কড়ৈতলী জমিদার বাড়ি | Koroitoli Zamindar Bari 02/05/2021


PC:


PC: Mahbub Pathan

ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানের জন্য বিখ্যাত চাঁদপুরের আজকে কথা হবে দর্শনীয় স্থান কড়ৈতলী জমিদার বাড়ি নিয়ে। কড়ৈতলী গ্রামে রয়েছে এক কুখ্যাত অত্যাচারী জমিদারের বাড়ি। বাড়িটিতে রয়েছে দুর্গামন্দির, ভগ্ন ত্রিতল প্রাসাদ, মনসা মন্দির, আঁধার মানিক ও সুড়ঙ্গপথ।

 

কড়ৈতলী বাজারের দক্ষিণ কোণের পশ্চিম দিকে অবস্থিত এই জমিদার বাড়ি সাধারণ মানুষের কাছে বাবুর বাড়ি নামেই বেশ পরিচিত। বাংলা ১২২০ সালে হরিশ চন্দ্র বসু নামের একজন এই কড়ৈতলী জমিদার বাড়িটির গোড়াপত্তন করেন। তিনি নিলামের মাধ্যমে এই জমিদারি ক্রয় করে প্রায় সত্তর বছর ধরে জমিদার বাড়িতে জমিদারি করার পর মৃত্যুবরণ করেন। শত বছর বয়সে ১২৯০ বঙ্গাব্দে পরলোকগমণ করেন। পরবর্তীতে দীর্ঘসময় ধরে তার অত্যাচারী উত্তরসূরীরা এখানকার জমিদারি করেন। লোককথায় শোনা যায়, এই জমিদার বাড়ির সামনে দিয়ে সাধারণ মানুষ জুতা পায়ে দিয়ে ও ছাতা মাথায় দিয়ে হাটতে পারতোনা। ভারতবর্ষ ভাগের পর ইংরেজি ১৯৫১ সালে শেষ জমিদার গোবিন্দ বসুর হাত ধরেই এই জমিদার প্রথার পতন ঘটে।

 

জমিদার বাড়িটি ৩টি ভবন, একটি দুর্গা মন্দির, বাবুর দীঘির সাথে একটি শান বাঁধানো ঘাট ও একটি দরবার হল নিয়ে গঠিত। এছাড়াও কড়ৈতলী বাজারের মধ্যস্থানে শ্মশানকালী মন্দির রয়েছে। তিনতলা বিশিষ্ট মূল ভবনটি(১নং ভবন) ছিল জমিদারদের বসবাসের জন্য। আর ২নং ও ৩নং ভবন ব্যবহার করা হতো মালামাল ও কারাগার হিসেবে ব্যাবহারের জন্য। মূল ভবনটি (১নং ভবন) ৩ তলা বিশিষ্ট এবং ২নং ও ৩নং ভবন ২ তলা বিশিষ্ট। এছাড়াও এই বাড়িটিতে একটি সুড়ঙ্গপথ রয়েছে জমিদারদের আত্মগোপন করার জন্য। কিন্তু বর্তমানে এটি বালু দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। লোকমুখে কথিত আছে এখানে একটি আঁধার মানিকও (গুপ্তধন রাখার ঘর) রয়েছে।

 

কিভাবে যাবেন?

ঢাকা থেকে চাঁদপুর আসার পর চাঁদপুর শহর থেকে সিএনজি যোগে ২০০-৩০০ টাকা খরচে ফরিদগঞ্জ উপজেলা হয়ে মাত্র ২০ কিলোমিটারের পথ পাড়ি দিয়ে কড়ৈতলী গ্রামের কড়ৈতলী বাজারের উপর দিয়ে দক্ষিণ কোণের পশ্চিম দিকে অবস্থিত বাড়িটিতে যেতে পারবেন।

 

কোথায় খাবেন?

খিদে মেটানোর জন্য চাঁদপুরে বিভিন্ন মানের বেশকিছু খাবার হোটেল রয়েছে। আপনার পছন্দমত যেকোন হোটেলে খাবার খেয়ে নিতে পারবেন। রিজেনেবল দামে খাবার খেতে চাইলে চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনালের ডান পাশে অবস্থিত বিআইডব্লিউটিএ ক্যান্টিনে ঢু মারতে পারেন। অবশ্যই ফরিদগঞ্জের আউয়াল ভাইয়ের মিষ্টি এবং ওয়ান মিনিট আইসক্রিম এর স্বাদ নিতে পারেন। তাজা ইলিশ খেতে হলে বড়স্টেশনের ঝুপড়ির হোটেল অথবা লঞ্চ ঘাটের হোটেল গুলোতে খেতে পারেন।

You might like

Get the mobile app!

Our app has all your booking needs covered: Secure payment channels, easy 4-step booking process, and sleek user designs. What more could you ask for?