রিসাং ঝর্ণা | Risang Waterfall 20/03/2021


PC:


PC: Azad

 

খাগড়াছড়ি শহর থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে মাটিরাঙ্গা উপজেলার সাপমারা গ্রামে অবস্থিত রিসাং। রিসাং একটি মারমা শব্দ যার অর্থ কোনো উচু স্থান থেকে জলরাশি গড়িয়ে পড়া। স্থানীয়দের কাছে এটি ‘সাপ মারা রিসাং ঝর্ণা’ নামেও পরিচিত। ২০০৩ সালে পর্যটনের কাতারে নাম লেখালেও এর মালিক রবীন্দ্র টিপুরা যিনি ১৯৮৯ সালে সরকার থেকে এর ১০ একর জমি লিজ নেন।

 

আপনি সেখানে জলপ্রপাতের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য অনুভব করতে পারবেন। ভ্রমণপিপাসুদের ঝামেলা কমাতে সম্প্রতি সিঁড়ি তৈরি করা হয়েছে যাতে তারা সহজেই জলপ্রপাতগুলিতে পৌঁছতে পারে। এর পাশে একটু এগোলেই মাত্র ২০০ গজ ভেতরে আরও একটি ঝর্ণা দেখতে পাবেন। যা রিসাং ঝর্ণা দুই বা ‘অপু ঝর্ণা’  নামে পরিচিতি লাভ করেছে। প্রায় ৩০ মিটার উচ্চতার পাহাড় থেকে পানি আছড়ে পড়ার মনোরম দৃশ্য ঘন্টার পর ঘন্টা উপভোগ করার মত। আর চাইলে রিসাং ঝর্ণার জলে অনায়াসেই শরীর জুড়িয়ে নিতে পারবেন।

 

কিভাবে যাবেন?

খাগড়াছড়ি থেকে সরাসরি চান্দের গাড়ি বা সিএনজি ভাড়া নিয়ে রিসাং ঝর্ণা দেখতে যেতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে ঝর্ণা থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে নেমে বাকি পথ হেটে যেতে হবে।

এছাড়া রিসাং ঝর্ণা দেখতে হলে প্রথমে খাগড়াছড়ি সদর থেকে লোকালে বাস বা চান্দের গাড়িতে চড়ে ঢাকার পথে ১০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত আলুটিলা গুহার সামনে চলে আসুন। আলুটিলা থেকে পরের গন্তব্য প্রায় দুই কিলোমিটার দূরের হৃদয় মেম্বারের এলাকা। আলুটিলা থেকে হৃদয় মেম্বারের এলাকায় যেতে লোকাল বাসের ভাড়া জনপ্রতি ৫ টাকা। হৃদয় মেম্বারের এলাকা থেকে দুই কিলোমিটার পায়ে হেটে বা বাইকে চড়ে রিছাং ঝর্ণায় যেতে হয়। শুধুমাত্র যাওয়ার জন্য জনপ্রতি বাইকের ভাড়া ৫০ টাকা, আর ফিরে আসার ভাড়া জনপ্রতি ১০০ টাকা।

 

কোথায় থাকবেন?

খাগড়াছড়ি শহরে রাত্রি যাপনের জন্য বিভিন্ন মানের আবাসিক হোটেল রয়েছে। হোটেল ভেদে এক রাত অবস্থানের জন্য আপনাকে ৬০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকা প্রদান করতে হবে। খাগড়াছড়ি শহরে ভালো মানের আবাসিক হোটেলের মধ্যে রয়েছে –

• হোটেল হিল প্যারাডিসে : খাগড়াছড়ি শহরে অবস্থিত এসি, নন এসি, ভিআইপি এসি ও গ্রুপ রুমের সুবিধা সহ শ্রেণী অনুযায়ী ভাড়া ১২০০ থেকে ৫০০০ টাকা।

• হোটেল গাইরিং : খাগড়াছড়ি শহরে অবস্থিত এসি, নন এসি, ভিআইপি এসি ও গ্রুপ রুমের সুবিধা সহ শ্রেণী অনুযায়ী ভাড়া ১২০০ থেকে ৫০০০ টাকা।

• অরণ্য বিলাস : শহরের নারিকেল বাগানে অবস্থিত এই হোটেলে টুইন বেড এসি ৩০০০ টাকা, কাপল এসি ২০০০ টাকা, টুইন নন এসি ২৫০০ টাকা এবং কাপল নন এসি ১৫০০ টাকা ভাড়া।

• হোটেল ইকোছড়ি ইন : এই হোটেলটি হলো তাদের জন্য যারা শহরের কোলাহল থেকে নিজেকে একটু সরিয়ে রাখতে চান। এই হোটেলটি খাগড়াছড়ি শহর থেকে ২.৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। রুম ভেদে এখানে এক রাত অবস্থানের জন্য আপনাকে ১৫০০ টাকা থেকে ৩৬০০ টাকা প্রদান করতে হবে।

 

যদি খুবই কম খরচে থাকতে চান তাহলে নারিকেল বাগানের "গাংচিল আবাসিক হোটেলে" থাকতে পারেন।  এই হোটেলটিতে ৬০০-১০০০ টাকায় থাকতে পারবেন।

Book Now

 

কোথায় খাবেন?

খাগড়াছড়ি শহরের শাপলা চত্বর এবং বাস স্ট্যান্ড এলাকায় বেশ কিছু রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এছাড়া পানথাই পাড়ায় অবস্থিত ‘সিস্টেম রেস্তোরা’ তে কফি, হাসের কালাভূনা, বাশকুড়ুল এবং ঐতিহ্যবাহী পাহাড়ি খাবারের স্বাদ নিতে পারেন।

You might like

Get the mobile app!

Our app has all your booking needs covered: Secure payment channels, easy 4-step booking process, and sleek user designs. What more could you ask for?