কে পি বসুর বাড়ি | KP Boshur Bari 08/09/2021


PC:


PC: Ashiquzzaman

পুরো নাম কালিপদ বসু। সবাই যাকে কে পি বসু নামেও চেনেন। তিনি একজন প্রখ্যাত বাঙালি গণিতশাস্ত্রবিদ ও বিজ্ঞান শিক্ষক ছিলেন। ঝিনাইদহ জেলা থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে হরিশংকরপুরে নবগঙ্গা নদীর তীরে জগদ্বিখ্যাত গণিতবিদ কে পি বসুর বাড়ি অবস্থিত। ১৯০৭ সালে কে পি বসু হরিশংকরপুরে ১৭ কক্ষ বিশিষ্ট প্রাসাদাকার দ্বিতল ভবনটি নির্মাণ করেন।

 

কালীপদ বসু ১৮৬৫ সালে ঝিনাইদহ সদরের হরিশংকরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মহিমা চরণ বসু হরিশংকরপুরের রেজিস্ট্রি অফিসের একজন কর্মচারী ছিলেন। বাল্যকাল থেকে গণিতের মতো জটিল বিষয়ে কে.পি বসুর পাণ্ডিত্য লক্ষ্য করা যায়। গ্রামের স্কুলের পড়াশোনা শেষ করে তিনি লর্ড রিপন কলেজে ভর্তি হন এবং সেখান থেকে গণিত শাস্ত্রে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে ১৮৯২ সালে তিনি ঢাকা কলেজে গনিত শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। কে. পি বসুকে প্রথম আধুনিক বীজগণিতের সূত্র আবিষ্কারক বলা হয়। তিনি গনিত শাস্ত্রের বৃদ্ধি ও উৎকর্ষ সাধনের জন্য আলজেব্রা ও জ্যামিতির উপর বিভিন্ন গবেষণা করেন এবং অসংখ্য বই রচনা করেন। এছাড়া তিনি কলকাতায় কে.পি বসু পাবলিশিং কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন।

 

১৯২৪ সালে পার্নিসাস ম্যালেরিয়া জ্বরে আক্রান্ত হয়ে তিনি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃতদেহ ঝিনাইদহ এসে পৌঁছালে ঝিনাইদহের সকল অফিস আদালত বন্ধ হয়ে যায়। শোকাভিভূত হাজার হাজর মানুষ তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য নবগঙ্গা নদীর তীরে উপস্থিতত হয়। ঝিনাইদহ শহরে তার নামে একটি সড়কের নামকরণ করা হয়েছে।

 

কিভাবে যাবেন?

ঝিনাইদহ জেলা সদর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে বাস অথবা সিএনজি যোগে কে পি বসুর বাড়ি যেতে হয়।

 

কোথায় থাকবেন?

ঝিনাইদহ শহরে হোটেল রাতুল, হোটেল রেডিয়েশন, হোটেল জামান, নয়ন হোটেল, হোটেল ড্রিম ইন ও ক্ষণিকা প্রভৃতি আবাসিক হোটেল ও রেস্ট হাউজ রয়েছে।

 

কোথায় খাবেন?

ঝিনাইদহ শহরের পায়রা চত্বরের কাছে অবস্থিত ক্যাফে কাশফুল, কস্তুরি হোটেল,অজয় কিচেন, লিজা ফাস্ট ফুড, ইং কিং চাইনিজ, রূপসী বাংলা রেস্তোরা, সুইট হোটেল ও আহার রেস্তোরাঁ অন্যতম।

You might like

Get the mobile app!

Our app has all your booking needs covered: Secure payment channels, easy 4-step booking process, and sleek user designs. What more could you ask for?