ইনানী বিচ | Inani Beach
02/05/2021
সাজেক ভ্যালি | Sajek…
16/04/2021
চা বাগান | Cha Bagan
03/05/2021
রামু বৌদ্ধ বিহার | Ramu…
02/05/2021
02/05/2021
16/04/2021
03/05/2021
02/05/2021
শৈলকুপা জমিদার বাড়িটি ঝিনাইদহের একটি ঐতিহ্যবাহী স্মৃতি বহনকারী স্থাপনা। এখনো ব্যক্তিমালিকানার এ জমিদার বাড়িটি বাংলাদেশের অন্যতম একটি স্থাপনা। ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার আবাইপুর গ্রামে ঐতিহাসিক শৈলকুপা জমিদার বাড়ি অবস্থিত। বাংলা ১২শ শতকের মাঝামাঝি সময়ে অবিভক্ত ভারতবর্ষের যশোর জেলার জমিদার রামসুন্দর শিকদার প্রায় ৪০০ বিঘা জায়গার উপর শৈলকুপা জমিদার বাড়ী স্থাপন করেন।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, রামসুন্দর শিকদার নামক এক জমিদার উনিশ শতকের প্রথম দিকে এই আবাইপুর অঞ্চলে জমিদার বাড়িটি প্রতিষ্ঠা করেন। রামসুন্দর শিকদারের পূর্ব বংশের উপাধি ছিল তিলিকুন্ডু। রামসুন্দর শিকদারের দাদা কার্তিক সিকদার পরবর্তীতে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের নবাবের কাছ থেকে শিকদার উপাধিটি পান। পরবর্তীতে তারা শিকদার বংশের পরিচয়ে পরিচিত হন। রামসুন্দর শিকদার এখানে জমিদারি ব্যবসা দেখাশোনার পাশাপাশি বেশ কিছু স্থাপনা তৈরি করেন। দানবীর এ জমিদার এলাকাবাসীর দুঃখ-দুর্দশায় সবসময় নিজেকে নিয়োজিত রাখতেন। তিনি ঝিনাইদহের নামকরা পাট ব্যবসায়ী ছিলেন। ‘শিকদার এন্ড কোম্পানি’ তিনি প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে তাঁদের বংশধর কেউই এখানে বসবাস করেন না। রামসুন্দর শিকদারের নামে আবাইপুর গ্রামে একটি ‘রামসুন্দর ইনস্টিটিউট’ উচ্চ বিদ্যালয় আছে।
উল্লেখিত এই জমিদার বাড়িতে মোট ৩৫০ টি কক্ষ আছে। প্রায় ১৩০ একর জায়গার ওপর দ্বিতল বিশিষ্ট এই প্রাসাদটি যে কোন পর্যটককেই আকর্ষণ করে। জমিদারবাড়িতে প্রাপ্ত একটি তরবারি, প্রাচীন আমলের বাদ্যযন্ত্র, বেনারসি শাড়ি, সেই সময়ের গ্রামোফোন, কাঠের হুক্কা ইত্যাদি বর্তমানে রামসুন্দর এর শেষ বংশধর রাজকুমার শিকদারের তত্ত্বাবধানে রয়েছে এবং জমিদার বাড়ির এক অংশে স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও আরেক অংশে জমিদারের উত্তরসূরিরা বসবাস করেন।
কিভাবে যাবেন?
ঝিনাইদহ শহরের পায়রা চত্বর থেকে অটো বা সিএনজি নিয়ে মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলা সীমান্ত ঘেঁষা আবাইপুর গ্রামে শৈলকুপা জমিদার বাড়ি দেখতে যেতে পারবেন।
কোথায় খাবেন?
শৈলকুপাতে হালকা চা-নাস্তা করার সুযোগ থাকলেও ভালমানের খাবারের জন্য আপনাকে যেতে হবে ঝিনাইদহ জেলা শহরের পায়রা চত্বরের কাছে অবস্থিত ক্যাফে কাশফুল, কস্তুরি হোটেল, অজয় কিচেন, লিজা ফাস্ট ফুড, ইং কিং চাইনিজ, রূপসী বাংলা রেস্তোরা, সুইট হোটেল কিংবা আহার রেস্টুরেন্টে।