খালিশপুর নীলকুঠি | Khalishpur Nilkuthi 08/09/2021


PC:


খালিশপুর নীলকুঠি ভবন ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। ইংরেজ আমলে নির্মিত এ নীলকুঠিটি উপজেলার খালিশপুর নামক গ্রামে অবস্থিত।

 

ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী ভারত উপমহাদেশে নীলচাষ শুরু করার পর অন্যান্য অঞ্চলের মত খালিশপুরেও এই নীলকুঠিটি নির্মাণ করেন। খালিশপুর নীলকুঠিটি কপোতাক্ষ নদের তীরে অবস্থিত। নির্মাণের পর ১৮১০ থেকে ১৮৫৮ সাল পর্যন্ত এই নীলকুঠিটি নীলচাষের জন্য ব্যবহার করা হতো।উপমহাদেশে নীল বিদ্রোহের সূচনা হওয়ার পর অন্যান্য নীলকুঠির মত এ নীলকুঠিটিও ইংরেজরা রেখে চলে যান। পরবর্তীতে জমিদাররা এটি তাদের কাচারি হিসেবে ব্যবহার করতে থাকে। পরবর্তীতে ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির সময় তৎকালীন নীলকুঠির মালিক জমিদারও জায়গাটি ছেড়ে চলে যান। এরপর থেকে এটি মূলত পরিত্যক্ত।

 

নীলকুঠির পাশ দিয়ে বয়ে গেছে কপোতাক্ষ নদের শাখা। এ নদ দিয়ে নৌকায় করে আসতো ইংরেজরা। তারা ওই কুঠিতে থাকতো আর কৃষকদের ওপর অত্যাচার করতো। কুঠিতে ১৮১০ সাল থেকে ১৮৫৮ সাল পর্যন্ত নীলকর সাহেবদের অত্যাচার বাড়তে থাকে। এর মধ্যে বিক্ষুব্ধ কৃষকরা যখন বিদ্রোহ করতে শুরু করলো তখন এদের অত্যাচার কিছুটা কমলো। যা ইতিহাসে নীল বিদ্রোহ বলে খ্যাত। এছাড়া অন্যান্য কুঠি ছেড়ে যখন ইংরেজরা চলে যায়, তখন জমিদারদের মধ্যে বিক্রি করে দিয়ে যায়; কিন্তু মহেশপুরের খালিশপুর নীলকুঠিটি কোনো ইংরেজ বিক্রি করে দিয়ে যেতে পারেনি। তারা কৃষকদের বিদ্রোহের পর এটি ফেলে পালিয়ে যায়।

 

বর্তমানে নীলকুঠি ভবন ও এর সংলগ্নজমিটি বাংলাদেশ সরকারের অধীনে রয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এটিকে প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা হিসেবে নথিভুক্ত করে। নীলকুটির পাশেই রয়েছে একটি আমবাগান। নীলকুটি ও আমবাগান মিলিয়ে সংলগ্ন এ জায়গাটি ১০ একর জমির উপর অবস্থিত।

 

কিভাবে যাবেন?

ঝিনাইদহ জেলা সদর থেকে বাস যোগে মহেশপুরের খালিসপুর বাজারে আসতে হবে। তারপর সেখান থেকে রিক্সা, ভ্যান অথবা সিএনজি যোগে খালিশপুর নীলকুঠি যেতে পারবেন।

 

কোথায় খাবেন?

ঝিনাইদহ শহরের পায়রা চত্বরের কাছে অবস্থিত ক্যাফে কাশফুল, কস্তুরি হোটেল,অজয় কিচেন, লিজা ফাস্ট ফুড, ইং কিং চাইনিজ, রূপসী বাংলা রেস্তোরা, সুইট হোটেল ও আহার রেস্তোরাঁ অন্যতম।

You might like

Get the mobile app!

Our app has all your booking needs covered: Secure payment channels, easy 4-step booking process, and sleek user designs. What more could you ask for?