর দেখতে যেতে পারবেন পাবেন।
কোথায় খাবেন?
সুনামগঞ্জে বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ কোন খাবার রেস্টুরেন্ট নেই। বেশকিছু মাঝারি মানের খাবার হোটেল বা রেস্টুরেন্ট থেকে নিজের প্রয়োজনীয় খাবারের চাহিদা মেটাতে পারবেন। এদের মধ্যে পাঁচ ভাই, ফাইভ স্টার, জনতা, হোটেল রাজ উল্লেখযোগ্য।