শিমুল বাগান | Shimul Bagan 03/05/2021


PC:


PC : steemit

‘‘রক্ত শিমুল তপ্ত পলাশ দিল ডাক, সুনীল ভোরে’’ যুগে যুগে শিমুল ফুল নিয়ে এমনি গান কিংবা কবিতা রচনা করেছেন আমাদের দেশের সব সাহিত্যিকই। ফাল্গুনে শিমুলের বনে আগুন লাগে, সেই সময় রক্তরাঙা শিমুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হন না এমন ব্যক্তি বোধহয় খুব কমই মেলে। সুনামগঞ্জের জেলার তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়বদল ইউনিয়নের মানিগাঁও গ্রামের পাশেই বহমান জাদুকাটা নদীর তীরেই এই শিমুল বাগানটির অবস্থান। বসন্তে রক্তরাঙা ফুলে  ছেয়ে যায় পুরো বাগানটি। ডালে ডালে ঘুরে বেড়ায় পাখির দল। প্রকৃতি-প্রেমীদের চোখ জুড়িয়ে যায় এই দৃশ্য দেখে। 

 

জানা যায়, ২০০২ সালে শুধু মাত্র বাণিজ্যিক ভাবনা থেকেই তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের প্রয়াত চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন তার ইউনিয়নের পাশে উত্তর বড়দল ইউনিয়নে মানিগাঁও গ্রামে যাদুকাটা নদীর পশ্চিম পাড়ে ৯৭ বিঘা অনাবাদি ধু ধু বালিয়াড়িতে শিমুল বাগান তৈরী করেন। বাগানটিতে সারিবদ্ধ ভাবে ৩ হাজার শিমুলের চারা রোপন করা হয়। ১৫ বছরের ব্যবধানে বাগানের শিমুল গাছগুলো আজ অনেক বড় হয়েছে, পত্র পল্লবে পেখম মেলছে, গাছে গাছে প্রস্ফুটিত ফুলে লালে লাল হয়ে যায় যাদুকাটা নদীর তীর। আর এ নান্দনিক সৌন্দর্য উভোগ করতে প্রতিদিন যাদুকাটার নদীর তীরে বাড়ছে পর্যটকদের ভীড়। সাথে নাটক সিনেমার সুটিং করতেও আসছেন পরিচালক ও শিল্পীরা।

 

জনমানবহীন চারদিকে শুধু পাখির কলকাকলি। বাসন্তী হাওয়ায় জুড়িয়ে যাবে প্রাণ।  প্রতিটা গাছই ফুলে ফুলে ভরা। টকটকে লাল শিমুল ফুল যেমন আছে, তেমনি হালকা কমলা রঙের ফুলও দেখতে পাবেন এখানে। বর্ষা ও শুষ্ক মৌসুমে এই শিমুল বাগানে সারি সারি গাছের সবুজ পাতার সুনিবির ছায়ায় পর্যটকদের ক্লান্তি ভুলিয়ে দেয়। আর বসন্তের ডালে ডালে ফুটে থাকা রক্ত মাখা লাল ফুলে আন্দোলিত করে পর্যটকদের মন। বর্ষা, বসন্ত কিংবা হেমন্ত। একের ঋতুতে এর এক এক রূপ। বিশাল এই শিমুলবাগানের এক প্রান্তে দাঁড়ালে অন্যপ্রান্তে দেখা যায় না। এখানে ডালে ডালে মধু খেতে আসে বুলবুলি, কাঠশালিক, হলদে পাখিরা। পাখির কিচিরমিচির ডাকে মুখর থাকে গোটা বাগান। এক দিকে মেঘালয়ের পাহাড় সারির অকৃত্রিম সৌন্দর্য্য অন্য দিকে রূপবতী যাদুকাটা নদীর তীরের শিমুল বাগানের তিন হাজার গাছে লাল ফুলের সমাহার শরীরে ভাল লাগার শিহরণ ধরিয়ে দেবার জন্য যথেষ্ট।

 

কোথায় খাবেন?

বারিক্কা টিলাতে খাবারের হোটেল রয়েছে। এছাড়া বড়ছড়া বাজার কিংবা যাদুকাটার পাশের টেকেরঘাটের ছোট বাজারে মোটামুটি মানের দুইটি রেস্টুরেন্টে খেতে পারেন। খুব ভালো খাবার আশা করা ঠিক হবে না। তবে স্থানীয় তাজা সবজী, হাওরের নানা মাছ, ভর্তা ভাজির নানা পদের খাবারের স্বাদ না নিয়ে ভুল করবেন না।

You might like

Get the mobile app!

Our app has all your booking needs covered: Secure payment channels, easy 4-step booking process, and sleek user designs. What more could you ask for?